কোহিনূর #বাংলাদেশ
লোকজ শিল্প উৎসব ও কারুশিল্প মেলায় গিয়েছিলাম,তা আপনাদের সাথে বর্ণনা করব।
দিনটি ছিল শুক্রবার। সকাল ৯ ঘটিকায় ঘুম থেকে উঠি।
সকালের নাস্তা খাওয়া পরে আর বাড়িতে ভালো লাগতেছে না। কারণ শুক্র ও শনিবারে আমার বিদ্যালয় খোলা থাকে, আমি সারা দিন অনেক ব্যস্ত থাকি। শুক্রবার যেহেতু বাসায় তাই ইচ্ছে হল কোথাও ঘুরে আসি। তারপর গোসল সেরে বাসা থেকে বের হলাম। ফোন করে আটো বাড়ির সামনে আসতে বললাম। কোথায় যাওয়া যায় তা চিন্তা করলাম। এবার নিকটবর্তী বাজরে গেলাম। সেখানে যাওয়ার পর ১২ টা বেজে গেল, এবার কিছু খাওয়া যায়। একটি হোটেলে ঢুকে মুরগির গোস্তো ও কাঁচা কলার ভর্তা দিয়ে ভাত খাই।
কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে নদীর পাড়ে আসলাম। এবার ভাবতে থাকি কি করব? তারপর ট্রলারের করে নদীর ওপাড়ে যাই। চরকালিপুর এবার সিএনজি করে ভবেরচর যাই। রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে চা খাই।হঠাৎ মনে পরল সোঁনারগাও জাদুঘরে একমাস ব্যাপি লোকজ শিল্প উৎসব ও কারুশিল্প মেলা চলছে। চল এবার ঘুরে আসি।
ভবেরচর থেকে মুরগা পড়ার উদ্দেশ্য রওনা হলাম।
মুরগা পড়া বাস স্টেশনে নেমে ফুসকা খেলাম।
তারপর আটোবাইকে চরে সোনারগাঁওয়ে উদ্দেশ্য রওনা হলাম। ১৫-২০ মিনিট সময় লাগল। রাস্তায় অনেক জেম।
অটোরিকশা থেকে নেমে জাদুঘরে বিশাল গেইটে দাঁড়ালাম। আমার লাইফ পার্টনার টিকিট সংগ্রহ করল। টিকেট মূল্য জনপ্রতি ১০০ টাকা করে। তার মাঝে আবার ভিড়।
এত ভিড় মনে চাইলে আবার বাড়ি ফিরে যাই, কেন আসলাম।
ভিতরে প্রবেশ করার পর খুব ভালো লাগল, মন চায় চারোপাশে উড়ে বেড়াই।
কত সুন্দর ফুল ফুটে আছে। সবাই জোড়ায় জোড়ায় ছবি তুলছে।মেইন ফটকের সামনে দাঁড়িয়ে ছবি নিলাম ২০ মিনিটে মত অপেক্ষা করে, কারণ অনেক লোকজন, এককথায় লোকে লোকালয়।
তারপর আরো একটু ভেতরে গেলাম, ওয়াও কি সুন্দর ব্যানার পোস্টারে ভরা চারো দিক। কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে দেখলাম
ভেতরে বিশাল জায়গা আগে তো বুঝতে পারিনি, এবার হায় হায়। গেলাম আরো সামনে যেয়ে দেখি বাউল গান হচ্ছে, বউ সেজে বসে আছে, কেউ বা ঘটক, বিয়ে পরাচ্ছে কি দারুণ!!! একটু সামনে এগুতেই দেখি বউ ছি খেলা হচ্ছে। অবাক হয়ে তাকিয়ে ছিলাম। চারপাশে বাউলগানে মাতানো নৃত্য সেই সাথে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে কুদ্দুস বয়াতি আসার কথা, এবার তো আরো মজা।
চারোপাশে হরেক রকমের দোকান সব দেশি পণ্য। এ যেন এক অদ্ভুত ঘটনা। হাতে তেমন টাকা নেই , যা দেখি সবাই
ভালো লাগে, জামদানী শাড়ি, মাটির চুড়ি,কাঠের কানের দুল, পাটের ব্যাগ, মাটির হরেক রকমের জিনিসের দোকান
। নানান রকমে খাবার , ঘুরতে ঘুরতে রাত ৯ টা বেজে গেল। এবার বাউল শিল্প আসার অপেক্ষা দর্শক । বাউল শিল্প গান শুনে বাড়ির উদ্দেশ্যে ফিরে আসব। হাতে টাকার সল্পতার কারণে পছন্দের জিনিস গুলো নিতে পারছি না।
যেহেতু আমার বাড়ি থেকে সোঁনারগাওয়ের দূরত্ব ৩০-৩৫ কিলোমিটার হবে। তাই রাতেই বাড়ি ফিরে আসতে পারব।
তারপর বাড়িতে ফিরে আসি। বাংলাদেশে একটি ঐতিহ্য বাহি স্থান সোঁনার গাও লেখক-শিল্পী জাদুঘর। দেখার সৌভাগ্য হল।
আশা করি আমার ভ্রমণ কাহিনী সবার ভালো লাগবে । সৃষ্টি কর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি ।
আল্লাহ হাফেজ।
ধন্যবাদ সবাইকে।
Hi, Greetings, Good to see you Here:)
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit