হ্যালো স্টিম বন্ধুরা! সর্বপ্রথম আমি আপনাদের অবস্থা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে আমি আমার মূল আলোচনায় চলে যাব। তো বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সকলেই ভাল আছেন আমিও আলহামদুলিল্লাহ খুব ভালো আছি সুস্থ আছি।
ইতিমধ্যে আমার লেখার ক্যাপশন দেখে অবশ্যই বুঝে গেছেন যে আমি কি সম্পর্কে লিখতে যাচ্ছি, তাও আবার বলে দিই,আমি আজকে আপনাদের সাথে আমার বাবাকে নিয়ে হসপিটালে যাওয়ার কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে উপস্থিত হয়েছি। গত কয়েকদিন আগে আমার বাবার অসুস্থতার কারণে হসপিটালে নিয়ে যায়, বাবাকে নিয়ে গিয়েছিলাম সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে। হাসপাতালটি নতুন নির্মাণ করা হয়েছে। আমাদের সিরাজগঞ্জের মধ্যে সবচেয়ে বড় হসপিটাল মনসুর আলী হসপিটাল। সেখানে উন্নত মানের ডিজিটাল মেশিন দিয়ে পরীক্ষা করা হয়।
তাই আমি আমার বাবাকে মুনসুর আলী হসপিটালে নিয়ে গেলাম, সেখানে যাওয়ার পরে আমি আমার ফুফাতো বোনের সাথে যোগাযোগ করলাম, কারন আমার ফুফাতো বোন ওই হসপিটালের একজন কর্মকর্তা। তাই আমি আমার ফুফাতো বোনের সাথে যোগাযোগ করার কারনে আমার বোন একটা টিকিট কেটে আমাদেরকে ডাক্তারের রুমের সামনে নিয়ে গেল। ডাক্তারের রুমের সামনে গিয়ে দেখি পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিড় হয়েছে, দুঃখের বিষয় হলো সেখানে কোন ডাক্তার নেই।
সেখানে শত শত রোগী লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছে কিন্তু ডক্টর না থাকার কারণে অনেকটাই ভোগান্তির শিকার হচ্ছে অসুস্থ লোকজন। তাই আমার ফুফাতো বোন আমাদেরকে অন্য মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখানোর জন্য পঞ্চম তলায় নিয়ে গেল। পঞ্চম তলায় একজন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ বড় ডাক্তার ছিলেন। আমার বাবার থেকে সবকিছু শুনে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা করতে দিলেন।
আমরা পরীক্ষা করার জন্য নিচে নিয়ে গেলাম, কিন্তু ততক্ষণে টিকিট জমা নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল। যেহেতু আমার ফুফাতো বোন সেখানকার কর্মকর্তা তাই অনুমতি ছাড়াই ভিতরে ঢুকে পড়লেন এবং টিকিট জমা দিয়ে বেরিয়ে আসলেন। অল্প কিছু সময়ের মধ্যেই আমাদের নাম ডাকলেন এবং ডিজিটাল এক্স- করলেন। তখন বুঝতে পারলাম যদি পরিচিত কেউ না থাকে তাহলে কি পরিমান ভোগান্তির শিকার হতে হয় যা অন্যদের দিকে তাকিয়ে বুঝতে পারলাম।
কেউ কেউ বলছে আমরা সকাল আটটার সময় এসে দাঁড়িয়ে রয়েছি কিন্তু আমাদের সিরিয়াল এখনো আসলো না, অথচ আমাদের পরে এসে অনেকেই আমাদের আগে চলে যাচ্ছে। এই সম্পর্কে হয়তো আপনাদেরও অভিজ্ঞতা আছে, কারণ বাংলাদেশের সব হসপিটাল গুলো এরকম। যার লোক আছে তার চিকিৎসা দ্রুত হয়ে যায় আর যার লোক নেই সে মাসের পর মাস হসপিটালের বারান্দায় কাতরাতে থাকে। যাইহোক এই বিষয়ে বলতে গেলে আরো অনেক কথা যা বলেও শেষ করতে পারবো না।
এরপর আমি আমার বাবার সমস্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে রিপোর্টগুলো হাতে নিলাম। রিপোর্টগুলো ডাক্তারকে দেখানোর সাথে সাথে ডাক্তার বলল রিপোর্ট মোটামুটি ভালো। শুধু নিউমোনিয়ার একটু সমস্যা আছে। তাই সব ধরনের ঠান্ডা থেকে বেঁচে থাকতে হবে। একটা প্রেসক্রিপশন করে দিল আমরা ওষুধ নিয়ে বাসায় চলে আসলাম।
হসপিটালে যাওয়ার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে পরবর্তীতে আরো লিখব ইনশাআল্লাহ।
আমার ব্লগটি পড়ার জন্য আপনাদেরকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। |
---|
Device | Name |
---|---|
Android | Realme 12 Pro |
Camera | 50MP 32MP 8MP |
Location | Bangladesh 🇧🇩 |
Short by | @abdulmomin |
X promotion
https://x.com/Monarul265535/status/1813287416842629350?t=eU9Sr78Hb04U7xCDNjr9_A&s=19
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit