আসসালামু আলাইকুম
আরো একটি নতুন বিষয় নিয়ে পুনরায় আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি।
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন সবার জন্য অনেক অনেক দোয়া ও ভালোবাসা রইলো।
চট্টগ্রাম মাজারের জন্য বিখ্যাত এই বিষয়টা নিয়ে বেশ কয়েকটি ব্লগ এর আগে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করেছি। আমার গত যে লিখাটি লিখেছিলাম সেটার মধ্যে চট্টগ্রামের বিখ্যাত মোহছেন আউলিয়ার মাজার সম্পর্কে লিখেছিলাম। চট্টগ্রামে আমার গ্রাম দুধকুমড়া এলাকায় একটা বিখ্যাত মাজার রয়েছে যেটা আশেপাশের প্রত্যেকটা গ্রামের মানুষের কাছে জনপ্রিয়। প্রতি বছর এই মাজার কে কেন্দ্র করে একটি বাৎসরিক ওরস আয়োজন করা হয় এবং এইখানে আমাদের গ্রাম সহ আশেপাশের প্রত্যেকটা গ্রামের মানুষ জন আমন্ত্রিত থাকে। যেহেতু এই মাজারটি একটু গ্রামের ভিতরে তাই শহরের কিংবা চট্টগ্রামের অন্যান্য এলাকার মানুষগুলো খুব একটা এটা সম্পর্কে পরিচিত না। কিন্তু আনোয়ারা এলাকার যারা বাসিন্দা এবং পার্কে সমুদ্র সৈকত এলাকার আশেপাশে যারা বসবাস করে তারা সবাই এটা সম্পর্কে জানে। প্রতিবছর এই মাঝার কেন্দ্র করে যেই ওরসটা আয়োজন করা হয় সেটাকে কেন্দ্র করে ছোট একটা মেলার মত বসে। আজকে সেই বাৎসরিক ওরস উদযাপনের দিন।
একদম সকাল সব কাল মাজারের উদ্দেশ্যে যে ভক্ত অনুরাগীরা কিংবা মেহমানরা আসবে তাদের জন্য যে তাবারকের আয়োজন করা হয় সেটার জন্য নিয়ে আসা গরু এবং মহিষ জবাহ করা হয়। গ্রামের প্রত্যেকটা বাড়িতে দুপুরের খাবারের আয়োজন নিয়ে মাজার থেকে এই একটা নির্ধারিত পরিমাণ তাবার রোগ পাঠিয়ে দেওয়া হয় দুপুরের খাবারের সময় এর আগে। খাবারের আয়োজন শুরু হওয়ার আগেই আজকে আমি একটু গিয়েছিলাম মেলার পরিবেশ পরিস্থিতি পরিদর্শন করার জন্য। এই মেলাটা মূলত গ্রামের যারা বাচ্চারা আসে তাদের জন্যই সবচাইতে আনন্দদায়ক কারণ এখানে ছোট বাচ্চাদের যাবতীয় খেলনা নিয়ে বসে দোকানদাররা। এছাড়াও গ্রামের যারা স্থানীয় মানুষ আছে এবং মাজারের পাশে যাদের বসবাস তারা ছোটখাটো দুই একটা দোকান দেয় খাবারের দোকান। নানান রকমের বেলুন সহ অনেক রকমের খেলনা নিয়ে সকাল থেকে একদম রাত পর্যন্ত এই মেলার আয়োজন চলে। শুধুমাত্র একদিনের জন্য এই মেলাটি বসে। এবং এই মেলাটিতে যারা দোকান দেয় তাদের কাছ থেকে কোন রকমের অর্থ আদায় করা হয় না।
সব মিলিয়ে বলা যায় এই দিনটা অনেকটা আরও একটি ঈদ উৎসবের মত। করে এলাকার যে বাচ্চারা আছে তারা একদম সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মেলায় ছোটাছুটি করে। ঈদের দিন যেমন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাচ্চারা গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় ছোটাছুটি করে আনন্দ করে এখানেও ঠিক তেমনটাই দেখা যায়। প্রত্যেকটা বাচ্চার হাতে ছোট বড় বিভিন্ন রকমের খেলনা থাকে এবং এই খেলনা গুলো নিয়ে তারা আনন্দে মেতে ওঠে। এটা একটা খুবই চমৎকার এবং সুন্দর দৃশ্য যেটা দেখেই খুবই ভালো লাগে। এই ধরনের বাৎসরিক পুরুষ কিংবা মাজার কেন্দ্রিক মাহফিল গুলোর মাধ্যমে অনেকগুলো মানুষ যখন এক জায়গায় একত্রিত হয় তখন তাদের মধ্যে ভাতৃত্বের বন্ধনের একটা ভালো পরিবেশ তৈরি হয়।
ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে শেষ পর্যন্ত লেখাটি পড়ার জন্য আরও একটি নতুন লেখা নিয়ে পুনরায় আপনাদের সামনে উপস্থিত হব ইনশাআল্লাহ।