Photo design by Canva
আসসালামু আলাইকুম,
কেমন আছেন সবাই? আলহামদুলিল্লাহ আমি আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আশা করছি আপনারা ভালো আছেন। যদিও শরীর একটু দুর্বল। ঈদের দুই দিন আগে থেকে আমি এবং আমার স্ত্রী দুজনেরই ডায়রিয়া হয়েছিল। তারপর থেকে শরীরে কিছুটা দুর্বলতা আছে। যাই হোক আমাদের প্রিয় এই কমিউনিটিতে সুলাইমান ভাই একটি কন্টেস্টের আয়োজন করেছে। আমরা কিভাবে ঈদের দিন উদযাপন করলাম সেই বিষয় নিয়ে। মূলত সেটি নিয়ে আজকে লেখার চেষ্টা করছি। দীর্ঘ একমাস সিয়াম সাধনার পর আল্লাহ আমাদের জন্য ঈদের দিনটি উপহার দেন আনন্দের দিন হিসেবে। এই দিনে আমরা সবাই অনেক বেশি আনন্দ করি আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে যাই। শুভেচ্ছা বিনিময় করি। ছোট ছোট বাচ্চারা অনেক আনন্দ করে।
এবারের ঈদে যেটা হল আমাদের এখানে নামাজের টাইম ছিল সকাল ৮ঃ১৫ মিনিট। আমি সকাল সাতটা ত্রিশ মিনিটে ঘুম থেকে উঠি। আমার ওয়াইফ বলতে ছিল আটটার সময় নামাজ। তাড়াতাড়ি করে গোসল করলাম। ভুল করে পাঞ্জাবিটা এবার গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয় নাই তাই আগের দিন রাতে মাকে বলে বাবার একটা পাঞ্জাবি রুমে এনে রেখেছিলাম। তো সেটা পরে তৈরি হলাম। বাবা যাওয়ার সময় বলে গিয়েছিল আমার বাচ্চাকে সাথে নিয়ে আসতে। বাচ্চাকেও তার মা তৈরি করে দিল। বাপ বেটা দুজনে একসাথে মসজিদের দিকে রওনা করলাম। তখন আটটা প্রায় গেছে। ২ মিনিটের মত বাকি ছিল। তখনো দেখলাম বাড়ির আশেপাশে অনেকেই তখনও মসজিদে যায়নি। তারাও তখন রওনা দিচ্ছিল। তখন মনে হচ্ছিল নামাজ মনে হয় আরো পরে। মসজিদে আটটার সময় পৌছালাম। কাছেই মসজিদ। মসজিদে গিয়ে শুনি নামাজ আটটা পনের মিনিটে। যাক যাই হোক যথা সময়ে মসজিদে চলে এসেছি। মসজিদে আসার পর আটটা পনের যখন হল। হুজুর আরো ১৫ মিনিট সময় বাড়িয়ে ৮:৩০ এ নামাজের টাইম ঠিক করল। যদিও এতে অনেকেই বিরক্ত হচ্ছিল কেন আবার ১৫ মিনিট বানানো হলো। আমি নিজেও একটু মনে মনে বিরক্ত। যাতারীতি ৮:৩০ মিনিটে নামাজ শুরু হল। নামাজ শেষ হওয়ার পর খুতবা হল মোনাজাত হল এবং নামাজ শেষে ছোট-বড় সবাই একে অপরের সাথে কৌশল বিনিময় খোলাখুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে লাগলো।
নামাজ শেষ করে বাসায় ফিরলাম টেবিলে আগে থেকেই আমরা সকালের নাস্তা করার জন্য নাস্তা রেডি করেছিল। নাস্তা বলতে মূলত ঈদের দিন আমরা যে জিনিসগুলো খাই সেগুলোই টেবিলের ছিল। পায়েস সেমাই এসব জিনিস। যেহেতু সকালে যাওয়ার সময় কিছু খেয়ে যায়নি মোটামুটি খিদা ছিল পেটে। আবার যেহেতু ডায়রিয়া ছিল খেতেও একটু ভয় ভয় লাগছিল মানে আবার কোন কিছু হয় কিনা। কারণ আমার স্ত্রীকে ডাক্তার এনে স্যালাইন লাগানোর দরকার পড়েছিল। যাইহোক অল্প কিছু পায়েস খেলাম। ঈদের দিন আমার একটা বদ অভ্যাস নামাজ পড়ে এসে আমি আবার ঘুমিয়ে পড়ি। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। আমি ঘন্টাখানেক আমার রুমে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম। কারণ বিকালে আমার শ্বশুর বাড়ি যাওয়ার কথা ছিল বাচ্চাকে নিয়ে। এবার ঈদে ছুটির পরিমাণটা কম ছিল যার কারণে ঈদের দিনে শ্বশুরবাড়ি থেকে ঘুরে আসার প্ল্যান।
জোহরের নামাজ পড়ে একটু শুলাম। চিন্তা করছিলাম যে তিনটার দিকে রওনা দিব। ছেলেকে বলছিলাম ঘুমাও ঘুম থেকে উঠলে একসাথে তোমার নানা বাড়ি যাবো।
সাড়ে চারটার সময় আসরের নামাজ পড়ে রওনা দিলাম। মোটামুটি চৌমুহনে আসার পর কোনভাবে গাড়ি পাচ্ছিলাম না। গাড়ি পাচ্ছিলাম না ঠিক আসলে তা না। রাস্তায় প্রচুর পরিমাণে গাড়ি আছে, পেসেঞ্জারও আছে। সমস্যা হচ্ছে তারা কাছে যাত্রী নিতে চাচ্ছিল না। আমার বাচ্চা আবার বাসা থেকে বের হয়ে চৌমুহনে আস্তে আস্তে আমরা দুইটা গাড়ি পরিবর্তন করেছি আমার ছেলে প্রথম গাড়িতে ওঠার সময় ঘুমিয়ে পড়ে গাড়িতে। আমার শ্বশুরবাড়ি মূলত বাঁশখালী। আমি আনোয়ারা থেকে বাঁশখালী যাব। আনোয়ারা চৌমনিতে এসে প্রায় এক ঘণ্টার মতো দাঁড়িয়ে থাকতে হলো গাড়ির জন্য। খুবই বিরক্ত লাগছিল প্রায় ছয়টা বেজে যায় তখন আমরা যখন গাড়ি পাই। আমাদের বাড়ি থেকে আমার শ্বশুরবাড়ি খুব একটা বেশি দূরের রাস্তা না। এই সব মিলাইয়া ৩০ থেকে ৪০ মিনিট লাগে আর যেহেতু ঈদের দিন গাড়ি ভাড়া ও ছিল প্রায় ডবল। যেখানে আগে দশ টাকা করে যেতাম সেখানেও ২০ টাকা যেখানে ২০ টাকা সেখানে চল্লিশ টাকা। ৬ঃ৪০ মিনিটের দিকে আমি আমার শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে পৌঁছাই।
সেখানে দুই আড়াই ঘন্টার মধ্যে ছিলাম তারপর তারা থাকতে বলছিল রাত্রে যেহেতু পরের দিন আমাদের আবার আরেক দাদার বাড়িতে যাওয়ার প্ল্যান ছিল তো যার কারণে আমি রাতে চলে আসি।
শপিং এর কথা যদি বলতে হয় এবার তেমন কিছু শপিং করার আসলে প্ল্যান ছিল না। কারণ আমি যেখানে জব করি গত ছয় মাসের মতো স্যালারি আটকে আছে। তাই হাতে খুব একটা টাকা পয়সা নাই তাই শপিং করব না সেরকম একটা সিদ্ধান্ত ছিল কিন্তু আমার স্ত্রী বারবার বলছিল কিছু কিনার জন্য তখন যে বলল টাকা আমি দিবো তুমি কিনো। আমি বললাম তুমি টাকা কোথায় পাইছো তো বললে টাকা তুমি মাঝেমধ্যে যা দিছো এগুলা জমাইছি। চল আব্বা আম্মার জন্য কিনতে হবে তোমার জন্য কিনব ঠিক আছে আমি পরে সেলারি হলে তখন কিছু কিনে নেব। না সে বলল না তুমি আমাদেরকে বাড়িতে তো যাবে পুরান কাপড় করে পড়ে যাবে? তখন বের হলাম একটা দুইটা শার্ট নিলাম একটা বাবার জন্য একটা আমার জন্য। দুইটা প্যান্ট নিলাম তারপরে তিনটা লুঙ্গি নিলাম। একটা বাবার জন্য একটা আমার জন্য একটা আমার শ্বশুরের জন্য। আর আমার জন্য শাড়ি আমার স্ত্রী আগে অনলাইন থেকে অর্ডার দিয়ে রাখছিল আমার জন্য বাজার থেকে আমরা কিছু কিনি নাই ওটা অনলাইন থেকে চলে আসছে এই ছিল মূলত কেনাকাটা। মোট ৩০০০ টাকার শপিং। ১৩৩.৩২ স্টিম যদি কনভার্ট করি।
পরিশেষে বলতে চাই পরিবারের সাথে কাটানো প্রতিটা মুহূর্ত আসলে ঈদের দিন, আনন্দের দিন। আনন্দ করার জন্য আসলে বিশেষ করে প্রয়োজন হয় না। পরিবারের সদস্যরা খুশি থাকলে, তাদের মুখে হাসি দেখলে প্রতিটা দিনই ঈদের দিন মনে হয়।
Hi, Greetings, Good to see you Here:)
Determination of Club Status refers to the https://steemworld.org/transfer-search Web-based Application.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit