রমজান মাসে হাওয়াই প্রতিদিনের মতো আমি আজকেও ভোর ৩ টায় ঘুম থেকে উঠে পড়লাম। ঘুম থেকে উঠেই ফ্রেশ হওয়ার জন্য ওয়াশরুমে গেলাম। তারপর দাঁত ব্রাশ করে এবং হাত মুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে নিলাম। ফ্রেশ হওয়ার পর নিজের রুমে এসে আমার মামা, নানু, নানী এবং মামির সাথে সেহরি খাওয়া শেষ করলাম। সেহরি খাওয়ার পর কিছুক্ষণ বসে থাকলাম । তারপর ফজর নামাজের আযান দিলে নামাজ পড়ার জন্য মসজিদের দিকে রওনা দিলাম। মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়ে আবার পুনরায় বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। বাসায় এসে দেখি তখন ভোর ৫ টা বাজে । তারপর আবার পুনরায় ঘুমিয়ে পড়লাম। রাইতের ঘন্টা ঘুমিয়ে ৮ টার দিকে ঘুম থেকে উঠে পড়লাম । যেহেতু দুদিন পরে আমাদের ঈদুল ফিতর , তাই আজকে আমি চুল কাটার জন্য জামালপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। আমার সাথে আমার মামাতো ভাই নূরনবী, রাসেল এবং আমার মামা মেহেদী মিলে আমরা সবাই চুল কাটার জন্য জামালপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
আমরা আমাদের বাসা থেকে ১০ মিনিট হাঁটার পর রাস্তায় আসলাম। রাস্তায় এসেই একটি অটো রিক্সাকে দেখতে পেলাম। অটো রিক্সাওয়ালাকে আমরা তার ভাড়া জিজ্ঞাসা করলাম। অবশেষে ৭০ টাকায় তিনি রাজি হয়ে গেলেন। তারপর আমরা সবাই অটোতে বসে পরলাম। অটো দিয়ে যাওয়ার পথে আমরা বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করলাম। জামালপুর যাইতে আমাদের বেশ কয়েকটি বাজার ঘাট পার করতে হয়। তার মধ্যে রয়েছে রশিদপুর বাজার, পাঁচ রাস্তা ইত্যাদি। গল্প করতে করতে আমরা প্রায় 30 মিনিটে জামালপুর পৌঁছে গেলাম। সেখানে গিয়ে অটো থেকে নেমে পড়লাম আমরা সবাই। অটোওয়ালা কে তার ভাড়া বুঝিয়ে দিয়ে আমি এবং নূর নবী মার্কেটের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। কারণ আমাদের একটি প্যান্ট এবং একটি পাঞ্জাবির একটু কাজ বাকি আছে। তাই একটি দর্জির দোকানে গিয়ে আমাদের প্যান্ট এবং পাঞ্জাবিটা কাজ করতে রেখে আসলাম। সেখানে রেখে আসার পর আমরা সবাই আমাদের পরিচিত একটি সেলুনে যাওয়ার জন্য আরেকটি অটোতে উঠে পড়লাম। পাঁচ মিনিট পরেই আমরা আমাদের গন্তব্যে পৌছালাম।
সেখানে পৌঁছে গিয়ে আমরা বেশ কিছুক্ষণ সেখানে বসে থাকার পর প্রায় ১১ টার দিকে দোকান খুললো। দোকান খোলার পর আমরা দেখতে পেলাম সেখানে অনেক ভিড় ছিল। তাই আমাদের আরো অনেক সময় বসে থাকতে হয়েছিল। আমার চুল কাটার সিরিয়াল আছে প্রায় ১ টার দিকে । আমার চুল কাটার পর আমি নুরনবীর চুল কাটার জন্য অপেক্ষা করলাম। সেই সময় সেলুনের কর্মচারীরা আমার মাথা ওয়াশ করে দিল। এভাবেই প্রায় এক ঘন্টা কেটে যায়। অবশেষে মামাতো ভাই নুরনবীর ও চুল কাটা শেষ হলো। তারপর দুজনে মিলে দোকানের দোতালায় বাকি কয়েকজনের চুল কাটা পর্যন্ত অপেক্ষা করলাম।
অপেক্ষা করতে করতে প্রায় তিনটার দিকে তাদের সবার চুল কাটা শেষ হয়। তাই আমি আর নুরনবী তাদের সাথে দেখা করি। অবশেষে আমাদের সবার চুল কাটা শেষ হয় , তাই চুল কাটার বিল দিয়ে আমরা আবার জামালপুর মার্কেটের দিকে রওনা হয়। কেননা সেখানে আমাদের প্যান্ট এবং পাঞ্জাবির কাজ করার জন্য রেখে আসা হয়েছে। সেখানে গিয়ে আমাদের আরো ২০ মিনিট বসে থাকতে হয়। 20 মিনিট বসে থাকার পর অবশেষে সকল কাজ শেষ হয়। এদিকে আমাদের ইফতারের সময় এগিয়ে আসছে। তাই আমরা খুবই তাড়াতাড়ি বাড়ির দিকে রওনা হই। মার্কেট থেকে আমাদের পরিচিত একজন অটো ড্রাইভারকে বেছে নেই এবং খুবই তাড়াতাড়ি বাসায় আসতে শুরু করি। সবশেষে আমরা ঠিক সময়ে বাসায় আসি এবং আমাদের ইফতার সম্পন্ন করি। সারাদিন অনেক কাজ করায় নিজেকে খুবই ক্লান্ত মনে করি ,তাই আমি নিজেকে ফ্রেশ করার জন্য গোসল করতে যাই। গোসল করে পুনরায় আবার ঘরে আসি এবং কাপড় পরিধান করে বাইরে বের হই। বাইরে এসে দেখি আমাকে নুরনবী ডাকছে। তাই তার ডাকে সাড়া দিয়ে তার কাছে যাই আমি। সে বলে তাকে নাকি দোকানে যেতে হবে। তাই তার সাথে আমি আওয়াল ভাইয়ের দোকানে যাই। সেখানে গিয়ে নূরনবী তার মোবাইল রিচার্জে করে এবং আমার জন্য এবং তার জন্য একটি করে আইসক্রিম কিনে নিয়ে আসে। দুজনে ধীরে ধীরে বাড়ির দিকে চলে আসতে শুরু করি। তখন রাত 7:30 বাজে। আমি তারাবির নামাজ পড়ার জন্য মসজিদে আসি ।এশার নামাজ পড়ে, ৮ রাকাত তারাবি নামাজ পড়ি জামাতের সাথে এবং ৯ঃ১০ এ নামাজ শেষ হয়,তাই আমি বাড়িতে চলে আসি। বাড়িতে এসে আমি নানিক ভাত দিতে বলি।
নানি আমাকে ভাত দেয় এবং আমি ভাত খেতে বসে পড়ি। খাওয়া-দাওয়া শেষে একটু রেস্ট নিয়ে বাইরে যাই আমি। বাইরে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে দশটার দিকে বাসায় আসি। বাসায় এসে কিছুক্ষণ ফোন চালিয়ে বিছানায় শুয়ে পরি। এভাবে আমি আমার আজকের কাটানো দিনটি শেষ করি।
আমার পোস্টটি দেখার জন্য এবং পড়ার জন্য সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ |
---|