বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম |
---|
সকাল ৯ টার দিকে ঘুম থেকে উঠে, হাত-মুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে নিলাম আমি। তারপর বাসায় বসে খাওয়া দাওয়া করলাম। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আমাদের বাড়ির সামনে একটি দোকানে বসে থাকলাম কিছুক্ষণ। বসে থেকে সময় কাটানোর পর, আমি এবং আমার বড় ভাই ,বড় বোন, মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম কোন একটি জায়গায় ঘুরতে যাওয়ার জন্য। তো আমাদের সিদ্ধান্তের মতেই , সবাই রাজি হয়ে গেলাম দূরমুড এর আকর্ষণীয় মেলায় ঘুরতে যাওয়ার জন্য।
তখন বেলা প্রায় এগারোটা বাজে ,তো আমি আবার কিছুক্ষণ বসে থাকলাম। বসে থাকার পর বারোটার দিকে জুম্মার নামাজের আযান দেওয়া হলো। তাই নামাজ পড়তে যাওয়ার জন্য গোসল সেরে নিলাম। গোসল করে মসজিদের দিকে রওনা দিলাম। মসজিদে ইমাম সাহেবের গুরুত্বপূর্ণ বয়ান শোনার পর জামাতের সাথে নামাজ পড়ে আবার বাসায় ফিরে আসলাম। আমরা দূরমুড মেলায় যাওয়ার জন্য ছোট বড়সহ প্রায় ১০ জন মিল হলাম। আমাদের দায়িত্ব পালন করছিলেন আমাদের বড় ভাই স্বজন এবং বড় আপু রেনুকা। আমরা সেখানে গিয়ে ছোট করে একটি রান্নাবান্না করার জন্য আগ্রহ পোষণ করলাম। এবং তাতেও সবাই রাজি হয়ে গেল।
বিকাল পাঁচটার দিকে আমরা দূরমুড যাওয়ার জন্য রওনা দিলাম। আমরা গিয়েছিলাম অটোতে করে তাই আমাদের সেখানে যেতে সময় লাগে প্রায় দুই ঘণ্টা। তাই সন্ধ্যা সাতটার দিকে আমরা সেখানে গিয়ে পৌঁছায়। তখন আমরা আমাদের অটোটি একটি জায়গায় রেখে দিয়ে, রান্নাবান্না করার জন্য জিনিসপত্র নিয়ে, রান্নাবান্না করার জায়গায় গিয়ে পৌছালাম। ২ ঘণ্টার মধ্যে আমাদের রান্নাবান্নার কাজ শেষ হলো। তারপর সবাই মিলে মেলায় কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করলাম। আমাদের এই মেলার ঐতিহ্য বহু বছর আগে থেকেই। আউলিয়া পীর হযরত শাহ কামালের মাজারকে কেন্দ্র করে এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবছরের মধ্যে, এক মাস ব্যাপী এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। মেলার জায়গা বেশ বড়। মেলার প্রবেশপথে একটি পুকুর রয়েছে এবং নৌকা, দূলনা ,জাদুঘর ,ভূতের বাড়ি, শিশু পার্ক ছাড়া আরোও কসমেটিক্স এবং শিল্প পণ্য পাওয়া যায় মেলায়। ঐতিহ্যপূর্ণ এই মেলায় পাওয়া যায় ঘরের আসবাবপত্র থেকে শুরু করে বিভিন্ন মিষ্টিজাতীয় রসগোল্লা এবং পিঠাপুলি।
ঘোরাঘুরি মুহূর্তে আরো দেখতে পেলাম, নানা জাতের পাখি এবং খরগোশ। এখানে বিক্রি করার জন্য নিয়ে আসা হয়েছিল এই পশু পাখিগুলো। তাছাড়া এসব পশুপাখি মেলায় দর্শনার্থীদের মনকে আকর্ষিত করে।
সেখানে ঘোরাঘুরি করার পর, আমি চলে আসলাম ভূতের বাড়ির দিকে। ভূতের বাড়ির টিকিট মূল্য ছিল 50 টাকা। আমি ভিতরে না ঢুকে বাইরে থেকেই সেই সৌন্দর্যটা উপভোগ করছিলাম।

আপনি 3তারিখের ছবি শেয়ার করে 4তারিখের ডায়েরি গেম লিখেছেন। আশাকরি আপনি ছবির তারিখ অনুযায়ী ওইদিনের ডায়েরি হিসেবে শেয়ার করবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit