❄️বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম ❄️
🅣🅗🅔 🅓🅘🅐🅡🅨 🅖🅐🅜🅔
আশা করি সবাই আল্লাহর অশেষ রহমতে ভাল আছেন সুস্থ আছেন। আমি কিছুদিন যাবত অসুস্থ থাকার কারণে আমি এস্টিমেটে কাজ করতে পারিনি। এজন্য আমার কাছে অনেক গল্প জমা পড়ে গিয়েছে। শারীরিক অসুস্থতার কারণে ঠিকমতো সবকিছু করা যায় না। আপাতত আমি একটু সুস্থ হয়েছি এবং আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি । এখন থেকে আমি ইনশাআল্লাহ এস্টিমিটে রেগুলার হব এবং নতুন নতুন গল্প আপনাদেরকে শোনাবো।
এখানে একটি বিশেষ কথা বলে রাখি, আমি আমার বান্ধবীর ফোন থেকে তোলা কিছু ছবি হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ওই দিনই নেই যেগুলো আজকে আমি শেয়ার করব। এখানে আমার তোলা বিশেষ কিছু ছবি রয়েছে।
দিনটি ছিল ১১ই ফেব্রুয়ারি ২০১৪।
আমি এবং আমার দুই বান্ধবী মিলে অনেকদিন ধরে প্লান করে আসছিলাম যে আমরা যশোরের গদখালী বৃহৎ ফুল বাগানে বেড়াতে যাব। অনেকদূর হওয়াতে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা একটু দূরে হওয়াতে আমরা বারবার প্লান থেকে ছিটকে পড়েছি। খুলনা থেকে যশোরের দূরত্ব বেশ কিছুটা রয়েছে এছাড়াও রওনা দিতে হয় খুব ভোরে।
আমরা সকাল ৯ টার ট্রেন ধরবো বলে রেডি হই। কিন্তু রেডি হতে হতে আমাদের ৯:২০ বেজে যায়। আমরা ওই সময় স্টেশনে যেয়ে দেখি ট্রেন ছেড়ে চলে গিয়েছে। আমরা ২০১৭ এবং ট্রেন স্টেশন থেকে সোজা চলে যায় বাসস্ট্যান্ডে। বাস স্ট্যান্ড এর যাওয়ার সাথে সাথে আমরা যশোরের বাস পেয়ে যাই। যার ভাড়া ছিল জনপ্রতি ১০০ টাকা। বাসের জার্নিটি অনেক লম্বা সময় ধরে ছিল এবং আমরা বেশ মজা করতে করতে যাই। আমি বাসে বসে বসে রাস্তার পাশের কিছু ছবি ধারণ করি। আমার কাছে যশোর জেলাটি কম জনবহুল একটি জেলা বলে মনে হলো। এখানে অনেক জায়গা রাস্তার পাশে ফাঁকা পড়ে আছে।
বাসে পৌঁছাতে পৌঁছাতে আমাদের প্রায় দুপুর ২ টা বেজে যায়। আজ থেকে নেমে আমরা একটি অটো রিজার্ভ করি। অটো ধরে আমরা সোজা গদখালি যেয়ে নামি। নামতেই দেখি চারিদিকে মানুষের ভিড়। সবাই সুন্দরভাবে সেজেগুজে ফুলের বাগানে এসেছে। সবাইকে দেখতেও ভালো লাগছিল এবং প্রায় প্রত্যেকের হাতে ফুল এবং মাথায় ফুল ছিল।
আমরা সকালে খুব কম নাস্তা করে গিয়েছিলাম তাই দুপুর গড়িয়ে যাওয়াতে আমাদের খিদা লেগে গিয়েছিল। আমরা দেরি না করে একটি রেস্টুরেন্টে ঢুকে পড়ে। সেখানে একটি ভালো মানের খাবার আমরা অর্ডার করি। হাতমুখ ধুয়ে খাওয়া দাওয়া করে আমরা একটু রেস্ট নিচ্ছিলাম। কারণ তখন বাইরে অনেক রোদ ছিল।
তারপর আমরা বিকাল চারটা নাগাদ বেরিয়ে পড়ি। এদিকে ফুলের এত প্রাচুর্যতা দেখে আমরা সত্যিই মুগ্ধ হয়েছিলাম। আমরা প্রথমে একটি ছাউনি দেয়া বাগানের টিকিট কাটি ৩০ টাকা দিয়ে। সেখানে অসংখ্য রকমের ফুলের সমরহ ছিল। শুধু আমরাই না সেখানে অগণিত মানুষ ছিল যারা ছবি তুলছিল এবং ফুলের সাথে নিবিড় সময় কাটাচ্ছিল।
এরপর আমরা মাথায় দেওয়ার জন্য একটি ফুলের ব্যান্ড কিনি। আমার বান্ধবী একটি ফুলের তোড়া কেনে।কাঁচা ফুলের সুগন্ধে চারিদিকে মুখরিত ছিল। আমরা অনেক দামাদামি করে অবশেষে একটি কিনি। দামটা খুব বেশি কম ছিল না। তারপরও শখের বসে আমাদের কিনতে হলো আমাদের সেই কাঙ্ক্ষিত ফুলের তোড়া।
নানান রঙের বাড়ির রকমের ফুল আমাদেরকে নতুন নতুন আশা দিচ্ছিল। মনে হয়েছিল যে সবগুলো কিনে নিয়ে বাড়ি যাই। এছাড়া ফুলের অনেক বড় বড় বাগান দেখেছি যেগুলো আগে কখনো দেখা হয়নি।
এরপর বিকেল পাঁচটার ট্রেন ধরে আমরা খুলনার উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করতে থাকিস স্টেশনে। ট্রেন কিছুটা দেরি করে এসেছিল তাই আমাদের ফিরতে ফিরতে সন্ধ্যা হয়ে যায়।
এই ছিল আমার গদখালি বেড়াতে যাওয়ার একদিন। এই দিনটিকে আমি কখনো ভুলবো না। লিন্টি আমার জীবনের স্মরণীয় হয়ে থাকবে কারণ আমি ফুল অনেক পছন্দ করি এবং ফুলের সাথে কাটানো মুহূর্তগুলো আমি খুব এনজয় করি। আপনারাও বেরিয়ে আসতে পারেন সুন্দর এই ফুলের রাজ্য থেকে।
ধন্যবাদ সবাইকে |
---|
It must be amazing to be surrounded by so many flowers :-)
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Upvoted. Thank You for sending some of your rewards to @null. It will make Steem stronger.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit