ঈমানকে মজবুত রেখে নিজের অবস্থান ধর্মের প্রতি ধীড় রাখি

in hive-170554 •  2 years ago 
আসসালামু আলাইকুম। নতুন দিনের সাথে সবার জীবন সুন্দর কাটুক সেই কামনা করছি। প্রতিদিন ব্লগ লেখার ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আজকে আরো একটি নতুন ব্লগ লেখার চেষ্টা করছি । এই প্লাটফর্ম এর লেখার মাধ্যমে যেমন লেখার দক্ষতা বাড়ে ঠিক তেমনি বিভিন্ন জনের লেখা পড়ার মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানার সুযোগ হয়। আজকে আপনাদের সাথে এমন একটি বিষয় নিয়ে আলাপ করব যেটা সাথে আমরা সবাই পরিচিত। প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের জন্য এই বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ । এই বিষয়টির উপর নিয়ন্ত্রিত হয়ে পুরো পৃথিবী পরিচালিত হচ্ছে।

সেটা হচ্ছে বিশ্বাস স্থাপন করা কিংবা আস্থা রাখা।

আরবিতে যাকে বলা হয় ঈমান ।

20220123_091326-01.jpeg

Cox's BazarLocation Map

ইসলামের মূল ভিত্তির মধ্যে এক নাম্বারে চিহ্নিত করা হয়েছে কালিমা বা বিশ্বাস বা ঈমানকে।
কোন ব্যক্তির মধ্যে যদি বিশ্বাস বা ঈমান না থাকে তাহলে সেই ব্যক্তিকে মুসলিম হিসেবে চিহ্নিত করা যায় না ।
শুধু ইসলাম ধর্মের ক্ষেত্রে নয় আমরা অন্যান্য ধর্মের দিকে লক্ষ্য করি তাহলে সেখানেও কিন্তু বিশ্বাস একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।
পৃথিবীর প্রত্যেকটা ধর্ম কিন্তু বিশ্বাসের ওপর নির্ভরশীল ।
যে ব্যক্তির ধর্ম কিংবা সৃষ্টিকর্তার ওপর বিশ্বাস নেই সেই ব্যক্তিকে পৃথিবীতে নাস্তিক বলা হয় । নাস্তিক কিন্তু তার অবস্থান থেকে স্বাধীন ।
তাকেও কিন্তু কেউ ধর্ম পালন করার ক্ষেত্রে বাধ্য করতে পারবেনা ।
সে যদি না চায় তাহলে তাকে কোন ধর্ম পালন করার কোন দরকার নেই।
কোন নাস্তিক কে জোর করে কিংবা বাধ্য করে যেকোনো ধর্মের রূপান্তরিত করার অধিকার আমাদের কারো নেই ।।
যার মধ্যে স্রষ্টা কিংবা ধর্মীয় অনুশাসনের প্রতি বিশ্বাস নেই তাকে কেউ সহজে মেনে নিতে চায় না ধর্মীয় বিষয়ে ।
অর্থাৎ বুঝা যাচ্ছে যে প্রত্যেক ধর্মে বিশ্বাস একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ।
যদি বিশ্বাস না থাকে তাহলে সে ব্যক্তি কোন ধর্মের অনুসারী হতে পারেনা ।
এক এক ধর্মের মানুষের বিশ্বাস এক এক রকম।
কিন্তু প্রত্যেকটা মানুষ তাদের বিশ্বাস ও আস্থার ওপর নির্ভরশীল হয়ে একনিষ্ঠভাবে ধর্ম পালন করে।

IMG_20201109_013946-01.jpeg

Cox's BazarLocation Map

একজন ইসলাম ধর্মের অনুসারে যতটুকু ভক্তি ও শ্রদ্ধা দিয়ে আল্লাহকে স্মরণ করে ঠিক ।
তেমনি অন্যান্য ধর্মের মানুষগুলোও ততটুকু ভক্তি ও শ্রদ্ধা দিয়ে তাদের স্রষ্টাকে স্মরণ করে ।
এখানে আমরা কখনোই কোন পার্থক্য তৈরি করতে পারবোনা ।
কারণ বিশ্বাসের জায়গা থেকে সবাই সমপরিমাণ ভালবাসা ও ভক্তি শ্রদ্ধা দিয়ে প্রত্যেকের স্রষ্টার উপর নিজের আনুগত্য প্রকাশ করে।
তাই ধর্মীয় বিষয়ের ক্ষেত্রে আপনার যদি কোন ব্যক্তির ধর্ম অনুশাসন পছন্দ না হয় তাহলে সেই বিষয়টা নিয়ে মন্তব্য করার অধিকার আপনার নেই।
এক্ষেত্রে এমন হতে পারে যে হয়তোবা আপনি তার ধর্ম সম্পর্কে স্বচ্ছ কোন ধারণা নেই । তার ধর্মকে সে কতটুকু ভক্তি কিংবা শ্রদ্ধা করে সেটা সম্পর্কে না জেনে মন্তব্য করাটাও কিন্তু একটা অপরাধ।
আপনার কাছে যদি আপনার ধর্মটা সবচেয়ে স্বচ্ছ ও সুন্দর মনে হয় তাহলে আপনি সেটা নির্দ্বিধায় পালন করুন ।
অপর ধর্মের মানুষকে আপনি ছোট না করে কেন আপনার ধর্মটা শ্রেষ্ঠ কিংবা সুন্দর সেটা তার কাছে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করুন ।
আপনার কথাবার্তা ও ব্যবহারের মাধ্যমে যদি অন্য ধর্মের মানুষ সন্তুষ্ট হয় তাহলে সে চাইলে আপনার ধর্মে অংশগ্রহণ করতে পারে কিংবা ধর্মান্তরিত হতে পারে ।
কিন্তু কেউ যদি না চায় তাহলে তাকে তার ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করতে দিতে হবে।
স্বাধীন ভাবে ধর্ম পালন করার ক্ষেত্রে নিষেধ দেওয়ার কোন অধিকার আমাদের কারোই নেই।
প্রত্যেক ব্যক্তি ধর্মের দিক দিয়ে স্বাধীন।
তার অন্তর যেটা চাইবে সে সে ধর্ম পালন করতে পারবে ।

IMG_20200913_204833-01.jpeg

Cox's BazarLocation Map

এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ কিন্তু বলেছেন ধর্মের ব্যাপারে কোন জোর জবরদস্তি নেই।
অর্থাৎ কেউ যদি আপনার ধর্ম মানতে না চায় তাহলে আপনি কাউকে জোর করে আপনার ধর্মে নিয়ে আসতে পারবেন না ।
অত্যাচার নির্যাতন কিংবা জুলুম করে কাউকে ধর্মান্তরিত করা যাবে না।
যদি আপনার ব্যবস্থাপনা সুন্দর ব্যবহার ধর্মীয় অনুশাসন প্রভৃতি বিষয়ে কারো কাছে সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য মনে হয় , সেই ব্যক্তি যদি নিজের ইচ্ছায় আপনার ধর্ম গ্রহণ করে আপনার সাথে একত্রিত হয়ে জীবন অতিক্রম করতে চায় তাহলে সেই ক্ষেত্রে কোন সমস্যা নেই।
মনে রাখবেন ইসলাম ধর্মে যারা আহবান করেছিল নবী-রাসূলগণ থেকে শুরু করে সাহাবাগণ কিন্তু ইসলামের সুন্দর বিষয়গুলো মানুষের কাছে তুলে ধরেছে মাত্র ।
যে মানুষগুলোর কাছে ইসলামের সৌন্দর্য ও সঠিক ব্যবস্থাপনা সুন্দর লেগেছে সে মানুষগুলো দলে দলে ইসলামের দিকে এগিয়ে এসেছে
আর যাদের কাছে পছন্দ হয়নি তারা ইসলামের কাছ থেকে দূরে সরে গিয়েছে।
কিন্তু ইতিহাস থেকে আমরা নবী রাসুল কিংবা সাহাবাগণ কারো উপর নির্যাতন করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার ক্ষেত্রে বাধ্য করেছে এমন নজির পাওয়া যায় না।
সুতরাং ইসলাম একটি শান্তির ধর্ম যা আমরা ইতিহাস পর্যালোচনা করলেই দেখতে পাই।
যে কেউ চাইলেই ইসলামে যখন খুশি তখন প্রবেশ করতে পারবে ।
ঠিক তেমনি কেউ যদি না চায় তাহলে তার ইসলাম গ্রহণ করার কোন প্রয়োজন নেই ।
সে তার জীবন স্বাধীনভাবে পরিচালনা করতে পারবে ।
তার কর্মের হিসাব নিকাশ সৃষ্টিকর্তার উপর ছেড়ে দিতে হবে ।
সৃষ্টিকর্তাই তার কর্মের উপর নির্ধারণ করে জান্নাত কিংবা জাহান্নাম চিহ্নিত করবেন ।
সেটা আমাদের চিহ্নিত করার কোন অধিকার নেই।

20221116_155653.jpg

Cox's BazarLocation Map

ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে শেষ পর্যন্ত ব্লগটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য ।।
আশা করি আপনাদের বিষয়টি বুঝাতে সক্ষম হয়েছি ।
আবার নতুন কোন ব্লগ নিয়ে আপনাদের সামনে পুনরায় উপস্থিত হব ।।

ইনশাআল্লাহ

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Thank you for sharing posts, improve the quality of your posts and stay original.

DescriptionInformation
Plagiarism Free
#steemexlusive
Bot Free
Verified User
Support #burnsteem25NO
Voting CSI12.6 ( 0.00 % self, 82 upvotes, 59 accounts, last 7d )
Transfer to Vesting46.103 STEEM
Cash Out
0
ResultClub75