প্রিয় বন্ধুরা আসসালামু আলাইকুম।
নিশ্চয়ই আপনারা সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন!
আজকে আমি আলাদিনের প্রদীপ বা চেরাগের মজার গল্প নিয়ে আলোচনা করবো।
source
তাঁর আগে আরেকটি কথা বলতে চাই। তা হলো। আলাদিনের গল্পের শুরুটা আমার জীবনের সাথে মিল আছে। আমার বয়স যখন ৭অথবা ৮ হবে তখন আমার বাবা আমাকে পড়াশোনা করার জন্য একটি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করিয়ে দেয়। আমি অনেক
কান্নাকাটি করতাম। ইনস্টিটিউটে যাইতে চাই তাম না। আমি ছোট মানুষ তাই পড়াশোনার মর্যাদা বুঝতামনা।
বাবা-মা আমাকে বুঝিয়ে ও বিভিন্ন খাবারের লোপ এবং অনেক কিছু দিবে এই কথা বলে আমাকে ভুলিয়ে বুঝিয়ে ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাইতো। আমি যখন ক্লাস ফাইবে উঠবো তখন ক্লাসে যাইতে চাইনা। এদিকে সেই দিকে ছুটাছুটি করি। কিছু দিন পরে আমার বাবা মারা গেল। আমরা খুব গরীব ছিলাম।
তাই আমার বাবা মারা মারা যাওয়ার পর সংসার চালানোর দায়িত্ব আসে আমার মায়ের উপর। তিনি অনেক ভালো মানুষ ছিলেন। আমার বাস্তব জীবনের প্রথম দিকের টা আলাদিনের গল্পের সাথে মিল পাওয়া যায়। আলাদীনের বাবা ছিলেন একজন দর্জি। তিনি সেলাইয়ের কাজ করে। বাবা আলাদিন কে স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেয়। কিন্তু আলাদিন পড়াশোনায় মনোযোগি নয়। কিছু দিন পর৷ আলাদিনের বাবা মারা যায়।
সংসার চালানোর দায়িত্ব আসে মায়ের কাদে। মা খুবই কষ্টের ভিতর জীবন যাপন করে। একদিন আলাদিন রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে হঠাৎ একজন দরবেশ এলো এবং বল্লো তুমার নামনা আলাদিন। তুমি না অমুকের ছেলে। তোমার বাবা কেমন আছে? আলাদিন ভারাক্রান্ত মন নিয়ে বল্লেন চাচা আমার বাবা মারা গেছ। দরবেশ বল্লেন বলো কি আলাদিন। এই বলে হাউমাউ করে কান্না করতে লাগলো। দরবেশ বল্লেন আমি তোমাদের বাড়ি যাবো। আলাদিন দরবেশকে নিয়ে বাড়িতে রওনা দিলো।
দরবেশ দেখলো আলাদীনের আর্থিক অবস্থার অবনতি তাই সে কিছু তাদেরকে দিলো এবং আলাদীনের মাকে বল্লেন 'আমি আলাদিন কে নিয়ে শহরে যাবো। আমি তাকে কাজ দিবো তাহলে আপনাদের কোনো অভাব থাকবেনা।আলাদিনের মা খুবই খুশি। দরবেশ আলাদিন কে নিয়ে শহরে রওনা হলো।
শহর পার হয়ে একটি জঙ্গলের পাহাড়ের উপরে প্রবেশ করেছে। পাহাড়ের উপরে গিয়ে দরবেশ একটি যাদু দেখালেন। চারিদিকে ধুয়ো আর ধুয়ো। পাহাড়ের ভিতর একটি গরতো হয়ে গেলো। দরবেশ আলাদিনকে বল্লেন এই গরতো দিয়ে তুমি ভিতরে প্রবেশ করবে। দরবেশ আলাদিন কে একটি আংটি দিয়েছেন এবং বেল্লা এই দিক দিয়া প্রবেশ করলে তুমি তিনটি জিনিস দেখতে পাবে তা হলো
১। একটি তামার পাত্রে স্বর্ণ
আরেকটু সামনে গেলে পাবে
২।রূপার পাত্রে স্বর্ণের গুরু।
আরেকটু সামনে গেলে পাবে
৩।স্বর্ণের পাত্রে স্বর্ণের মহর
আলাদিন আরেকটু সামনে গেলে পাবে একটি প্রদীপ। আমাকে সেই প্রদীপটা এনে দিবে। আলাদিন দরবেশের কথা মতো প্রদীপ নিয়ে গর্তের মুখে যখনই আসলো তখন দরবেশ বল্লো আমাকে প্রদীপটা দাও।আলাদিন বল্লেন আমি৷ আগে উপরে উঠি। দরবেশ বল্লেন তুইতোকারি করে তুই আমার কেহই না।
আমাকে এটা তারাতাড়িদে।দরবেশ আলাদিনের কাছথেকে প্রদীপ নেওয়ার জন্য যখন জোরাজোরি করলো অমনি প্রদীপটা নিচে পড়ে গেলো। আলাদিন প্রদীপটা আনার জন্য নিচে গেলো। এই দিকে দরবেশ পাহাড়ের গোহাড় মুখ আটকিয়ে দিলো এবং দরবেশ চলেগেলো। ঐ দিকে আলাদিন যখন প্রদীপ হাতে নিল তখন হাতের আংটির সাথে ঘষামাজা লাগলো প্রদীপের। সাথে সাথে বাহির হয়ে আসলো একটি দৈত্য বল্লেন আমি প্রদীপের গোলাম হুকুম করেন প্রভু।আলাদিন ভয়পেলো এবং বল্লো আমি পাহাড়ের বাহিরে যেতে চাই। সাথে সাথে সে পাহাড়ের বাহিরে চলে গেলো। আলাদীনের এবার অভাব দর হবে তার মায়ের সুখ হবে। আলাদিনের মা বল্লো এটা বাজারে বিক্রি করে অনেক অর্থ পাওয়া যাবে। একদিন আলাদিন ঘুরতে গিয়ে রাজ কন্যার দেখা পেলো। রাজ কন্যাকে তার পছন্দ হলো। সে তার মাকে জানালো। মা বল্লো রাজা কি তার মেয়ে দরজির ছেলের সাথে দিতে রাজি হবে। কিন্তু আলাদিন তো এখন ধনি। সে সবাইকে দান করে।সে অনেক উপহার সামগ্রী নিয়ে রাজ দরবারে পাঠালো। রাজা রাজি হলো। কিন্তু উজির তার ছেলের জন্য রাজার মেয়েকে নিবে তাই সে আলাদিন সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দিলো।এখন উজি রের সাথে রাজার♚ মেয়ের বিয়ে ঠিক হলো। কিন্তু বেটা উজি রের ছেলে ছিলো হাবা,মেন্ডেল তাই বিয়ের পর সংসার আর টিকলোনা।পরে আলাদীনের সাথে বিয়ে হলো।
বিয়ের পর আলাদিন বললো রাজাকে আমি আপনার রাজপ্রাসাদে পাসে অনেক সুন্দর বিল্ডিং করতে চাই।♚ রাজা পারমিশন দিলো।আলাদিন প্রদীপ ঘষা দিল। বাহির হইলো একটা বিশাল দৈত্য বল্লেন হুকুম করেন। আমি প্রদীপের গোলাম। আলাদিন বল্লো আমার সুন্দর একটি প্রাসাদ লাগবে। দৈত্য বানিয়ে দিলো। মহা আনন্দে আলাদিন জীবন যাপন করছে। ঐ দরবেশ গণনা করে আলাদীনের খোজ পেলো। একদিন আলাদিন বালিশের নিচে প্রদীপ রাখলো।সে বাড়িতে ছিলোনা। এই ফাকে দরবেশ এলো আর বলতে লাগলো পুরান প্রদীপের পরিবর্তনে নতুন প্রদীপ দেওয়ালল হয়। আলাদীনের বউ প্রদীপ নিয়া আসলো। দরবেশ প্রদীপ নিয়ে চলে গেলো।এবং ঘষামাজা করতে দৈত্য বাহির হলো।আর বললেন হুকুম করেন। দরবেশ বল্লেন এই প্রাসাদটি নিয়ে চলো। দৈত্য প্রাসাদটি নিয় গেলেন অনেক দুরে। প্রাসাদের ভিতর ছিল রাজ কন্যা। সবাই ঘুম থেকে উঠে দেখে প্রাসাদ ও রাজ কন্যা নেই। এবার সবাই বলতে লাগলেন আলাদিন একজন ভন্ড জাদুকর। তোমরা তাকে বন্দি করো। রাজ সৈন্যরা তাকে বন্দী করে নিয়ে আসলো। তখন আলাদিন রাজাকে বল্লো জাঁহাপনা এটা আপনার মেয়ে কিন্তু সে তো আমার স্ত্রী। আমাকে একটু সময় দিন আমি খুজে দেখি।
মন খারাপ করে বসে রইলো নদীর পার। এমন সময় তার হাতের আংটি ঘষামাজা খেয়ে দৈত্য বাহির হয়ে আসলো। সে দৈত্যকে তার মনের কথা বল্লো। দৈত্য সে বাড়িতে আলাদিন কে নিয়ে গেলো এবং রাজ কন্যার সাথে আলাদিনের সাক্ষাৎ হলো। এই ভাবেই শেষ হলো আলাদিনের প্রদীপের গল্প।