আসসালামু আলাইকুম
আরো একটি নতুন বিষয় নিয়ে পুনরায় আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি।
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন সবার জন্য অনেক অনেক দোয়া ও ভালোবাসা রইলো।
অনেকদিন পর্যন্ত কোন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া হচ্ছে না। একসময় অবসর পেলে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যেতাম। চেষ্টা করতাম সব সময় এমন জায়গায় ঘুরতে যাওয়ার যেখানে আগে কখনো ঘুরতে যাওয়া হয়নি। বিয়ের পর রে আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি ছাড়া তেমন কোন জায়গায় ঘোরার মত এখনো সুযোগ হয়ে ওঠেনি। গত দুইদিন আগে চলে গিয়েছিলাম শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যেহেতু আমি ভ্রমন প্রিয় মানুষ তাই চিন্তা করলাম শ্বশুর বাড়ির আশেপাশে কোন কিছু দেখার মত স্থান আছে কিনা। যেহেতু গ্রাম এলাকায় শশুর বাড়ি তাহলে অবশ্যই আশেপাশে কোন নদীর খাল কিংবা দেখার মত কোন একটা স্থান থাকবে অবশ্যই। সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা করে একসাথে আলাপ করতে বসলাম যে আসে পাশে দেখানোর মত জায়গা কি আছে। এভাবে আলাপের মধ্যে বের হয়ে শশুর বাড়ির পাশে সুন্দর একটি জায়গা আছে যেখানে চাইলে আমরা নদী এবং এর চারপাশের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবো। অবশেষে আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম বিকেল বেলা আমরা বেরিয়ে যাবো নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য।
অতঃপর দুপুরে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আমরা চার পাঁচ জনে মিলে বের হয়ে প্রস্তুতি নিলাম নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করতে যাবার জন্য। আমার শ্বশুরবাড়ির এলাকা থেকে বেশি দূরত্বের মধ্যে নয়। অটোরিকশা দিয়ে মাত্র ৫০ টাকা খরচ করলেই এই জায়গাতে আমরা চলে যেতে পারি। যেহেতু এটা দর্শনীয় কোন স্থান না তাই পর্যন্তটক দের এখানে আসার ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করবো না তবে যারা স্থানীয় মানুষ তাদের জন্য এটা একটা সুন্দর সময় কাটানোর জন্য আদর্শ জায়গা। যারা নবীর সন্ত্রাসী তর ঢেউ পছন্দ করে এবং শান্ত শীতল পরিবেশ পছন্দ করে তাদের জন্য এই জায়গাটি একটি উত্তম জায়গা হতে পারে। আমরা বিকালের পরপর এই সেই জায়গাতে পৌঁছে গিয়েছিলাম ততক্ষণে সূর্য অনেকটা হেলে পড়েছে তাই পরিবেশটাও শান্তশি চলছিল। রাত পর সবচাইতে যে বিষয়টা ভালো লেগেছিল এখানে এক এলাকা থেকে আরেক এলাকায় যাওয়ার জন্য নৌকার ব্যবস্থা রয়েছে। অনেকদিন পর নদীর এলাকায় গিয়ে নৌকাতে চড়াবো না তা তো হতে পারে না। তাই আমরা আর এই সুযোগটা হাতছাড়া করলাম না আমরা সাথে সাথেই নৌকায় উঠে পড়লাম এবং পার্শ্ববর্তী আরও একটি গ্রাম থেকে ভ্রমণ করে এলাম।
নদীর পাশ দিয়ে আমরা যখন যাচ্ছিলাম তখন সুন্দর সুন্দর যে দৃশ্যগুলো উপভোগ করা হচ্ছিল সেগুলো আসলেই মনকে মুগ্ধ করেছে। এর আরো একটা মনোমুগ্ধকর দৃশ্য হচ্ছে আখের খেত। নদীর দুপাশে প্রচুর পরিমাণ মানে আখ চাষ করা হয়েছে এবং দেখেই মনে হচ্ছে এগুলো পরি পক্ষ হয়েছে খুব তাড়াতাড়ি এগুলোকে বাজারে যাত করা হবে। যেহেতু আমরা নদীতে চলমান অবস্থায় ছিলাম তাছাড়া তীরে পৌঁছানোর পর আমরা এই আঁখ বাগানগুলো পরিচর্চা যারা করছে তাদের কোন খোঁজ পাইনি তাই আখ খাওয়ার সুবিধা হলো না। তবে সব মিলিয়ে দিনটা খুব চমৎকার কেটেছে।
ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে শেষ পর্যন্ত লেখাটি পড়ার জন্য আরও একটি নতুন লেখা নিয়ে পুনরায় আপনাদের সামনে উপস্থিত হব ইনশাআল্লাহ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit