আসসালামু আলাইকুম
আরো একটি নতুন বিষয় নিয়ে পুনরায় আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি।
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন সবার জন্য অনেক অনেক দোয়া ও ভালোবাসা রইলো।
গত মাসের ২৮ তারিখ ছিল আমার বিবাহের দিন। বিবাহের দিন এজন্য বলছি কারণ এই দিন আনুষ্ঠানিক ভাবে আয়োজন করে বিবাহ অনুষ্ঠানটা পরিচালনা করা হয়েছিল। এই বিবাহ অনুষ্ঠান কে কেন্দ্র করে অনেকগুলো আনন্দের মুহূর্ত তৈরি হয়েছে। যে কোন পরিবারের যখন একটা বড় অনুষ্ঠান হয় সেখানে ছোটখাটো বিভিন্ন মিসটেক হয়ে থাকে। আবার কোন কারন ছাড়াই আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে কেউ কেউ রাগ দেখায়। আমার মনে হয় বাংলাদেশে এমন কোন বিবাহ অনুষ্ঠান ঘটে নিয়ে যেখানে একেবারে সবাই আনন্দের সাথে কোনরকম রাগ না দেখিয়ে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছে। তাই বাঙালি জাতির স্বভাবজায়ের রেখে আমার বিয়ের ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম ঘটেনি। বেশ কিছু কাছের মানুষজন কোন কারণ ছাড়া রাগ দেখিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়নি জানি না কারণ কি। সে যাই হোক আজকে আমার বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পর্কে অনুভূতি আপনাদের জানাতে চেষ্টা করছি।
জীবনের এই অধ্যায়ে প্রবেশ করার আগে একটা মানসিক টেনশনে ছিলাম। একাকীত্ব জীবন পার করে যুগল জীবনে কিভাবে অতিক্রম করব এবং কিভাবে একজন নতুন মানুষ কে নিয়ন্ত্রণ করবো সেটাই ছিল মূল টেনশন। কেন একাকীত্ব জীবন এক রকম এবং একত্রিত হয়ে দুইজনে একসাথে বসবাস করার জীবনটা অন্যরকম। এখানে শুধু মাত্র দুজনের বিষয় নয় এখানে দুইটা পরিবারের অনেকগুলো আত্মীয়-স্বজনের বিষয় রয়েছে। তাই বিবাহের সময়ে প্রত্যেকটা ছেলে এবং মেয়ের মধ্যে একটা আলাদা টেনশন কাজ করে যেটা হয়তোবা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। সব মিলিয়ে বিবাহ নিয়ে একটা এক্সাইটমেন্ট ছিল এবং সেই সাথে কিছু টেনশন কাজ করেছে। বিভারুদ্দিনের সব রকমের কাজ আমার আত্মীয়স্বজন ভাইয়েরা গুছিয়ে করে রেখেছিল তাই আমাকে তেমন কোন কাজ করতে হয়নি। আমি শুধু সকাল থেকে এদিক সেদি খাটাহারে করছিলাম এবং আপনিও স্বজন বিবাহে দিনে আমার বাড়িতে এসে কত আনন্দের মধ্যে ছিল সেটা উপভোগ করছিলাম।
একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে অনেকগুলো মানুষ যখন একত্রিত হয় তখন সবার মধ্যে একটা আলাদা ভালো লাগা কাজ করে। সবাইকে একপাশে বসে দেখে হাসাহাসি করা একে অপরের সঙ্গে দুষ্টামি করা আড্ডা দেওয়া এটা একটা স্মৃতি যা সারা জীবন স্মরণে থেকে যায়। বিবাহকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন জনের বিভিন্ন রকমের পরামর্শ দিয়েছে যেগুলো আমার জীবনের জন্য একটা শিক্ষনীয় অধ্যায় ছিল। সবমিলিয়ে সারাদিন ব্যস্ততার মধ্যে সময় কাটিয়েছি। বিশেষ করে কমিউনিটি সেন্টারে গিয়ে যখন কোন পক্ষের মানুষগুলো চারপাশে ঘিরে ধরেছিল তখন একটা আলাদা এক্সাইডমেন কাজ করেছে।এতদিন পর্যন্ত বিভিন্ন গিয়েতে যখন নতুন জামাই আসতো আমরা দাঁড়িয়ে যেতাম মিষ্টির থালা নিয়ে তার চারপাশে। এই কিরকম ঘটনা যখন আমার সাথে ঘটলো তখন খুব অদ্ভুত এবং আলাদা একটা ফিলিংস হচ্ছিল। সবকিছু আলহামদুলিল্লাহ গোছালোভাবে হয়েছে এখন চেষ্টা করব দাম্পত্য জীবনটা সুন্দরভাবে পরিচালনা করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে শেষ পর্যন্ত লেখাটি পড়ার জন্য আরও একটি নতুন লেখা নিয়ে পুনরায় আপনাদের সামনে উপস্থিত হব ইনশাআল্লাহ।
Hi, Greetings, Good to see you Here:)
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit