আজকে খুব সকালে ঘুম থেকে উঠি। ঘুম থেকে উঠেই আমার দাঁত ব্রাশ করি। তারপর হাত মুখ ধুয়ে নিই। তারপর কিছুক্ষণ হাটা চলা করি।তারপর সকালের খাবার খাই।
প্রত্যেকদিন সকালেই আমার খাবার খাওয়া একটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। তাই সকাল সাতটার মধ্যে আমার খাবার খেতে হয়। খাবার খেয়ে আমি কাজ করার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে গেলাম।
বাড়ি থেকে বের হয়ে বেশ কিছুক্ষণ হেঁটে আমি আমার জমিতে গিয়ে পৌঁছাই। তারপর মরিচের জমিগুলো ভালো করে ঘুরে দেখে নিলাম। যেহেতু সামনে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে এবং বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে সেজন্য পানি যেন তাড়াতাড়ি জমি থেকে বের হয়ে যেতে পারে সেই জন্য আপনি বের হওয়ার রাস্তা পরিষ্কার করে দিতে হবে। এইজন্য এই কাজটা প্রথমে আমি শুরু করলাম।
কুদাল দিয়ে পানি বের হওয়া রাস্তাগুলো পরিষ্কার করতে থাকলাম। আশপাশে মরিচের ছোট চারা থাকায় খুব খেয়াল করে পা ফেলতে হচ্ছে। যাকে মরিচের চারা পায়ের নিচে করে ভেঙে না যায়। এবং কোদাল দিয়ে তোলা মাটি গুলো খেয়াল করে ফাঁকা জায়গায় রাখতে হয়। মাটির নিচে যদি মরিচের চারা পড়ে তাহলে ভেঙে যাবে।
আমার পাশের ক্ষেতে আমার এক ভাতিজা সে তার জমিতে মাটি নরম করার কাজ করতেছি। সে একাই লোহার তৈরি যন্ত্র দিয়ে এ কাজ করিতেছে। বৃষ্টি হওয়ার কারণে সবার আবাদি জমির মাটি গুলো শক্ত হয়ে গেছে। যার কারণে সবাইকে মাটির নরম করে দিতে হচ্ছে। শক্ত মাটিতে চারা গাছের শিকড় বৃদ্ধিতে খুবই সমস্যা হয়। সেই জন্য মাটি নরম করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মরিচের গাছের শিকড় যত তাড়াতাড়ি থাকবে গাছ তত শক্তিশালী হবে। বৃষ্টি ও বাতাসের সহজে মাটিতে শুয়ে পড়বে না। বৃষ্টি ও বাতাসের সাথে মাটি নরম হয়ে যায়। তখন সেকট কম থাকা গাছগুলো মাটির সাথে শুয়ে পড়ে। ওই গাছগুলো আবারো সোজা করতে গেলে শিকড় ছিড়ে গাছ মারা যায়।
ভাতিজার সাথে আলোচনা শেষ করে আমি আমার ধানের জমিগুলো দেখতে ধানের জমিতে চলে আসলাম। আর এক সপ্তার মধ্যে ধানগুলো সিটে যাবে। শেষ বের হয়ে গেলে ফলন ভালো করার জন্য এখানে এক ধরনের বিষ প্রয়োগ করতে হইবে। কিছুদিন পর পর বৃষ্টি হওয়ার কারণে অনেকদিন যাবত ধানেতে কোন প্রকার সেচ দিতে হয় না। এখনো আমার জমির মধ্যে বৃষ্টির পানি জমা হয়ে আছে। এই বছর আর এই ধানের মধ্যে কোন প্রকার সেচের প্রয়োজন হবে না। বৃষ্টি হওয়ার কারণে এখন ধানের মৌসুম ভালোভাবে যাচ্ছে। কৃষকের বাড়তি কোন সেচের খরচ হচ্ছে না। এইজন্য আল্লাহ তাআলার কাছে হাজার হাজার শুকরিয়া আদায় করছি আলহামদুলিল্লাহ।
ধানের জমিগুলো দেখে আবারও বেশ কিছুক্ষণ সময় আমি আমার জমিতে কাজ করে নিলাম। বেশ কিছুক্ষণ কাজ করার কারণে শরীর ক্লান্ত হয়ে গেছে। তাই একটা গাছের নিচে বসে বিশ্রাম নিলাম। এবং কিছু পানি পান করে নিলাম। তারপর আবারো কাজ করবো শেষ করে বাড়ির দিকে রওনা শুরু করলাম। বাড়িতে এসে মুখ ধুয়ে দুপুরের খাবার খেলাম। ওরে খাবার খেয়ে কিছুক্ষণ হাঁটাচলা করে শুয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম।
বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে ঘুম থেকে উঠে আমি গোসল করে দিলাম। গোসল করে আবারো কিছু খাবার খেলাম। খাবার খেয়ে সন্ধ্যার দিকে আমাদের বাজারে চলে আসলাম। বাজারে এসে একটা চায়ের দোকানে বসে চা খেয়ে নিলাম। এখানে আরো আমাদের এলাকার কিছু লোক ছিল। সবাই মিলে তাদের ফসলের বিবরণ গুলো বলতে থাকলাম। কার ফসল কেমন হয়েছে সে বিষয়ে আলোচনা করলাম। সবাই এক ধরনের অস্বস্থির মধ্যে রয়েছে। মরিচের চারা গুলো অনেকের মরে যাচ্ছে। তাই চিন্তা ভাবনা করে সকলেই বিভিন্ন রকমের বিষ নিয়ে যাচ্ছে। যাতে করে মরিচের চারা মরা থেকে রক্ষা পায়। তারপর রাত সাড়ে আটটার দিকে বাড়িতে চলে আসলাম। বাড়িতে এসে রাতের খাবার খেলাম। তারপর শুয়ে পড়লাম। এই ছিল আজকে আমার সারা দিন। সকলের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি। সকলকে আবারো সালাম আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।