made by poster maker apps
আসসালামুয়ালাইকুম।
সবাই কেমন আছেন?
আশা করি আল্লাহর রহমাতে ভালোই আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। কয়েক দিন আগে কবি গুরু রবিন্দ্রনাথের শশুর বাড়ি বিয়ে একটি পোস্ট করেছিলাম। আজ সেই বাড়ি কে কেন্দ্র করে যে লোকমেলা আয়োজন করা হয়েছে সেটা আজ বর্ণনা করবো। নিশ্চয়ই আপনাদের ভালো লাগবে। আমি আপনাদের জন্যই প্রতিনিয়ত কন্টেন্ট কালেকশন করি আর শেয়ার করি। আজকের পর্ব স্পেশাল কবি গুরু রবিন্দ্রনাথের শশুর বাড়ির মেলা বলে কথা।
মেলাতে প্রবেশের জন্য দুইটি গেট তৈরি করা হয়েছে।এই মেলায় প্রতিনিয়ত বাংলাদেশের সকল প্রান্ত থেকে লোক আসে মেলার সুন্দর্য উপভোগ করার জন্য।আমি নিজেও গেসিলাম সেই সুন্দর্য উপভোগ করতে।যেহেতু কবি গুরুর শশুর বাড়ি তাই মনে হয় অতিব ভালোবেসে ২টা গেট দিয়েছে। গেটের পাশ থেকে রয়েছে রবিন্দ্রনাথের বয়স ভেদে ছবি। আমি ছবি গুলা দেখে বুঝতে পারি নাই যে এরা সবাই একই ব্যক্তি যে কিনা বিশ্ব বিখ্যাত সাহিত্যিক রবিন্দ্রনাথ। যে প্রথম বাঙালি হিসাবে নোবেল পুরষ্কার অর্জন করেন।
চিরযৌবন রবিন্দ্রনাথ আর মৃণালিনী দেবির ছবি পাশা পাশা রাখা হয়েছে যার মাঝ খানে লাল গালিচা বিছানো। রবিন্দ্রনাথের ভক্তদের প্রবেশের জন্য এটা বিছানো হয়েছে। তবে রবিন্দ্রনাথ কিন্তু স্মার্ট ছিলো তার কারন স্মার্ট না হলে এতো সুন্দরি রুপবতি কন্না মৃণালিনী প্রেমে পড়তো না। আমি কিচ্ছুক্ষণ দেখছিলাম তাদেরকে কি অসাধারন তাদের জুটি ভালোই লাগছিল। মনে হচ্ছিল এরা ছিলো পৃথিবীর সব থেকে সুখি ব্যক্তি।
রবিন্দ্রনাথ আজ বেচে নেই। বর্তমান যুগ সেলফির কিন্তু রবিন্দ্রনাথ নেই। আয়োজকেরা এটা ভেবেই তার ছবি দিয়ে দিয়েছে তার সাথে ছবি তোলার জন্য। কি মায়া নিয়ে রবিন্দ্রনাথ তাকিয়ে আছে। রবিন্দ্রনাথের যৌবনের এতো সুন্দর ছবি থাকতে কেনো এই বৃদ্ধ কালের ছবি দিয়েছে?
আমি উত্তর খুজে পেয়েছি সেটা হলো রবিন্দ্রনাথ বৃদ্ধ বয়সেই বেশি পপুলারিটি পেয়েছিলেন তাই এই ছবি।তাছাড়া লোকেরা পপুলার ব্যক্তির সাথের সবাই ছবি তুলতে চাই। যে পপুলার তার সাথে ছবি তুলবে না এটাই স্বাভাবিক।
এই জায়গায় রবিন্দ্রনাথ নেই সেখানেও ছবি তোলার জন্য ফ্রেম বানানো হয়েছে। সেখানে ফুলের সাথে ছবি তুলতে পারবে সকলে। আমি যদিও ছবি তুলেছি। নিশ্চয়ই শেয়ার করবো যদিও আমি জানি আমার ছবি খুব একটা ভালো আসে না। তবুও আমি শেয়ার করবো আপনাদের জানার উদ্যেশ্যে। আপনাদের যদি কখনো সুযোগ হয় রবিন্দ্রনাথের শশুর বাড়ি আসার আমার সাথে যোগাযোগ করবেন। আমি যথার্থ সাহায্য করবো।
এই খানে বিশাল মঞ্চের ব্যবস্থা করা হয়েছে।কেউ যদি রবিন্দ্র সংগীত শোনাতে চাই সে নির ধিধায় মঞ্চে উঠে গাইতে পারবে।আমার যদিও এমন প্রতিভা নেই তাই ওদিকে যাওয়া হয় নাই। আপনাদের রবিন্দ্র সংগীত কেমন লাগে?
আমি যখন ছোট ছিলাম তখন ভালো লাগতো না।এখন বুঝি গানের কথা গুলা তাই ভালোই লাগে। মোন কে শান্ত করে দেয়। বৃষ্টি হলেই আমার সেই গানটি মনে পড়ে যায়,,,,
আজ ঝড় ঝড় মুখোরোবা দরদিনে জানি নে জানি নে,,,, কিছুতে কেনো যে ভালো লাগে না।
গানের বানান ভুল যেতে পারে কারন আমি শুধু মাঝে মধ্যে একটু শুনি এতে কিছু মনে থাকে আর কিছু ব্রেন থেকে হারিয়ে যায়। আপনাদের প্রিয় রবিন্দ্র সংগীত কোনটা জানাবেন কিন্তু।
এই মেলায় আপনি অনেক কিছুই পাবেন। এই যে দোকান দেখছেন এখানে আছে বাহারি রকমের মেয়েদের সাজার জিনিস। কানের দুল থেকে শুরু করে হাতে নিয়া ব্যাগ পর্যন্ত সব পাবেন। অনেকে ভিতরে যাচ্ছে দেখছে কেউ কিনছে কেউ কিনছে না।
এখানে নাগোর দোলার ব্যবস্থা করা হয়েছে।অনেকে এখানে উঠে চিল্লাচ্ছে। অনেকে আবার মজা পাচ্ছে।আপ্নারা কখনো নাগোর দোলাতে ঊঠেছেন?
উঠে থাকলে জানাবেন।
আরো দেখিলাম কয়েক প্রজাতির লাইট যেখানে বাহারি রঙের আলো রয়েছে। রদ্রুরে গেছিলাম তাই আলো তখন জলছিল না।আমার লাইট গুলা পছন্দ হয়েছে। মেলার মধ্যে বাহারি রকমের খাবার উঠেছে।পাপড় , গজা , আচার, ঝাল মুড়ি, এক জাতিয় পানিও যার নাম মধু কুলকুলি এটাও ভালো লেগেছে।মানে বরফ কুচি কুচি করে কেটে তার মধ্যে কালারফুল স্যাগারিন দিচ্ছিল। দেখতে ভাল লাগছে কিন্তু আমি খায় নাই তার কারন স্বাস্থ কর ছিলো না।
#আসুন রবিন্দ্রনাথ সম্পর্কে কিছু জানি।
কবি গুরু রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৬১ সালের ৭ই মে জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তুমি বাবা মায়ের ১৪ তম সন্তান ছিলেন। জমিদার পরিবারে জন্ম গ্রহন করার জন্য অভাব অনাটনের প্রশ্নই আসে না।তাই তার লেখায় ক্ষুদা সম্পর্কে লেখা নেই যেটি নজরুল তীর্ব ভাবে বুঝেছেন তাই তার লেখা মৃত্যু ক্ষুদা। রবিন্দ্রনাথের আদি নিবাস বাংলাদেশের রুপসা উপজেলায়। তার শশুর বাড়ি বাংলাদেশের ফুলতলা উপজেলায়। আমি সেই মেলার বিবরণ দিলাম আজকের লেখাতে।
লেখাটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। ভালো থাকবেন। সকলে নিজের আর পরিবারের দিকে খেয়াল রাখবেন।
ধন্যবাদ
This post has been upvoted through Steemcurator09.
Team Newcomer- Curation Guidelines for May 2023
Curated by - @ripon0630
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Thank you so much sir. Your support inspire me.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Determination of Club Status refers to the https://steemworld.org/transfer-search Web-based Application.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Thank you so much brother.your support help me to create new things
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
@tipu curate
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Upvoted 👌 (Mana: 7/8) Get profit votes with @tipU :)
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
https://twitter.com/Atiik007/status/1658575239406850048?s=20
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit