আসসালামু আলাইকুম
আরো একটি নতুন বিষয় নিয়ে পুনরায় আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি।
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন সবার জন্য অনেক অনেক দোয়া ও ভালোবাসা রইলো।
বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন ইতিহাস তৈরি হয়েছে। যে ইতিহাসটা তৈরি করার জন্য অনেকগুলো ছাত্রকে তাদের প্রাণ উৎসর্গ করতে হয়েছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনের জন্য নেমে শেষ পর্যন্ত দেশের প্রধান কেই সরিয়ে দিল। ছাত্ররা চাইলে একটি দেশের যে কোন সিচুয়েশন পরিবর্তন করতে পারে সেটা আবারও প্রমাণ করে দিল বাঙালি। গতকালকে সমগ্র বাংলাদেশ ব্যাপী একটা বিজয় মিছিল উদযাপন হয়েছে। অবশ্যই সাধারণ জনগণ যারা এটা মেনে নিতে পারেনি জুলুম সহ্য করতে পারেনি তারা অবশ্যই এই বিজয় মিছিল উদযাপন করেছে এবং প্রত্যেকের তার চার অবস্থান থেকে অংশগ্রহণ করেছিল। এই কঠিন মুহুর্তে আমরা অনেকদিন পর্যন্ত ঘর বন্দী ছিলাম এবং যার যার অবস্থান থেকে যতটুকু পারি ততটুকু ছাত্রদের সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছি। যে ছোট ভাই গুলো আন্দোলনে মাঠে নেমেছিল তাদের মনোবল সব সময় আমরা মজবুত করতে চেষ্টা করেছি। তোদের এই কঠিন মনোবল এবং অনর অবস্থানের ফলে বাংলাদেশের একটা বিপুল পরিবর্তন এসেছে এবং হয়তোবা ভালো কিছু একটা পরিবর্তন হবে আশা করছি। গত কালকে আমাদের গ্রামের এরিয়ার চারপাশেই বিজয় মিছিলের ছড়াছড়ি ছিল। এবং অনেকদিন পর বিকেল বেলা চলে গিয়েছিলাম সমুদ্র সৈকত এলাকায় সুন্দর একটা মোমেন্ট উদযাপন করার জন্য।
সমুদ্র সৈকত এলাকাতে আসরের পরে যখন গিয়েছিলাম তখন পরিবেশ পরিস্থিতিটা খুবই শান্ত শীতল ছিল। এবং যাওয়ার সময় প্রচুর পরিমানে ছাত্র থেকে শুরু করে মুরুব্বিরা সহ দেখলাম একসাথে বাজারে মিছিল বের করে খুবই আনন্দ উল্লাস করছে। আমরা কিছুক্ষণ সেখানে দাঁড়িয়ে থেকে মিছিলের সৌন্দর্য এবং আনন্দ উল্লাস দেখলাম এবং এরপরে চলে গেলাম সমুদ্র সৈকত এলাকায়। আজকে অনেকটা খুশির দিন ছিল তাই পায়ে অনেকগুলো এলাকা থেকে প্রচুর পরিমাণ এসেছিল সমুদ্র সৈকত এলাকায় তাদের খুশি উদযাপন করার জন্য। বড়রা ছোটরা সবাই মিলে বিভিন্নভাবে ভাগ হয়ে কেউ ক্রিকেট কেউ ফুটবল খেলতে শুরু করে দিল। আমি সব সময় দর্শকের ভূমিকা পালন করি কারণ আমি খেলাধুলায় অতটা পারি তোর সে না তাই অল্প কিছুক্ষণ দৌড়াদৌড়ি করলেই আমি হাপিয়ে উঠি। তাই আমি সবসময় বড়রা ছোটরা যখন খেলাধুলা করে বাহির থেকে তাদের মনোবল মজবুত করার চেষ্টা করি এবং খেলা উপভোগ করি। এক পাশে আমাদের পরিচিত বড়দের ক্রিকেট খেলা চলছিল এবং অন্য পাশে আমাদের ছোটরা ফুটবল খেলছিল দুই দলে ভাগ হয়ে। অনেকদিন পর এরকম সুন্দর একটা মোমেন্ট দেখতে পেরে খুবই ভালো লাগছিল।
আর সমুদ্র সৈকতের সবচাইতে সুন্দর দৃশ্য তো আমরা সব সময় দেখতেই পাই। কালকে সেই সুন্দর দৃশ্যের মধ্যে সবচাইতে ব্যতিক্রম একটা দৃশ্য আমরা দেখতে পেলাম সেরা হচ্ছে ডাবল রংধনু। অনেক সময় আমরা সিঙ্গেল রংধনু দেখতে পাই কালকে হয়তোবা বাংলার আকাশ বাতাস উদযাপন করেছে বাংলাগালির সঙ্গে আনন্দে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য। অনেকক্ষণ পর্যন্ত মুগ্ধ হয়ে রংধনু সৌন্দর্য উপভোগ করলাম এবং কয়েকটি ছবি তুলে নিলাম। ইতিহাস গতকালকের এই দিনটিকে স্মরণ রাখবে এবং অবশ্যই ইতিহাসের একটি সোনালী অধ্যায়ে বাংলাদেশের এই তারিখটা পুনরায় লিখিত হবে।
ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে শেষ পর্যন্ত লেখাটি পড়ার জন্য আরও একটি নতুন লেখা নিয়ে পুনরায় আপনাদের সামনে উপস্থিত হব ইনশাআল্লাহ।