২০২৩ সালে আমার ফোনে তোলা কিছু ফটোগ্রাফি
from #bangladesh
Hello Steemines,,,
made by picsart
সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি ২০২৩ সালের আমার ফোনে তোলা আমার বেস্ট ন্যাচারাল ফটোগ্রাফি। আশা করি আপনাদের সবার আমার ফটোগ্রাফি ভালো লাগবে।
চনুল শুরু করি আজকের ফটোগ্রাফি পোস্ট
ছবিটি তুলেছিলাম শীতের সকালে মাঠের মধ্যে হাঁটতে গিয়ে।ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র হিম কুয়াশা ঘাসের উপর জমে একটি বিন্দুতে পরিণত হয়েছে।আপনি সৃষ্টির রহস্যের দিকে তাকিয়ে যদি চিন্তা করেন, তাহলে আপনি বিস্মিত হতে বাধ্য হবেন,কীভাবে এত সুন্দর করে ঘাসের পাতার শেষ প্রান্তে একটি শিশির বিন্দু আকাড়ে ঝুলে আছে।
নিচের ছবিটি তোলা প্রচন্ড শীতের সকালে তোলা। কুয়াশায় চারপাশে ছেয়ে গেছে। ফজরের নামাজ পড়ে হাটতে বের হয়ে রাস্তার পাশে দেখি মাকড়শার জালের সাথে কুয়াশার বিন্দু আকাড়ে ঝুলে আছে। দৃশ্যটি দেখা মাত্রই পকেট থেকে মুবাইল হাতে নিয়ে ক্লিক করে নিলাম।
নিচের ছবিটি তুলেছিলাম সুখ বিলাস কফি হাউজ থেকে।জায়গাটি আমাদের বাড়ি থেকে অল্প সময়ের পথ দূরে।কফি হাউজ অনেক দিন আগে হলেও আমি এর আগে সেখানে যায়নি।নদীতে বর্ষার পানি আসতেছে, বর্ষার পানি দেখতে ঘুরতে আসে আমার কলেজের দুই বন্ধু। আমি তাদের নিয়ে সুখ বিলাস কফি হাউজে গিয়ে বসি।বন্ধুদের সাথে সেখানে গিয়ে সবাই কফি খেলাম। আর তখন আমিও একটি ভালো ছবি তোলার চেষ্টা করলাম এবং সেই ছবিটি আমার বেস্ট ফটোগ্রাফির তালিকায় যুক্ত করিলাম।
বর্ষার সময় নদীতে নতুন পানি আসতেছে।সবাই মাছ ধরার উৎসবে মেতে ওঠে বড় মানুষেরা খেওয়া জাল নিয়ে মাছ ধরতে আসে। ছোট বাচ্চারা কেউ বর্সি ফেলে মাছ ধরে আবার কেউ হাত দিয়ে মাছ ধরে।সেখানে আমি মাছ ধরা দেখতে গেলাম।এবং অনেক গুলো ছবি তুলি কিন্তু ভালো ছবি না আসা পর্যন্ত আমি ভালো ছবি তোলার চেষ্টায় থাকি। সব ছবির মধ্য থেকে নিচের দুটি ছবি আমার কাছে বেশি ভালো লাগছে।
সময়টা ছিলো শরতকাল। শরতকাল মানেই সুন্দর আবহাওয়া, সুন্দর আকাশ, সুন্দর প্রকৃতি।আর সব কিছুকে রাঙিয়ে তোলে কাশফুল। প্রায় সবার মনেই একটি আশা জাগে যে, যদি শরতের স্মৃতি হিসেবে কাশ ফুলের সাথে নিজেকে কয়েকটি ছবির মাধ্যমে রেখে দিতে পারতাম!! আমিও সেই আশা নিয়ে গিয়ে কুষ্টিয়া রেনউইক বাদে।সেখানে গিয়ে কাশফুলের নিচে দেখি অনেক গুলো ফুল। আমি ফুলগুলোর নাম জানিনা, আপনারা যদি জানেন তাহলে আশা করি জানাবেন।কাশফুলের চেয়ে আমার কাছে সেই ফুল গুলো বেশি ভালো লেগেছিল। আমি তখনই ফুল গুলোর কয়েকটি ছবি তুললাম। সবগুলোর মধ্যে বাছাই করে একটি ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
রাস্তায় পাশে বসে আছি। পাশেই দেখি একটি ফড়িং উড়ছে, এর আগে আমি কখনো সুন্দর করে ফড়িং এর ছবি তুলতে পারিনি।অনেকবার চেষ্টা করেছি বাট তুলতে পারিনি। কাছেই যাওয়া মাত্রই উড়ে যায়।সেদিনও বার বার উড়ে যাচ্ছিলো। আমি হাল ছাড়িনি, অনেক সময় চেষ্টার পর ফড়িংটির কয়েকটি ছবি তুললাম। সেগুলোর মধ্যে থেকে একটি আপনদের সাথে শেয়ার করলাম।
নদীতে পানি প্রায় শেষের দিকে। পানি শুকিয়ে নদীতে থাকা কচুরিপানা এক সাথে জড় হয়ে গেছে।যাচ্ছিলাম ডিঙি নৌকার প্রতিযোগিতা দেখতে।আমাদের দিকে ডিঙি নৌকার প্রতিযোগিতা হয়। পানি শুকিয়ে যাওয়ার সময় নদীতে পাখিদের আনাগোনা খুব বেড়ে যায়।মাছ ধরার জন্য পাখিগুলো কোনো একটি খুঁটির উপরে আড়ি পেতে থাকে। আমরা নৌকা নিয়ে যাচ্ছিলাম।অনেকবার চেষ্টা করেছি পাখির নিকটে গিয়ে ছবি তোলার কিন্তু প্রতিবারই ব্যর্থ হয়েছি।এবারও ব্যর্থ হচ্ছিলাম ছবি ক্লিক করা মাত্রই পাখি উড়ে চলে গেলো।কিন্তু উড়ে যাওয়ার সময় আমার মনমত একটি ছবি দিয়ে গেছে। সবগুলোর মধ্যে একটি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
পরন্ত বিকেলের ডুবন্ত সূর্য। পরন্ত বিকেলে আমরা অধিকাংশ সময় মাঠের মধ্যে থাকি। মাঠের মধ্যে বসে এক সাথে গল্প করি।অনেকের দেখি ডুবন্ত সূর্যের ছবি তোলা। আমিও অনেক তুলেছি কিন্তু অধিকাংশ ছবিই আপনাদের সাথে ইতঃপূর্বে শেয়ার করা হয়েছে। আজকে আমি আপনাদের সাথে আর একটি ডুবন্ত সূর্যের ছবি শেয়ার করলাম।
ছবিটি দেখে হয়ত আপনারা আগে থেকেই বুঝতে এবং চিনতে পেরেছন জায়গাটা।বর্তমান সময়ে আমাদের কুষ্টিয়া জেলা যে কারণে প্রসিদ্ধ তা হলো লালন শাহ এর মাজার। জায়গাটি সম্পর্কে অনেকের কাছে অনেক করম কথা শুনেছি কিন্তু এর আগে কখনো লালন শাহ এর মেলাতে যায়নি।আমরা প্রতিদিন কুষ্টিয়াতেই পড়তে যায়।সেদিন পড়া শেষ করতে করতে রাত হয়ে গেলো।একজন বললো, রাত তো হয়েই গেছে চল লালন শাহ এর মেলায় গিয়ে ঘুরে আসি। সেখানে প্রতি বছর তিনদিন ব্যপি মেলা হয়। কোনো ওইরকম পরিবেশ আমি দেখিনি।দূর থেকেই লালন শাহ এর মজারের আলো দেখা যাচ্ছিলো আমি সেখানে গিয়ে অনেক গুলো ছবি তুললাম এবং আমার বেস্ট ফটোগ্রাফির তালিকায় এই ছবিটও আ্যাড করে দিলাম।।
আমি আমার আজকের ফটোগ্রাফি পোস্ট এখানেই শেষ করছি। আপনাদের কাছে যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার মূলবান মতামত দিয়ে জানাবেন। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আমি আমার পোস্ট এখানেই শেষ করছি। ততক্ষণে সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
Hi, Greetings, Good to see you Here:)
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনি তো খুব সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।ছবি গুলো খুবই সুন্দর হয়েছে।প্রত্তেকটা ছবি জাস্ট দেখার মত।আপনাকে ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
https://twitter.com/Jubayer687728/status/1744544824940970379?t=CjmS3AOuqr7MLvINWAaBiQ&s=19
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Upvoted. Thank You for sending some of your rewards to @null. It will make Steem stronger.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit