আসসালামু আলাইকুম,
সবাই কেমন আছেন,আলহামদুলিল্লাহ আমি ভালো আছি আল্লাহর রহমতে। আমার স্টিমেট আইডি @badshahbd, Steem For Bangladesh কমিউনিটিতে আমার প্রথম পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করছি আজ।
মহান ১০মাঘ,২৪জানুয়ারী ২০২৩ইং
মাইজভাণ্ডার আধ্যাত্মিক শরাফতের প্রতিষ্ঠাতা প্রাণপুরুষ, বাংলার জমিনে তরিকায়ে মাইজভাণ্ডারীর প্রবর্তক, খাতেমুল আউলিয়া গাউছুল আজম মাইজভাণ্ডারী হযরত মওলানা শাহ্ ছুফি সৈয়দআহমদউল্লাহ (কঃ) এঁর ১১৭তম পবিত্র ওরশ শরীফ যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ভাবে পরিসমাপ্তি হয়ে গেলো।
লাকো লাকো আশেক ভক্ত দরবার পাকে উপস্থিত হয়ে নিজ নিজ মনোবাসনা কামনায় ফরিয়াদ করেন।
আজ সেই ওরশ শরিফের কিছু কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
প্রতি বছরের মতই আমি মিশুক বদরুল হযরত কেবলার ওরশে পাকে হাজিরা দিয়ার জন্য রওনা হলাম সিএনজি যোগে,আমরা এখান থেকে রওনা হয়েছি দুপুর ২.২০ মিনিটের সময়ে।
যথা সময়ে আমার জংকার মোড়ে পৌছনোর পর লাকো মানুষের ভিড় আর গাড়ির কারনে দরবারে সিএনজি নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি,
ওখান থেকে আমরা পায়ে হেটে কিছু দূর গিয়ে অটোরিকশা নিয়ে সামান্য যাওয়ার পর আর সম্ভব হয়নি।
এবার আমরা মওলার নাম নিয়ে পায়ে হেটেই পথ চলতে লাগলাম।
ব্রিজের কাছে আসার সময় গাউছিয়া রহমানিয়া ছদরুল উলা মাইজভান্ডারি ট্রাস্ট মঞ্জিলের সামনে দেখতে পাই
আওলাদে রাসুল ( সঃ) শাহজাদায়ে গাউসুল আজম হযরত শাহ্ সূফী আলহাজ্ব সৈয়দ ছদরুল উলা মাইজভান্ডারি (প্রকাশ চেয়ারম্যান বাবা)
আমরা হযরতের দোয়ার বরকতের জন্য ওনাকে তাজিমি সালাম বিনিময় করলাম।
ওনি আমাদেরকে নির্দেশ দিলেন তাবারক খেয়ে যাওয়ার জন্য,
আমার উপরে ছাদে মাদুরে বসে তাবারক খেয়ে বাবাজান কে আবার সালাম করে রওনা হয়ে গেলাম হযরত কেবকা কাবার রওজা জিয়ারতের জন্য।
আগের ১১৬ বছরের রেকর্ড ভেঙ্গে সর্বকালের সেরা রেকর্ড গড়ল গাউসুল আজম মাইজভাণ্ডারীর ১১৭তম ওরশ মোবারক..
আলহামদুলিল্লাহ.....
আমারা হযরতের পুরনো বাড়ির রাস্তা ধেরে হাটতে লাগলাম, কারন মেইন রোড দিয়ে মানুষের জন্য পথ চলা মশকিল হয়ে যাচ্ছিলো,
আমারা হযরত কেবলা কাবা মাইজভান্ডারি জন্মস্থানে এসে পৌছালম
বর্তমানে ঔ স্থানে একটি মসজিদ স্থাপিত হয়ে আছ, মসজিদের পুকুরে ওযু করে নিলাম সবাই।
তারপর আমার মাজার প্রাঙ্গণে প্রবেশ করলাম।
প্রথমে খাতেমুল আউলিয়া গাউছুল আজম মাইজভাণ্ডারী হযরত মওলানা শাহ্ ছুফি সৈয়দআহমদউল্লাহ (কঃ) এর রওজা শরিফ জিয়ারত করলাম, তারপর হযরত শাহেবে জামান গোলামুর রহমান বাবা ভান্ডারির রওজা শরিফ জিয়ারত করলাম এ ভাবে একে একে সব রওজা শরিফ জিয়ারত করে নিলাম নিজের ও দেশের জন্য মঙ্গল কামনা করে আসলাম।
আবার ভির বাট্টার ভিতর দিয়ে আমারা জংকার মোড়ে আসলাম,এখানে আলাম যখন ঐতিহ্যগত ধারা অব্যহত রেখে এখানের বিশেষ মুলা কিনে নিলাম আমরা সবাই, মুলা গুলো বিশেষ আকৃতির বড় বড় ৫ থেকে ১৫ কেজির হয়ে থাকে এক একটি।
তারপর নাস্তা করে নিলাম সবাই এবং বাড়ির পথে রওনা হয়ে গেলাম…..
সংক্ষিপ্ত জীবনী
জন্মঃ
আহমদ উল্লাহ ১৮২৬ সালে ১৪ জানুয়ারী (১ম মাঘ, ১২৩৩ বাংলা সন) চট্টগ্রাম শহর হতে ৪০ কিলােমিটার উত্তরে তৎকালীন প্রত্যন্ত মাইজভান্ডার গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতার নাম সৈয়দ মতিউল্লাহ মাইজভান্ডারী ও মাতার নাম সৈয়দা খায়রুন্নেছা। তার পারিবারিক নাম ছিল সৈয়দ আহমদ উল্লাহ।
সৈয়দ আহমদ উল্লাহ (১৫ জানুয়ারি ১৮২৬ – ২৩ জানুয়ারি ১৯০৬) হলেন একজন সুফি সাধক ও মাইজভান্ডারী তরীকার প্রতিষ্ঠাতা। তিনি আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী নামেই বহুল পরিচিত। তার অনুসারীগণ যে সকল প্রচার- প্রকাশনা বাংলা, আরবি, উর্দু এবং ইংরেজি সহ বিভিন্ন ভাষায় ছাপিয়ে আসছে, তাতে তার নাম গাউছুল আজম হযরত মৌলানা সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী কেবলা কাবা কাদ্দাছা ছিররুহুল আজিজ /(কঃ) লিখতে দেখা যায়। এছাড়াও তিনি গাউছুল আজম, হযরত কেবলা, গাউছুল আজম মাইজভান্ডারী, বড় মৌলানা, খাতেমুল অলদ, শাঁই-এ-লিল্লাহ প্রভৃতি উপনামেও পরিচিত।
বংশ পরিচয়ঃ
আহমদ উল্লাহর পুর্ব পুরুষ সৈয়দ হামিদ উদ্দিন, গৌড়নগরে ইমাম এবং কাজীর পদে নিয়ােজিত ছিলেন। তিনি গৌড় নগরে মহামারীর কারণে ১৫৭৫ সনে চট্টগ্রামের পটিয়া থানার কাঞ্চন নগরে বসতি স্হাপন করেন; সেখানে তার নামানুসারে হামিদ গাঁও নামে একটি গ্রাম আছে। তার এক পুত্র সৈয়দ আব্দুল কাদের ফটিকছড়ি থানার আজিমনগর গ্রামে ইমামতি উপলক্ষে এসে বসতি স্হাপন করেন। তার পুত্র সৈয়দ আতাউল্লাহ তৎ পুত্র সৈয়দ তৈয়বুল্লাহর মেজ, পুত্র সৈয়দ মতিউল্লাহ মাইজভাণ্ডার গ্রামে এসে বসতি স্থাপন করেন।
শিক্ষা জীবনঃ
আহমদ উল্লাহ গ্রামের মক্তবের পড়ালেখা শেষ করার পর ১২৬০ হিজরীতে উচ্চ শিক্ষার্জনের উদ্দেশ্যে কলকাতা আলিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি হন। তিনি ১২৬৮ হিজরীতে বিশেষ কৃতিত্বের সাথে পরীক্ষায় পাশ করেন। সেখানেই তিনি তৎকালীন সর্বোচ্চ পর্যায়ের শিক্ষা সম্পন্ন করে ধর্মীয় নানা অনুষ্ঠানাদিতে আমন্ত্রিত অতিথি বা বক্তা হিসাবে যথেষ্ট সুনামের সাথে ধর্মীয় প্রচার-প্রচারণার কাজে লিপ্ত ছিলেন।
বেলায়ত অর্জনঃ
আহমদ উল্লাহ হযরত বড়পীর সৈয়দ আব্দুল কাদের জিলানী (কঃ)-এর বংশধর ও উক্ত তরিকার খেলাফত প্রাপ্ত সৈয়দ আবু শাহামা মুহাম্মদ ছালেহ আল কাদেরী লাহােরী (রঃ) নিকট বায়েত গ্রহনের মাধ্যমে বেলায়ত অর্জন করেন এবং সৈয়দ দেলাওয়ার আলী পাকবাজ (রঃ) এর নিকট হতে এত্তাহাদী কুতুবিয়তের ক্ষমতা অর্জন করেন। তিনি দিনে দ্বীনি শিক্ষাদান ও রাতে এবাদত ও রেয়াজতের মাধ্যমে সময় কাটাতেন। এভাবে কঠোর সাধনার ফলে তিনি আধ্যাত্মিক জগতের সর্বোচ্চ বেলায়ত অর্জন করেছিলেন।
মাইজভান্ডারী তরিকাঃ
ইসলাম ধর্মে আধ্যাত্মিক সাধনার ধারাবাহিকতায় উনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে কোরান ও হাদীসের শিক্ষাকে অনুসরণ করে গাউছুল আজম হযরত মওলানা সৈয়দ আহমদ উল্লাহ (কঃ)-এর আধ্যাত্মিক শক্তি ও শিক্ষাকে ধারণ করে মাইজভান্ডারী তরিকা প্রচারের সূচনা হয়। হযরত মওলানা সৈয়দ দেলাওর হােসাইন মাইজভান্ডারী (কঃ) বলেন, “এই ত্রিবিধ বেলায়তী ধারা, নবুয়তী ধারার সমন্বয়ে অর্থাৎ জাহের বাতেন তা’লীমে এরশাদী সহ শরীয়ত ,তরীকত ,হাকীকত ও মায়ারেফত প্রভাবে ও সংমিশ্রণে মাইজভান্ডারী তরীকারূপ মহা-সাগরের উৎপত্তি।”
মাইজভান্ডারী তরিকার বৈশিষ্ট্যঃ
এই তরিকা ছিলছিলার দৃষ্টিকোণে কাদেরীয়া তরিকার সাথে সম্পর্কিত। অন্যান্য তরিকার আধ্যাত্মিক বৈশিষ্ট্যগুলাে মাইজভান্ডারী তরিকায় সন্নিবেশিত হয়েছে। এই তরিকা কুরআন ও হাদিসের শিক্ষাকে পরিপূর্ণভাবে অনুসরণ করে। একই সাথে এই তরিকা অসাম্প্রদায়িক ,উদার, নৈতিক ধর্ম-প্রাধান্য সম্পন্ন, শ্রেণি-বৈষম্যহীন ও মানবদরদী। মানুষের মনে ঐশী প্রেম জাগ্রত করে সুন্দর ও ন্যায়ের পথে জীবন যাপনে মানব সমাজকে উদ্বুদ্ধ করে মানবতার ইহকালীন ও পরকালীন মুক্তি ও কল্যাণ নিশ্চিত করার শিক্ষা ও দীক্ষা দেয়।
মাইজভান্ডারী তরিকা প্রতিষ্ঠা ও মাইজভান্ডার দরবার শরীফ- এর গােড়াপত্তনঃ
হযরত গাউছুল আজম মাইজভান্ডারী (কঃ) তাঁর পীরে ত্বরিকতের নির্দেশে ১৮৫৭ সালে নিজ গ্রাম মাইজভান্ডারে ফিরে আসেন। আধ্যাত্মিক সাধক ও দোয়া প্রত্যাশীদের ভীড়ে এই সাধকের পবিত্র বাসগৃহ বিশ্ব মানবতার কল্যাণধারক এক উচ্চমার্গীয় আধ্যাত্মিক দরবারে পরিণত হয়। লােকসমাজে পরিচিতি পায় ‘মাইজভান্ডার দরবার শরীফ’ হিসেবে। হযরত কেবলার (কঃ) অসংখ্যা কারামতের ঘটনা বিভিন্ন গ্রন্থে ও লােকমুখে প্রচারিত। যেমনঃ (১) হযরতে আধ্যাত্মিক প্রভাবে মােহছেনিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা ও মােদাররেছ নিযুক্তি। (২) হযেরতের আধ্যাত্মিক প্রভাবে এক রাতে মক্কা শরীফ হতে চট্টগ্রাম শহরে হাজীর প্রত্যাগমন। (৩) হযরতের বেলায়তী ক্ষমতায় বাহুতে হাত রেখে জনৈক হাজীর অলৌকিক ভাবে বাড়ীতে প্রত্যাবর্তন (৪) হযরতের আধ্যাত্মিক প্রভাবে বাঘের মুখে লােটা নিক্ষেপে ভক্ত উদ্ধার (৫) হযরতের বেলায়তী প্রভাবে মৃত্যুকালে আজরাইল ফেরত ও ষাট বৎসর আয়ু বৃদ্ধি। (৬) হযরতের আদেশে রেয়াজ উদ্দিন উকিলের ভূ-সম্পত্তি খরিদ ও রেয়াজ উদ্দিন বাজারের পত্তন। (৭) হযরতের আশ্চর্য্য কেরামতে বগলের নীচে কাবা শরীফে মুসল্লির প্রবেশ করতে দেখা -ইত্যাদি। এই ধরনের উচ্চমাগীয় কেরামত গাউছে আজমিয়তের পরিচয় বহন করে। হযরত মুহিউদ্দীন ইবনুল আরাবীর ভবিষ্যৎবাণীঃ বিশিষ্ট ছুফী তাত্ত্বিক গবেষক ও বুযুর্গ হযরত মহিউদ্দীন ইবনুল আরাবী তাঁর ‘ফছুছুল হেকম’ গ্রন্থের ‘ফচ্ছে শীচি অধ্যায়ে হযরত গাউছুল আজম মওলানা সৈয়দ আহমদ উল্লাহ (কঃ) এঁর আগমণ ও তাঁর গাউছুল আজম হওয়ার ভবিষ্যৎবাণী করে গেছেন।
জীবনী সংগ্রহ
ওফাত ও ওরশঃ
গাউছুল আজম হযরত মওলানা সৈয়দ আহমদ উল্লাহ (কঃ) ৭৯ বছর বয়সে ২৩ জানুয়ারী ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দ ,১০ মাঘ ১৩১৩ বঙ্গাব্দ,সােমবার দিবাগত রাতে ইহধাম ত্যাগ করেন। তাঁর ওফাত দিবস উপলক্ষে প্রতি বছর ৮, ৯ ও ১০ মাঘ ৩ দিন ব্যাপী ওরশ শরীফ অনুষ্ঠিত হয়।
All images are screenshots taken from my used Mobile Vivo Y53s phone.
Your post is similar to the link mentioned below.
Similar writing sources.
I advise you to be creative. Create valuable content. be careful.
Contact me for any requirement.
Discord: @Solaymann#6464
Thank you.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
@solaymann
Sir,
For your attention, I have included a link to the text or information I added later, and I also thank you for your advice.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit