আসসালামু আলাইকুম
আশা করি সবাই ভালো আছেন।
আরো একটি নতুন বিষয় নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি।
সবার জন্য অনেক অনেক দোয়া এবং ভালোবাসা রইলো। পৃথিবীতে প্রত্যেকটা দেশের জন্য ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলো এক একটা নিদর্শন। তাইতো ঐতির্জ্যবাহী যে স্থানগুলো রয়েছে প্রত্যেকটা স্থানকে দর্শনীয় স্থান হিসেবে চিহ্নিত করে রাখা হয়েছে। পৃথিবী এর বিখ্যাত বিখ্যাত সব ঐতিহ্যবাহী স্থানে ভ্রমণ করার জন্য প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ পর্যটক যায়। ঐতিহ্যবাহী স্থান বলতে আমরা বুঝি যেগুলো আজ থেকে ২০০/ ৩০০ বছর আগে তৈরি করা হয়েছে এমন স্থাপনা। অথবা জনপ্রিয় পর্যটন স্থান যে স্থানগুলো অন্যান্য এলাকার চেয়ে আকর্ষণীয় এবং মনমুগ্ধকর। আমাদের বাংলাদেশের এরকম অনেকগুলো পর্যটন স্থান এবং দেখার মত দর্শনীয় স্থান রয়েছে যেগুলো দেখার জন্য প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ পর্যটক ভ্রমণ করার জন্য আসে। এই সুন্দর সুন্দর দর্শনীয় স্থানগুলো পর্যটকদের জন্য আনন্দের খোরাক। বাংলাদেশের এইরকম অন্যতম দর্শনীয় স্থান হল কক্সবাজার জেলা। কক্সবাজার জেলার সমুদ্র সৈকত পুরো বিশ্বব্যাপী বিখ্যাত কক্সবাজারে রয়েছে পৃথিবীর সবচাইতে দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত। কক্সবাজার শুধু মাত্র সমুদ্র সৈকতের জন্য বিখ্যাত নয় এখানে রয়েছে আরো অসংখ্য দর্শনীয় স্থান যেগুলো দেখার জন্য প্রতি বছর পর্যটকরা ভিড় জমায়। কক্সবাজার যারে ভ্রমণ করার এবং দর্শনীয় স্থানের মধ্যে অন্যতম একটি স্থান হলো রামু। ভ্রমণ করার মত দর্শনীয় কয়েকটি জায়গা সম্পর্কে এর আগে আপনাদেরকে জানিয়েছিলাম আজকে আরও একটি সুন্দর ভ্রমণ করার জায়গা সম্পর্কে জানাবো।
কক্সবাজারে বর্তমানে সবচাইতে বেশি বসবাস রয়েছে মুসলিম জাতির। কিন্তু কক্সবাজার যখন কক্সবাজার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়নি তখন এখানে বুদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস ছিল সবচাইতে বেশি। আরকান রাজ্য এক সময় এই এলাকায় প্রসিদ্ধ ছিল এবং এখানে বাঙ্গালীদের আনাগোনা ছিল কম। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের বুদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষেরা তখনকার সময়ে কক্সবাজারের রামু এলাকায় ভ্রমণের জন্য আসতো কারণ এখানে গৌতম বুদ্ধের ঘাঁটি তৈরি করা হয়েছিল। তাই এলাকায় এই স্মৃতি স্মরণ রাখার ক্ষেত্রে অনেকগুলো বুদ্ধমন্দির তৈরি করা হয়েছে। এখনো পর্যন্ত প্রচুর পরিমাণে বুদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস। কিন্তু বর্তমানে রামু এখন অনেকটা জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে এবং প্রচুর পরিমাণে মানুষের বসবাস তৈরি হয়েছে। একটা সময় এত ঘনবসতি এখানে ছিল না শুধু মাত্র বুদ্ধমন্দির এবং এগুলোকে কেন্দ্র করে যারা রক্ষণাবেক্ষণকারীরা ছিল তাদের বসবাস ছিল এই এলাকার গুলুতে।বুদ্ধ সম্পর্কে দশম বাস থাকার পাশাপাশি অনেকগুলো ঐতিহ্যবাহী মন্দির তৈরি করা হয়েছিল যেগুলো এখনো পর্যন্ত তাদের ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে টিকে আছে। মন্দির গুলো রক্ষণাবেক্ষণ পরিষদ স্যারের জন্য এখনো পর্যন্ত অনেকগুলো ভ্রান্তে রয়েছে যারা মন্দিরের আশেপাশে বসবাস করে। রামুর বুদ্ধ মন্দির গুলোর মধ্যে সবচাইতে বেশি যেটা জনপ্রিয় সেটা হচ্ছে রামু চা বাগানের পাশে ১০০ ফুট বিশিষ্ট বুদ্ধ মূর্তির মন্দির। এটা ছাড়াও বুদ্ধমন্দির গুলোর মধ্যে ব্রাহ্ম বাজারের আশেপাশে যে মন্দিরগুলো রয়েছে এগুলোর জনপ্রিয়তা রয়েছে অনেক। যারা কক্সবাজার ভ্রমণ করতে আছেন এবং রামু সৌন্দর্য সম্পর্কে যারা জানেন না তারা অবশ্যই সুযোগ হলে রামুতে ভ্রমণ করে আসা উচিত।
যারা ভ্রমণ করার উদ্দেশ্যে আসে কিন্তু যথেষ্ট পরিমাণ সময় নেই তারা রামু বাজারে গিয়ে তারা বাজারের আশেপাশেই যে মন্দির রয়েছে সেগুলো ভ্রমণ করে আসতে পারেন।রামু বাজারের পাশে এই দুটি মন্দির রয়েছে যেগুলো আপনারা পায়ে হেঁটে যেতে পারবেন অতিরিক্ত গাড়ি ভাড়া খরচ করার কোন প্রয়োজন নেই। এই দুটি মন্দির ভ্রমণ করলেই অন্যান্য মন্দির গুলো সম্পর্কে আপনাদের ধারণা হবে কারণ বুদ্ধমন্দির গুলো দেখতে অনেকটাই একই রকম সবগুলো। কক্সবাজার ভ্রমণ করার সুযোগ হলে অবশ্যই রামু ভ্রমণ করবেন দেশের ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলো দেখবেন দেশ সম্পর্কে জানবেন। প্রত্যেকটা ঐতিহ্যবাহী স্থান আমাদের সম্পদ তাই এভাবে সংরক্ষণ করার দায়িত্ব আমাদের।
ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে শেষ পর্যন্ত লেখাটি পড়ার জন্য আরও একটি নতুন রেখা নিয়ে পুনরায় আপনাদের মাঝে উপস্থিত হব ইনশাল্লাহ।