আসসালামু আলাইকুম
আরো একটি নতুন বিষয় নিয়ে পুনরায় আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি।
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন সবার জন্য অনেক অনেক দোয়া ও ভালোবাসা রইলো।
বছরের বিভিন্ন সময়ে কক্সবাজার জেলার পর্যটন কেন্দ্র তে বিভিন্ন রকমের পরিবেশ পরিস্থিতি দেখা যায়। বিশেষ করে রমজানের ঈদের পরে থেকে দশ দিন পর্যন্ত ভালো একটা ব্যবসা চললেও কুরবানী ঈদের আগের যে মাসটা থাকে সেই মাসটা পর্যটক শূন্য চলে। কোরবানির সময় মানুষের বাড়িতে যাওয়ার একটা প্রবণতা থাকে সেই সাথে যেহেতু কোরবানির ঈদে গরু কিনতে হবে তাই দুখির ভাগ ভ্রমন প্রিয় মানুষগুলো এই সময়ে ভ্রমণ করা বন্ধ করে দেয়। এছাড়াও আরো একটা বিশেষ কারণ হচ্ছে কোরবানির ঈদের আগে কালবৈশাখী ঝড় হয় এবং এই সময়ে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের এলাকাটা খুব বেশি উত্তাল থাকে। উত্তাল সমুদ্রের গর্জন শুনতে অনেক ভালো লাগলেও উত্তাল সমুদ্র চলাকালীন সময়ে কক্সবাজারের পরিবেশটা খুব একটা নিরাপদ থাকে না। আবার অনেকেই আছে যারা উত্তাল ধুম সমুদ্র ঢেউ দেখতে পছন্দ করে তাই শুধুমাত্র এই সময়ে কক্সবাজারে ভ্রমণ করার উদ্দেশ্যে চলে আসে।
কিছুদিন আগে ঘূর্ণিঝড় রেমালের একটা বড়সড়ক প্রভাব গিয়েছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এলাকায়। ঘূর্ণিঝড় রেমাল এর প্রভাব ছিল প্রায় দুই থেকে তিন দিন পর্যন্ত প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি এবং ঝড়ো হাওয়া বয়ে গিয়েছে।ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব এতটাই ভয়াবহ ছিল যে পরপর দুইদিন পর্যন্ত কমলাবণের পয়েন্টে কোন রকমের প্রতিষ্ঠান খোলা হয়নি। বৈশাখ মাসটা পুরোটাই কালবৈশাখী ঝড় এবং ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাই এই সময়টা একটু আতঙ্কের মধ্যে পার হতে হয়। গত দুইদিন আগেও সারাদিন রোদ্দ ঝলমল সুন্দর এবং চমৎকার একটি দিন থাকলেও হঠাৎ করে বিকালের পরে আকাশে মেঘ জমে বৃষ্টি এবং বাতাস শুরু হয়ে যায়। যেহেতু কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের পারে এই প্রতিষ্ঠান নিয়ে রেখেছি তাই সমুদ্রের এই তখন এবং আকাশের পরিবর্তন প্রতিমুহূর্তেই দেখতে পাই।
প্রকৃতি আমাদেরকে বিভিন্নভাবে সতর্ক করে আবার প্রকৃতির উপরই আমরা নির্ভরশীল। তাই প্রকৃতিকে রক্ষা করা এবং এর সৌন্দর্যের প্রত্যেকটা অংশ সংরক্ষণ করা আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব। আমরা যদি প্রাকৃতিক পরিবেশকে নষ্ট করি এবং এর ভারসাম্য নষ্ট করে তাহলে অবশ্যই আমরা বসবাস অনুপযোগী একটি পৃথিবী তৈরি করে নিব। যার ফলে আমাদের অবস্থা বর্তমানের চেয়ে আরো খারাপের দিকে যাবে
ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে শেষ পর্যন্ত লেখাটি পড়ার জন্য আরও একটি নতুন লেখা নিয়ে পুনরায় আপনাদের সামনে উপস্থিত হব ইনশাআল্লাহ।