স্টিম ফর বাংলাদেশ এর সকল সদস্যদের আমার শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আজকের প্রতিবেদনটি শুরু করছি।
আমার আজ এই পোষ্টটি বাংলা ভাষায় লেখার কারন পোস্ট পড়লে বুঝবেন।
আমি আজ কলকাতার একটি কলেজের ভর্তির ঘটনা নিয়ে বৈষম্যের কথা জানবো।
আমার জানা কলকাতায় দুটি কলেজ আছে যাকে আমরা মিশনারি কলেজ বলে চিনি। এই কলেজে দুটি হল সেন্টজেভিয়ার্স আরেকটি হল লরেটো। এই দুই কলেজের প্রধান সবসময় একজন ফাদার বা ব্রাদার বা সিস্টার হতেন। সেন্টজেভিয়ার্স কলেজে ১৯৭৭ অবধি কেবল ছেলেরা পড়তে পারত। তারপর এটা ছেলে ও মেয়েদের জন্য উন্মুক্ত হয় করাণ কলা বিভাগে ছাত্র আসন পূর্ণ হত না। এই কলেজের কখন আবেদন কারির পূর্ব পঠন পাঠানের মাধ্যম নিয়ে কোন বাচ বিচার ছিল না। এই কলেজে আমাদের বাংলা মাধ্যম স্কুলের কয়েকশ ছেলে ভর্তি হয়ে উচ্চ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। লক্ষ্মীনারায়ণ মিত্তল, জগদীশচন্দ্র বসু, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (১৯২১) অন্যতম পৃষ্ঠপোষক) কয়েকজন প্রাক্তনী।
উইকিপিডিয়াসেন্টজেভিয়ার্স কলেজে
লরেটো কলেজ ও লরেটো হাউস স্কুল একি অঙ্গনে মেয়েদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এই কলেজের আভিজাত্য ও সামাজিক অবস্থান খুবই উচ্চাভিলাসী ছিল। কোন বাংলা মাধ্যমের স্কুল থেকে পাশ করা মেয়ে কখনো লরেটো কলেজে পড়ার কথা ভাবতেই না। এখানে শুধু ইংরেজি মাধ্যমের স্কুল থেকে পাশ করা মেয়েরাই পড়তে আসতো। এখানে সত্যি যে বাংলা মাধ্যমের ছাত্রী ভর্তি নিষিদ্ধ ছিল এটা আমার জানা ছিল না, কারণ এই নিয়ে কোন বিতর্ক প্রকাশ্যে আসে নি। শুধু মাত্র বাংলা ও হিন্দি বিভাগ ছাড়া সব বিষয়ে তারা ইংরেজি ছাড়া অন্য মাধ্যমের ছাত্রীদের ভর্তি নিষিদ্ধ করে রেখেছিল। প্রসঙ্গত এই কলেজটি ১৯১২ খৃষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয়।
উইকিপিডিয়া কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
গত ২০২৩-২৪ শিক্ষা বর্ষে এক ছাত্রীর আবেদন প্রত্যাহারের ঘটনা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের নজরে এলে তারা কলেজের সঙ্গে যোগাযোগ করে এর সমাধান করেন। কলেজ কর্তৃপক্ষ আবেদনকারিদের ভাবাবেগের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন ও ভর্তির আবেদন থেকে শিক্ষা মাধ্যমের প্রশ্ন সরিয়ে নেয়। বর্তমানে সকল ছাত্রীদের জন্য আবেদন মঞ্জুর করা হয়। যদিও কলেজের প্রধান অধ্যক্ষ কৃশ্টিনী (Christine Coutinho) কোনো বৈষম্যের মতামতকে অস্বীকার করেন।
উইকিপিডিয়াMary Ward
https://x.com/tanmoytweets_/status/1675770981338714112
যদিও এটা প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে সমাধান হয়। কিন্তু আদি অনন্ত কাল থেকে মিডিয়ামের বৈষম্য চলে আসছে। ইংরেজি মাধ্যমের যারা অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী তারা সবসময় বাংলা মিডিয়াম ছেলেদের উচ্চারণ নিয়ে ব্যঙ্গ করে।
যাইহোক এদের জন্য " স্বদেশে পূজ্যতে রাজা বিদ্বান সর্বত্র পুজ্যতে" এ ছাড়া আর কি বলা যায়।
আবার অনেক বাংলা মিডিয়ামে পড়া ছেলে মেয়েরা হীনমন্যতায় ভোগে। তাই সবার এখন ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ঝোঁক। বাংলা মিডিয়াম স্কুল প্রায় অবলুপ্তির পথে।
আমি তিনজন @eveetim @daprado1999 @abdullahw2 সদস্যকে আহ্বান করছি এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য।
আমার এই প্রতিবেদনটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
X Link
https://x.com/Saha_tweet/status/1818574982294675799
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit