আসসালামু আলাইকুম
আরো একটি নতুন বিষয় নিয়ে পুনরায় আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি।
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন সবার জন্য অনেক অনেক দোয়া ও ভালোবাসা রইলো।
অনেকদিন হয়ে গেল কক্সবাজারে শহরে এসে থাকছি এবং ব্যবসায়ী সময় দিচ্ছে। কিন্তু কক্সবাজারের মত শহরে এসে শুধু মাত্র সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ব্যবসায় সময় দিলে কি আর মন বসে। তাই কত কালকে একটু ব্যবসা থেকে বিরতি নিয়ে চলে গিয়েছিলাম মনকে রিকোয়েস্ট করার জন্য কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে। একটা সময় কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে আমি আমার বন্ধুদের নিয়ে ঘোরাফেরা করতাম কোন কারণে বন্ধুরা ব্যস্ত থাকলে আমি একাই কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় ভ্রমণ করার জন্য বের হয়ে পড়তাম কারণ কক্সবাজার দেকে কখনোই ক্লান্ত হয় না। গতকালকে একদম সকালের দিকে একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছিল সেই কাজটা করতে মোটামুটি সময় লেগে গিয়েছিল তাই ১টা।যেহেতু দুপুরের সময় হয়ে গিয়েছে তাই চিন্তা করলাম গতকালকে আর দোকানে সময় দিব না একটু পরিবারকে অত সময় দেওয়া দরকার। পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার জন্য বাসায় আসার পর আর দোকানে গেলাম না।
বাসায় আসার পরে দুপুরের খাওয়া-দাওয়া শেষ করে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেওয়ার পরে যখন রোড একটু কমে আসলো পরিকল্পনা করলাম সমুদ্র সৈকতের দিকে একটু বেড়াতে চলে যাব। এই অবশ্যই এই পরিকল্পনা আর একা নয় এখন যেহেতু দুজন হয়ে গিয়েছি তাই এখন আর কোন জায়গায় ঘুরতে যাওয়ার জন্য বন্ধুর সঙ্গ না পেলেও একজন মানুষ সব সময় পাওয়া যাচ্ছে। বিকালে চারটার পরে সূর্য যখন রোদের তাপমাত্রা কমিয়ে দিয়েছে তখন কলাতলী পয়েন্টের উদ্দেশ্যে বের হয়ে গেলাম। গতকালকের যেহেতু রবিবার ছিল কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এলাকায় খুব একটা টুরিস্টের আনাগোনা থাকবে না মনে করেছিলাম। সমুদ্র সৈকত এলাকায় মানুষ বেশি থাকলে সমুদ্রের যে প্রকৃত সুন্দর পরিবেশ সেটা উপভোগ করা যায় না। তাই সমুদ্রের সৌন্দর্য দেখতে চাইলে সব সময় যেই দিনগুলোতে মানুষের আনাগোনা কম থাকে সেই সময়েই ঘুরতে যাওয়া উচিত। কিন্তু সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘুরতে যাওয়ার পরে যেটা দেখলাম প্রচুর পরিমানে পর্যটক কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে অবস্থান করছে। যেখানেই মনে করেছিলাম সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য একটু একা আনতে উপভোগ করব সেই সুযোগটা আর হলো না চারিদিকে মানুষের ছড়াছড়ি।
কলাতলী পয়েন্টের একটা সুবিধা হল এখান থেকে মানুষ একটা নির্ধারিত জায়গায় থাকলেও আর একটা দিক থেকে যেই দিকে মানুষের আনাগোনা একটু কম থাকে। তাই সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য উপভোগ করতে চাইলে ওই দিকে চলে যাওয়া যায়। একটু অফ পয়েন্ট হওয়ার কারণে বেশিরভাগ পর্যটক ঐদিকটাতে যেতে চায়না । এই বুকে কক্সবাজারের বিভিন্ন হ্যাচারীর জোন গুলো শুরু হয়েছে। পাকিস্তানি ও বাসিন্দারা ছাড়া পর্যটকদের আনাগোনা এই দিকে থাকে না বললেই চলে। সব মিলিয়ে খুব সুন্দর একটা দিন অতিক্রম হয়েছে।
ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে শেষ পর্যন্ত লেখাটি পড়ার জন্য আরও একটি নতুন লেখা নিয়ে পুনরায় আপনাদের সামনে উপস্থিত হব ইনশাআল্লাহ।