আসসালামু আলাইকুম
আরো একটি নতুন বিষয় নিয়ে পুনরায় আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি।
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন সবার জন্য অনেক অনেক দোয়া ও ভালোবাসা রইলো।
গ্রাম এবং শহরের মধ্যে ব্যাপক পার্থক্য রয়েছে। কিছু মানুষ শহরে বসবাস করে এবং অধিকাংশ মানুষ বসবাস করে গ্রাম এলাকায়। কিছু মানুষ শহর ছেড়ে থাকতে পারে না আবার এমন কিছু মানুষ রয়েছে যারা গ্রাম ছেড়ে শহরে যেতে চায় না। গ্রামীণ জীবন্ত হচ্ছে সবুজ শ্যামল শস্য ক্ষেত ঘেরা। আর শহরে জীবনটা যানজট অফিস এবং কলকারখানার ব্যস্ত জীবন। সব মিলিয়ে যদি শান্তিপূর্ণ একটি পরিবেশ হিসাব করা যায় তাহলে অবশ্যই গ্রাম অতুলনীয়। কিন্তু চাকরির জিবি এবং উপার্জন এর জন্য বেশিরভাগ মানুষ শহরে বসবাস করে তাই শহরে সব রকমের ফেসিলিটি পাওয়া যায় বলেই মানুষ দিন দিন শহর মুখে হতে চেষ্টা করছে। গ্রামের মানুষের অন্যতম উপার্জন কিংবা এখানকার মানুষের দিন অতিক্রম হয় জমিতে বিভিন্ন রকমের কৃষি কাজ করার মাধ্যমে। ঋতু ভেদে এখানে বিভিন্ন রকমের জিনিস চাষ করা হয়। একটা সময় ছিল প্রাকৃতিক ভাবে জমিতে চাষ করা হতো তখন যে কোন কিছু জমি থেকে পেতে হলে মিনিমাম ৬ থেকে ৭ মাস অপেক্ষা করতে হতো। যার কারণে প্রথম জব যখন ধান সংগ্রহ করা হতো সেই ধানের গাছ কেটে যখন বাসায় তোলা হতো তখন পুরো বাংলায় নবান্ন উৎসব পালন করা হতো। কিন্তু বর্তমানে বছরে প্রায় চারবার ধান কাটা সম্ভব এবং ধীরে ধীরে এই নবান্ন উৎসবের যে আমেজটা ছিল সেটা হারিয়ে যাচ্ছে।
দু এক মাস আগে আমাদের গ্রামের বাড়িতে যখন এসেছিলাম তখন জমিতে পরিপূর্ণভাবে ধান ছিল। এ পাকা ধানগুলো কেটে ফেলার পর বর্তমানে এখানে ভটভটি সিমের মত দেখতে ছোট এক প্রজাতির চীন গাছ রোপন করা হয়েছে যেটা প্রায় প্রত্যেকটা বাড়িতেই আয়োজন করেছে। এই গাছগুলোর উপন্যাস করার পর দুই মাসের মধ্যেই এখান থেকে ফল সংরক্ষণ করা সম্ভব। বিশেষ করে এই সিমটার বিজিটাই সংরক্ষণ করা হয় এই সিম টাকে কাঁচা আমি কখনোই আমাদের এখানে খেতে দেখে নি। তবে মাঝেমধ্যে অনেকেই এই সিমটা সংগ্রহ করার পর তাকে হলুদ দিয়ে সেদ্ধ করার পরে এর বিজি থাকে তারা ব্যবহার করেছে। এক কথায় বলতে গেলে সিমের যে চামড়াটা রয়েছে সেটা খাওয়া হয়না শুধুমাত্র সিমের অভ্যন্তরে যে বিজিটা রয়েছে সেটাই খাওয়া হয়। তো আমার এক বন্ধু তাদের যে খালি জমিটা ছিল সেটা তোদের রমজান মাসের কিছুদিন আগে ডিমের চাষ করেছিল। কিন্তু সে আবার চাকরিজীবী হওয়ার কারণে সিমের ফলন যখন পরিপূর্ণভাবে জমিতে হয়েছে এবং এই সিম যখন পাকা শুরু করেছে তখন সংগ্রহ করার সময় তার ছিলনা। যার ফলে অনেকগুলো সিম থেকে নষ্ট হয়ে গিয়েছে এবং অনেক মানুষ সেখান থেকে সিম সংগ্রহ করে নিয়ে গিয়েছে।
ঈদের দুই-তিন দিন আগে যখন বন্ধ হয়ে গেল বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তখন হাতের যেহেতু সময় ছিল এ সময় শেষ সিম সংরক্ষণ করার জন্য জমিতে গেল। আমি যেহেতু এখন বর্তমানে গ্রামের বাড়িতে আছি আমার বেশিরভাগ সময় অবসর কাটে। আমিও বিকাল বেলা জমির দিকে ভ্রমণ করতে গেলাম বংশের যখন তার জমি থেকে সিম সংরক্ষণ করছিল তখন আমিও তাকে সহযোগিতা করলাম। জমিতে নেমে কাজ করাটা যেমন পরিশ্রমের ঠিক তেমনি এখান থেকে যখন সুন্দর ফসল পাওয়া যায় তখন সবগুলো দুঃখ কষ্ট মানুষ ভুলে যায়। আল্লাহর পক্ষে এটা এক অশেষ রহমত যখন আমরা জমিতে পরিশ্রম করব তখন অবশ্যই সেখান থেকে ভালো একটা ফসল অর্জন করা সম্ভব। এভাবেই প্রকৃতিতে বিভিন্ন রকমের রহমত দিয়ে আল্লাহ আমাদেরকে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন
ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে শেষ পর্যন্ত লেখাটি পড়ার জন্য আরও একটি নতুন লেখা নিয়ে পুনরায় আপনাদের সামনে উপস্থিত হব ইনশাআল্লাহ।