আসসালামু আলাইকুম
আরো একটি নতুন বিষয় নিয়ে পুনরায় আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি।
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন সবার জন্য অনেক অনেক দোয়া ও ভালোবাসা রইলো।
কক্সবাজারের সৌন্দর্য নিয়ে অনেকগুলো ব্লগ এর আগে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করেছি। কক্সবাজারের সৌন্দর্য সবসময় মানুষকে আকর্ষণ করে তাই প্রতি বছর প্রচুর পরিমাণে পর্যটক কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের ভ্রমন করতে আসে। বর্তমান দেশের পরিস্থিতি এবং বন্যার কারণে কক্সবাজারের পর্যটকের সংখ্যা অনেকটা কমে এসেছে। দেশের প্রস্তুতি স্বাভাবিক থাকলে হয়তো বা এই সময়ও প্রচুর পরিমাণে পর্যটক কক্সবাজারে থাকতো। কেমন করে বছর বর্ষার সময় ও কক্সবাজারের সুন্দর রূপ উপভোগ করার জন্য পর্যটকদের দেখা মিলতো। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে পর্যটকদের আনাগোনা থাকে। একদম শুরু থেকে এই যে পয়েন্টটা কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সবচাইতে বেশি জনপ্রিয় ছিল সেই পয়েন্ট টার নাম লাবনী পয়েন্ট।একটা সময় লাবনী পয়েন্টের সৌন্দর্য বলতে শুধু সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য তাই ছিল। কিন্তু বর্তমানে লাবনী পয়েন্টের আশেপাশে আরও কিছু সুন্দর্য মন্ডিত সাজসজ্জা তৈরি করা হয়েছে যেগুলো আপনাকে মুগ্ধ করবে। লাবনী পয়েন্টেই তৈরি করা হয়েছে চমৎকার একটি রূপচাঁদা মাছের ভাস্কর্য এবং এর সামনে খুব সুন্দর করে ফুলের বাগান তৈরি করা আছে যেটা এখন আরও একটি নতুন ভাবে দর্শনীয় স্থান। সামুদ্রিক মাছের চিহ্ন হিসাবে লাবনীর পয়েন্টে এই রূপচাঁদা মাছের ভাস্কর্য তৈরি করা হয়েছিল ২০২১ সালের দিকে। লাবনী পয়েন্টের রূপচাঁদা মাছের এই ভাস্কর্যটি এখন অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
লাবনী পয়েন্টের সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য এখানে আপনারা আরও বেশ কিছু সৌন্দর্য দেখতে পারবেন তার মধ্যে অন্যতম একটি হল কক্স কার্নিভাল নামে বিভিন্ন রকমের ছোট ছোট পাসপোর্ট আইটেমের একটি বড় রেস্টুরেন্ট। যদিও বা কক্স কার্নিভাল নামে এই জায়গাটাতে একসময় বিদেশি সার্কাস পরিচালনা করার কথা ছিল কিন্তু কয়েক মাসতলার উপর এই সার্কাসটি বন্ধ হয়ে যায়। কারণ যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে এই সার্কাসের আয়োজন করা হয়েছিল সেই পরিমাণ টিকেট বিক্রি না হওয়ার কারণে উদ্যোক্তা কমিটি পরবর্তীতে এই আয়োজনটি বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়। দীর্ঘ দুই থেকে তিন বছর পর তারা পরিকল্পনা করে সুন্দর একটি রেস্টুরেন্ট এখানে তৈরি করে এবং বর্তমানে এটা আরো একটি সৌন্দর্যমন্ডিত স্থান হিসেবে তৈরি হয়েছে লাবনী পয়েন্টে। সন্ধ্যার পর থেকে চমৎকার সব লাইটিং এর মাধ্যমে এই জায়গায় ভালো একটা আড্ডা এবং কফি খাওয়া যেতে পারে। যারা সন্ধ্যার পর সুন্দর একটা সময় কাটাতে চাই তাদের জন্য কক্স কার্নিভালের রেস্টুরেন্টটা হতে পারে একটি সুন্দর পয়েন্ট।
এছাড়াও লাবনী পয়েন্টেই রয়েছে কক্সবাজারে তৈরি করা প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম। এই জায়গায় প্রথমে গলফ মাঠ ছিল যেখানে একসময় গলফ খেলা হতো। এই মাটিতে আমরা এক সময় অনেক ক্রিকেট খেলেছি যখন আমরা ছোট ছিলাম। পরবর্তীতে এই জায়গাটা বিশাল আকারে দখল করার পর এখানে চারের দিক দিয়ে বেষ্টনী তৈরি করে কক্সবাজার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম তৈরি করা হয়। যদিও ভাই এখানে এখনো পর্যন্ত বড় কোন আন্তর্জাতিক ম্যাচের আয়োজন করা হয়নি। তবে আন্তর্জাতিক নারী ক্রিকেটার ও বেশ কয়েকটি ম্যাচ কক্সবাজারের এই জায়গায় আয়োজন করা হয়েছিল এবং অনূর্ধ্ব ১৯ এরও কিছু ম্যাচ এখানে খেলা হয়েছিল। এছাড়াও মাঝে মধ্যে বড় বড় কিছু ক্রিকেট টুর্নামেন্ট এই স্টেডিয়াম থেকে পরিচালনা করা হয়। সব মিলিয়ে আপনারা যদি লাবনী পয়েন্টে আসেন ভ্রমণ করার জন্য তাহলে আপনারা সুন্দর একটা সময় উপভোগ করতে পারবেন। কক্সবাজারের আরো অন্যান্য জায়গার ব্যাখ্যা সহকারে বিভিন্ন কোষ আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব ইনশাল্লাহ।
ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে শেষ পর্যন্ত লেখাটি পড়ার জন্য আরও একটি নতুন লেখা নিয়ে পুনরায় আপনাদের সামনে উপস্থিত হব ইনশাআল্লাহ।
Hi, Greetings, Good to see you Here:)
দয়া করে আপনি আপনার একাউন্টের কিছু লিকুইড Steem পাওয়ার আপ করে আপনার ক্লাব স্ট্যাটাস বজায় রাখুন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit