আসসালামু আলাইকুম প্রিয় স্টিমিয়ান্স আশা করছি আল্লাহ তায়ালা সুস্থতার সাথে ভালো রেখেছেন,আলহামদুলিল্লাহ আমিও সুস্থতার সাথে ভালো আছি।
আজ আমি আপনাদের সামনে আমার নতুন আরেকটি ডায়েরি নিয়ে উপস্থিত হয়েছি,ইনশাআল্লাহ আপনাদের আমার লিখা ডায়েরি পড়ে ভালো লাগবে আশা করছি।
দিনটি ছিলো বৃহস্পতিবার,আমার আম্মু অনেক দিন ধরে অসুস্থ,উনাকে নিয়ে আমাদের সিরাজগঞ্জ "খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল এন্ড কলেজ" যাওয়ার পোগ্রাম ছিলো আজ,আম্মুকে প্রায় এক বছর+ধরে ওখানেই চিকিৎসা করানো হচ্ছে।
সে উদ্দেশ্যে আমরা খুব ভোরে বের হয়েছিলাম,রাত ৩টার দিকে আম্মু নওগাঁ হতে রওনা দিয়েছিলেন,আর আমি বগুড়া থেকে গাড়িতে উঠেছি,যাওয়ার পথে আমাদের ড্রাইভার গাড়িতে গ্যাস উঠানোর জন্য গাড়ি থামালেন।
ভাববেন না যে এটা আমাদের নিজস্ব গাড়ি,বরং গাড়িটি আমরা ভারা করেছিলাম সিরাজগঞ্জ যাওয়ার জন্য।
আমরা সকাল ৭টার সময় হসপিটালে পৌঁছে যাই,হসপিটালের মেইন গেট তখনো খোলা হয়নি তাই আমরা বাহিরে বসে ছিলাম।
যেহেতু গেইট এখনো খুলেনি তাই আমি হসপিটালের সামনের ঘোরাঘুরি করছিলাম।আর ফোন দিয়ে ছবি উঠাচ্ছিলাম।
হসপিটালের পরিবেশ নজরকাড়া সৌন্দর্যতা দিয়ে ঘেরা,হসপিটাল মালিকের রুচির প্রশংসা করতে হয়।সাধারণত হসপিটাল গুলো খুব নোংরা থাকে,তবে এখানে সবকিছু পরিস্কার পরিচ্ছন্ন।
আমি একটু হসপিটালের বাগানে ঘুরছিলাম,অনেকক্ষণ গাড়িতে থাকার কারণে দম বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছিলো,তাই ভাবলাম বাগানে গিয়ে কিছুক্ষণ ফ্রেশ অক্সিজেন গ্রহন করি,বাগানে গিয়ে দেখি এখানে আরও অনেকেই বসে আছে।বাগান খুব বেশি সুন্দর, বাগানের ফুল গুলো আরও বেশি সুন্দর।
বিভিন্ন এঙ্গেলে ফুল গুলোর বিভিন্ন ছবি উঠালাম,একটু সামনে যেতেই আরেকটি সাদাফুলের গাছ দেখলাম,এই ফুল আরও দারুণ লাগছিলো,তাই ফুল গুলোর ছবি ধারণ করতে একটুও ভূল করিনি।
সাদাফুলের ছবি নেওয়ার পর ভাবলাম বাগানের কয়েকটা ছবি নেই,তাই বাগানের ছবি উঠালাম।
এরপর হসপিটালের সামনে গিয়ে দেখলাম খুলেছে কি না,একটুপরেই গেইট খুলে দিলে আমরা ভিতরে গেলাম,আম্মুকে বসে দিয়ে আমি টিকেট নিয়ে এক নং কাউন্টারে দাঁড়িয়ে থাকলাম,তারপর যখন টিকেট পেলাম তখন থেকে আম্মুর সাথে বসে থাকলাম,শুনলাম আম্মুকে যে ডাক্তার দেখাবো উনি অপারেশন করছেন তাই আসতে দেরি হবে,তাই আমরা ভাবলাম এই সুযোগে সকালের খাবার খেয়ে নেই।তাই আমরা খাওয়ার উদ্দেশ্যে হোটেলের দিকে রওনা দিলাম,এই হোটেল গুলোতে যমুনা নদীর মাছ রান্না হয়,বিশ্বাস করুন হোটেল গুলোর রান্না এত বেশি স্বাদ,এত বেশি স্বাদের তরকারি আমি অন্য কোন হোটেলে কখনোই খাইনি।
আমরা খাওয়ার জন্য চিংড়ী ও গরুর গোস্ত নিলাম,আমার কাছে মাছের ভিতরে সবচেয়ে বেশি প্রিয় হলো চিংড়ি মাছ,আমার এই মাছ খুব পছন্দ,এক বাটি তরকারি ১৫০ টাকা গরুর গোস্তও ১৫০ টাকা বাটি।
খাবার খাওয়া শেষে আমরা হসপিটালে গেলাম,ডাক্তার আসতে অনেক দেরি করেছে,আর আমাদের সিরিয়ালও ছিলো অনেক পরে তাই অনেক বেশি দেরি হয়েছে,আর এদিকে আমার আম্মু অনেকক্ষণ বসে থাকার কারণে অনেক কষ্ট হচ্ছিলো,আমার ভিষণ কষ্ট লাগছিলো,তাই আমি ডাক্তারের কাছে গিয়ে খুব অনুরোধ করে বললাম স্যার আমার আম্মুর অনেক কষ্ট হচ্ছে,যদি একটু দেখতেন,স্যার আম্মুর বিষয় বুঝতে পেরে একটু পরেই আমাদের ডাক দিলেন,ডাক্তার আম্মুর আগের ঔষধ বদলে দিয়ে নতুন করে আবার ঔষধ দিলেন।
আমার আম্মু অনেক বেশি অসুস্থ,নওগাঁ ও রাজশাহীতে অনেক ডাক্তার দেখিয়েছি,তবে কিছুই হয়নি,শেষে আমরা যখন এখানে দেখিয়েছি,আলহামদুলিল্লাহ,আগের তুলনায় আমার মা এখন ভালো আছেন,তবে পরিপূর্ণ সুস্থ না,বিশ্বাস করুন একটা ছেলের জন্য মায়ের অসুস্থ মুখ দেখার মত কষ্ট মনেহয় এই পৃথিবীতে আর নেই,আমি।দোয়া করি মন থেকে।পৃথিবীর সমস্ত পিতা মাতার জন্য,আল্লাহ যেন পৃথিবীর সমস্ত পিতা মাতাকে সুস্থতার সাথে দীর্ঘজীবী করেন।
ডাক্তার দেখানো শেষ করে ড্রাইভার আমাদেরকে বললেন নদী পাড়ে ঘুরতে যাওয়ার জন্য,যমুনা নদীতে এখন অনেক পানি,নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে নদী দেখতে অনেক ভালো লাগছিলো।
নদীর পাড়ে একটু দাঁড়াতেই দেখলাম,আকাশ মেঘে কালো হয়ে গেছে,তাই আমরা আর দেরি না করে সাথে সাথে গাড়িতে উঠলাম।গাড়িতে উঠার একটু পরেই প্রচন্ড বৃষ্টি শুরু হলো।আমার মনেহয় এই বৃষ্টি এই বছরের সেরা বৃষ্টি।
এরপর আমরা গাড়িতে করে ধিরে ধিরে বাড়িতে আসতে।লাগলাম,বাসায় পৌঁছাতে পৌঁছাতে আমাদের রাত ১১:৩০ বেজে গিয়েছে।বাসায় এসে খাবার খেয়ে তারাতাড়ি সুয়ে পড়লাম কারণ সারাদিন অনেক পরিশ্রম হয়েছে আমার।
এই ছিলো আমার আজকের ডায়েরি,আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি,আপনাদের সকলের কাছে আমার আম্মুর জন্য বিশেষ ভাবে দোয়া চাচ্ছি,আল্লাহ যেন আমার আম্মুকে পরিপূর্ণ সুস্থতা দান করেন সকলেই দোয়া করবেন,আসসালামু আলাইকুম
@habib35
X promotion link
https://x.com/MdHabib86056390/status/1812110533073768546?
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Hi, Greetings, Good to see you Here:)
Thank you very much for sharing a beautiful article with us. Hope you stay active and keep engaging with everyone. Join our Discord servers for help. Click the link below to join our discord server. https://discord.gg/6by5BAtAAC
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit