আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।
সবাই কেমন আছেন। আমি আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি আল্লাহ তাহালার অশেষ রহমতে।
![]() |
---|
আমি সকাল সাতটা বাজে ঘুম থেকে উঠি। মুখ ধুয়ে ফ্রেশ হই। তারপরে কিছুক্ষণ মোবাইল দেখি। সাতটা চল্লিশে কাজে যাওয়ার জন্য রেডি হই। আমি কাজে চলে যাই ৭ টা ৫০ এ। কাজে যাওয়ার পর আমার প্রথম কাজ চুলের উপরে পাতিলা বসানো। চুলার উপরে পানির লাইন আছে পানি ছেড়ে দিয়ে পাতিলার উপরে। তারপরে এই দিক দিয়ে আমি চাউল গুলো দোয়া হয়ে যায়। তার ২০ মিনিট পর পানিটা গরম হয়ে যায়। প্রথম পাতিলের মাঝে চল্লিশ কিলো চাউল ঢাইলা দি। ৪০ কেজি চাউল হয়ে গেলে দ্বিতীয় পাতিলার মাঝে আবার ২৫ কেজি চাল ঢাইলা দি। এসব কিছু আমার কাজ হয়ে গেলে। আবার আমি বালটির মাঝে ৬০ কেজি চাল ঢেলে দিয়ে পানি দিয়ে আসি। এগুলো আমি রাত্রে পাক করব এজন্য বালটির উপরে পানি দিয়ে আসি চাউলে। আমার কাজ শেষ হয়ে যায় সাড়ে ১১ টা বাজে। কাজ শেষ করে রুমে আসে ফ্রেশ হয়ে।
![]() |
---|
এটা হচ্ছে এশিয়ানদের জন্য রাত্রে খানা পাক করতেছে। আমাদের এই জায়গায় এশিয়ান আছে ৪৪৫ জন। এর মধ্যে বাঙালি আছে ৮৫ জন। পাকিস্তানি আছে ১৬০ জন। ইন্ডিয়ান আছে ১৭০ জন। আরো নেপালী আছে ৩০ জন। টোটাল আমাদের এখানে এতজন এশিয়ান আছে। এরা সব হচ্ছে শ্রমিক। এ ৪৪৫ জনের মধ্যে কোন সিনিয়র জুনিয়র নাই। সিনিয়র জুনিয়র এর খাবার আলাদা হয়। এটা হচ্ছে এশিয়ানদের জন্য চিকেন কারি।
![]() |
---|
এর নাম হচ্ছে ম্যাক্স। ফিলিপাইন খানার শেপ। রাতে ফিলিপাইন সিনিয়রদের জন্য। চিকেন বারবিকিউ বানাবে এই জন্য কাটতেছে। আমি তাকে বললাম কতজন সিনিয়র আছে। ও বলল ফিলিপাইনি সিনিয়ার আছে ৪০ জন। ও আমাকে বলল তুই এগুলো দেখচ কেন। বলল তোদের বাংলাদেশে কি ফিলিপাইনে লোকজন আছে। আমি বললাম হ্যাঁ মাঝেমধ্যে দেখা যায় তাদেরকে। ও আমাকে বলল তাইলে তুইও ফিলিপাইনে খানা বানানো শিখে যা। আমি বললাম তোরা যে খানা বানাস এখানে বাংলাদেশে চলে না। আমাদের কিচেনের ভিতরে এত গরম পড়তে ছিল যে আমার আর ভালো লাগতেছে না। তাই আজকে আমি জলদি কাজ শেষ করে নিয়েছি।
![]() |
---|
এটা হচ্ছে রাত্রের বেলা বিরানি বানাইছিল সবাই মিলে। দুই তিন দিন আগে আমরা একটা ছাগল কিনে নিয়ে আসতে ছিলাম। অনেকদিন হলো আমরা বাঙালিরা সবাই মিলে একসাথে খানা খাই না। আমার একেকজনের কাজ একেক টাইম এই জন্য সবাই একসাথে খানা খাওয়া হয় না। এ ছাগলটা কিনে নেও আসার কারণে আমারা সবাই একসাথে খানা খাইতেছি। খানা শেষ করে বা তারপরে আমি সাড়ে আটটা বাজে কাজের জন্য রেডি হলাম। তারপর রাত্রে বেলা কাজ করলাম। আমার কাজ শেষ হলো ১১ টা বাজে। কাজ শেষ করে রুমে এসে কিছুক্ষণ রেস্ট করলাম। ভুল মানুষেরই হয়। আমার যদি কিছু ভুল হয় দয়া করে ক্ষমা করে দিবেন। সবাই সুস্থ থাকবেন ও শান্তিতে থাকবেন। সবার পরিবার দিয়ে খেয়াল রাখবেন ও যত্ন নিবেন।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
ভাই আপনি এত ব্যস্ততার মধ্যেও আপনার পুরো দিনের রুটিনটি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। এটাই আমাদের জন্য অনেক কিছু।
আপনি একজন প্রবাসী সারাদিন কত পরিশ্রম করেন তারপরও আপনার মুখে একটি মৃদু হাসি লেগে আছে যা আসলে আমাকে মুক্ত করেছে।
আপনারা সকল বাঙালিরা মিলে যে ছাগল দিয়ে বিরানি রান্না করে খাচ্ছেন সেটা দেখে আমার তো ভাই খুব লোভ হচ্ছে খাওয়ার জন্য! কবে আমাকে দাওয়াত দিয়ে খাওয়াবেন তাই বলেন?
ভাই আপনাকে একটি কথা বলব কিছু মনে করবেন না বা এটাকে উপদেশ হিসেবেও নিবেন না!
আপনার পোস্ট যথেষ্ট সুন্দর হচ্ছে কিন্তু আপনি চাইলে আরো একটু সুন্দর করতে পারেন আপনার পোস্টটি।
আপনার লেখাটি যদি ছোট ছোট একটি প্যারা করে লেখেন তাহলে লেখাটি আরো সুন্দরভাবে ফুটে উঠবে। এই যেমন ধরেন আপনার পোস্টে এখন আমি যেই কমেন্টটা করছি ছোট ছোট একটি প্যারা করে করছি এতে দেখতে পোস্টটা একটু সুন্দর লাগে।
এবং পোষ্টের বানানের দিকটা একটু সতর্কভাবে দেখবেন এতে পোস্টের কোয়ালিটি আরো বৃদ্ধি পাবে।
অবশেষে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসসালামু আলাইকুম রাহমাতুল্লাহ বারকাতুহু। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আমার ভুলগুলো আমাকে দেখায় দেওয়ার জন্য। ইনশাআল্লাহ আমি চেষ্টা করব প্যারাগুলা ছোট ছোট করে দেওয়ার জন্য। আমি চেষ্টা করব আপনাদের সাথে মিলে মিশে চলার জন্য। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টে রিপ্লাই দেওয়ার জন্য। এবং আমার কথাগুলো বুঝতে পারার জন্য।
কিন্তু এখনো আপনি আমাকে ছাগলের মাংস দিয়ে বিরিয়ানি খাওয়ানোর দাওয়াত কিন্তু দিলেন না!
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit