বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম |
---|
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই খুবই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি। আজকে আপনাদের মাঝে আমার কাটানো দিনটি শেয়ার করব ইনশাআল্লাহ।
মানুষ তার মানসিক প্রশান্তির জন্য অনেক ধরনের কাজ করে থাকে। তার জন্য একেক জন একেক রকমের কাজ করে থাকে।তার মধ্যে আমি বেছে নিয়েছি ফটোগ্রাফিকে। ফটোগ্রাফি করা একটি নেশা। যার মধ্যে মানসিক প্রশান্তি খুঁজে পাওয়া যায়। যাইহোক আজকের দিনটা ছেলে সুন্দর। আজকে আমাদের ঈদের দ্বিতীয় দিন। আমাদের ঈদের সময়ের দিন গুলো খুবই সুন্দর ভাবে কাটে। আজকে সকাল ৯ টার সময় ঘুম থেকে উঠার পর আমি হাত মুখ ধুয়ে এবং দাঁত ব্রাশ করে ফ্রেশ হয়ে নিলাম। ফ্রেশ হওয়ার পর আমি খাওয়া-দাওয়া করলাম। খাওয়া-দাওয়া শেষ হওয়ার পরে কিছুক্ষণ বসে রইলাম আমাদের আম গাছের নিচে। আজকের দিনের তাপমাত্রা বেশি হয়য়াই খুবই গরম লাগছিল। তাই আমাদের আম গাছের নিচে বাতাসে বসে থাকলাম বেশ কিছুক্ষণ।
বসে থাকতে থাকতে তখন বেলা প্রায় ১২:০০ টা বেজে যায়। তাই আমি গোসল করার জন্য তৈরি হয়ে নিলাম। এবং ১০ মিনিটের মধ্যে গোসল শেষ করে আবারো কাপড় পরিধান করে বাইরে বের হলাম। কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করে আবারও ঘরে আসলাম আমি। বিছানায় বসতে না বসতেই আমার খালাতো বোন নুসরাত আমার সাথে কিছুক্ষণ খেলাধুলা করে। নুসরাত এর বয়স মাত্র ৬ বছর। তাই বাচ্চা মেয়ে সে। সে সারাদিন আমার সাথে খেলাধুলা করে। তাই আমিও তাকে মানা না করে আমার সাথে তাকে থাকতে দেই। নুসরাতে সাথে সময় পার করার মুহূর্তটা ছিল নিচের ফটোটি।
আজকে আমাদের একটা বিয়ের দাওয়াত ছিল। তাই আমি আমার মামা-মামি আমার খালা এবং আমার খালাতো বোনসহ বেশ কয়েকজন আমরা বিয়ের দাওয়াত খাওয়ার জন্য রেডি হচ্ছিলাম। আজকের বিয়েটা ছিল জামালপুর শহরের একটা বাড়িতে। তাই আমাদেরকে বাড়ি থেকে অটো করে যেতে হয়েছিল। যে কারণে আমরা যারা যারা যার জন্য প্রস্তুত হয়ে ছিলাম তারা আর দেরি না করে অটোর উদ্দেশ্যে রাস্তায় এসে পড়লাম। অটো চালক ছিল আমাদের পরিচিত রনি ভাই। তাকে ফোন করে আমার মামা রাস্তায় আসতে বললেন। এবং তিনি যথাসময়ে রাস্তায় এসে আমাদের জন্য ওয়েট করছিলেন। আমরাও বেশি দেরি করিনি ,আমরা ঠিক সময়েই তার ওটাতে বসে পড়লাম এবং অটোচালক আমাদেরকে নিয়ে আমাদের গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন। সেই অটোতে ছিল আমার নানু নানি, খালা খালাতো বোন এবং মামাতো ভাই সহ আটজন। আমরা আমাদের নিজেদের মধ্যে একটু কোশল বিনিময় করার মাধ্যমে প্রায় ৩০ মিনিটে এই গন্তব্য পৌঁছে গেলাম। সেখানে যাওয়ার পর আমাদের মাগরিবের নামাজের আযান দিয়ে দেয়। আবার আমাদের বিয়ের দাওয়াতটা ছিল রাতের বেলা । তাই আমাদেরকে একটু ওয়েট করতে হবে খাওয়া-দাওয়ার জন্য। আমরা যে যার মতো ঘোরাঘুরি করলাম। আমি আমার খালাতো বোনকে নিয়ে একটু আশেপাশে ঘোরাঘুরি করলাম। তার কিছুক্ষণ পরেই আমাদের জামাইবাবু আমাকে এবং আমার মামাতো ভাই ফরহাদকে সাথে নিয়ে কিছু পলিথিন কিনে আনার জন্য বললেন। আমরা তার কথায় রাজি হয়ে তাকে নিয়ে একটি মোটর বাইক করে ভাবকীর উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। অল্প সময়েই ভাবকী পৌঁছে যায় আমরা। সেখানে গিয়ে দশ মিনিটের মধ্যে আমাদের কেনাকাটা শেষ করে আবারো আমাদের সেই বিয়ে বাড়িতে আসার জন্য রওনা দেই। বিয়ে বাড়িতে এসে আরো এক ঘন্টার মত আমাকে ওয়েট করতে হয়েছিল। সেখানে মন কাটছিল না তাই আমি এবং ফরহাদ ভাই একটু আশেপাশে ঘোরাঘুরি করলাম। তখন আবার এশার নামাজের আযান দেয় তাই আমরা মিলে মসজিদে যাই নামাজ পড়ার জন্য। এইদিকে নামাজ শেষ হওয়ার একটু পরে আমাদের বিয়ের দাওয়াতের খাওয়া দাওয়া প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছিল। তাই আমরা যত সময়ে এসে বাড়িতে উপস্থিত হই। সেখানে খাওয়া-দাওয়া শেষ হয়ে গেলে আমরা আর বেশি না দেরি করে বিয়ের সালামি দিয়ে বাইরের দিকে রওনা দেই একটি অটোতে করে। প্রায় সাড়ে নয়টার দিকে আমরা বাড়িতে উপস্থিত হই।
বাড়িতে আসার পর একটু রেস্ট নিতে আমি আমাদের বাড়ির সামনে আমার নানুর দোকানের টঙ্গে বসে থাকি। সেখানে আমার সাথে আমার মামাতো ভাই রমিজ সহ আরো কয়েকজন বসেছিল। তাদের সাথে কিছু কুশল বিনিময় করি আমি। তারপর কিছুক্ষণ বসে থাকার পর আমার ক্লান্ত দূর হয়। তাই আমি আবারো ঘরে ফিরে আসি ঘুমাবো বলে। ঘরে এসে বিছানাটা একটু গুছিয়ে নেই, প্রতিদিনের মতোই আমার মামাতো ভাই নুরুন্নবী আমার সাথে থাকে। সে আসার পরে ঘরের দরজা আটকিয়ে লাইট অফ করে শুয়ে পড়ি। এভাবে আমি আমার আজকের সারাদিনের কর্মকাণ্ড শেষ করেছি। সবশেষে মহান আল্লাহতালার কাছে শুকরিয়া আদায় করে আমার সারাদিনের কাজ শেষ হয়।
আপনাদের সকলকে আমার এই পোস্টটি পড়ার জন্য এবং দেখার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ |
---|
Hi, Greetings, Good to see you Here:)
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit