আসসালামু আলাইকুম আশা করি সবাই ভাল আছেন আরও একটি নতুন বিষয় নিয়ে পুনরায় আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছে সবার জন্য অনেক অনেক দোয়া এবং ভালোবাসা রইলো।
চট্টগ্রামের বিখ্যাত যে কয়েকটি মাজার রয়েছে সেই মাজারগুলোর মধ্যে বায়জিদ বোস্তামির মাজার নিয়ে কিছুদিন আগে আপনাদের সামনে একটি বিষয় শেয়ার করেছিলাম। আজকে বায়জিত বোস্তামীর মাজারের আরও কিছু বিশেষ বিষয় এবং এর ইতিহাসের কিছু অংশ শেয়ার করার চেষ্টা করছি। ইতিহাস থেকে পাওয়া যায় আমি যখন চট্টগ্রামে এসেছিল তখন অক্সিজেনের যে এলাকায় বর্তমানে বায়োজিত প্রস্তাবের মাজারটা অবস্থিত সেখানে শুধু জিনদের বসবাস ছিল। জিনদের এক শ্রেণী ছিল যারা বায়জিত বোস্তামীকে সেখানে আশ্রয় দেওয়ার ব্যাপারে অনুমতি দেয় এবং তিনি সেখানে যখন ইবাদত করতে থাকে তখন আশেপাশের যে খারাপ ছিল তারা স্থান থেকে পালিয়ে যায়। কিন্তু তবুও জ্বীন সম্প্রদায়ের মধ্যে যারা ভালো ছিল তারা মানুষের সাথে একসঙ্গে বসবাস করা সম্ভব নয়। পরবর্তীতে বায়জিদ বোস্তামী আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করার মাধ্যমে এই জিনগুলোকে একটা বিশেষ আকৃতিতে রূপান্তরিত করে দেয়। এমনটাই ইতিহাস কিংবা মাজারের বাহিরে যে অংশটাকে বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া হয়েছে সেখানে লেখা আছে। যদি বাবা এই ইতিহাস সম্পর্কে আমার কোন স্বচ্ছ ধারণা নেই আমি শুধু আপনাদের সামনে সেটাই উপস্থাপন চেক করার চেষ্টা করছি যেটা মাজারের চারপাশ থেকে আমি জানতে পেরেছি।
বায়োজিদ বোস্তামী জিন গুলোকে একটা কচ্ছপের আকৃতির মত প্রাণীতে রূপান্তরিত করা হয় যেই প্রাণীগুলোকে গজার মাছ হিসেবে বর্তমানে নামকরণ করা হয়েছে। এই প্রাণী গুলোকে কচ্ছপ বলা যায়না কারণ এখানে বলা আছে গবেষণা করায় দেখা গেছে এই প্রাণীগুলো দেখতে কচ্ছপের একটি প্রজাতির মত মনে হলেও কচ্ছপের মধ্যে যে বৈশিষ্ট্যগুলো রয়েছে সেই বৈশিষ্ট্য গুলো এগুলোর মধ্যে পাওয়া যায় না। এই প্রাণীটি বায়োজিট বোস্তামির মাজারের সামনে একটা বড় পুকুর রয়েছে এই পুকুরের মধ্যে পাওয়া যায়। এবং এখানে এটাও বলা আছে এই প্রাণীটি শুধুমাত্র এই স্থানে দেখা যায় এটা ছাড়া অন্য কোন জায়গায় এটাকে পাওয়া সম্ভব নয় কিংবা দেখা যায়নি। দিনের একটা নির্ধারিত সময় ছাড়া বেশিরভাগ সময়ে এই প্রাণীটা পুকুরের মধ্যে ডুব দিয়ে থাকে। যখন সকালে রোদ আসে তখন পানির নিচে থেকে উপরে উঠে আসে এবং পুকুরের পাশে বসে নিজেদের শরীরে রুপ লাগার জন্য বসে থাকে। এই জায়গায় বিভিন্ন আকৃতির গজার মাছ রয়েছে কিছু আকারে ছোট এবং কিছু আকারে অনেক বড়।
মাজারে যত মানুষ ভ্রমণ করতে যায় তাদের সবার বিশ্বাস যে এই কথা মাছগুলোকে যদি খাবার দেওয়া হয় নির্ধারিত কোন নিয়ত করে তাহলে সেই নিয়ত পরিপূর্ণ হয়। তাই প্রতিদিন প্রচুর পরিমানে মানুষ এই জায়গায় আসে শুধু মাত্র এই প্রাণীগুলোকে খাবার দেওয়ার জন্য। বিশেষ করে যখন বন্ধুর দিন থাকে সেই দিন অনেকগুলো মানুষকে এখানে একত্রে দেখা যায় যারা বিভিন্ন রকমের খাবার নিয়ে আসে এই প্রাণীগুলোর জন্য। এছাড়াও বাসা থেকে যদি কেউ খাবার নিয়ে নাও আসে তাহলে মাজারের চারপাশে অনেকগুলো দোকান রয়েছে যেখানে বিভিন্ন রকমের খাবার কিনতে পাওয়া যায়। এ প্রানী গুলোকে খাবার জন্য মাংস ডিম কলা পাউরুটি ইত্যাদি জিনিস বিভিন্ন দোকানে বরাদ্দ করায় রাখা হয়েছে। মানুষ তাদের অর্থনৈতিক সামন্তের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন জিনিস কিনে এবং চেষ্টা করে গজার মাছকে খাবার খাওয়ানোর। বায়োজিত নামের মাজারের এইটা এক অদ্ভুত বিষয় যেটা আসলেই অবাক করার মত। আপনাদের কখনো সুযোগ হলে এই মাজারে ভ্রমণ করতে যাবেন এবং সরাসরি নিজে এই বিষয়গুলো উপভোগ করে আসবেন।
ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে শেষ পর্যন্ত লেখাটি পড়ার জন্য আরও একটি নতুন লেখা নিয়ে পুনরায় আপনাদের সামনে উপস্থিত হব ইনশাল্লাহ।
Hi, Greetings, Good to see you Here:)
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit