আসসালামু আলাইকুম
আরো একটি নতুন বিষয় নিয়ে পুনরায় আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি।
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন সবার জন্য অনেক অনেক দোয়া ও ভালোবাসা রইলো।
শহরের জীবনে খেলাধুলা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বর্তমানে তেমন কোন মাঠ নাই বললেই চলে। বিভাগীয় শহরগুলোতে কেউ নিজেকে খেলোয়াড় হিসেবে তৈরি করতে চাইলে তাকে নির্ধারিত একাডেমীতে ভর্তি হয়ে প্রতিনিয়ত প্র্যাকটিস করতে হবে। কিন্তু নির্ধারিত কোন একটা মাঠে গিয়ে শহরের বাচ্চারা যে খেলাধুলা করবে এবং নিজেদের যে যোগ্যতা টা আছে সেটাকে ফুটিয়ে তুলবে সেই সুযোগটা এখন নাই। কিন্তু গ্রামের বাড়ির দিকে যখন আসি তখন এখানে যে বাচ্চারা আছে কিশোররা আছে তারা প্রতিদিন নিয়ত মাঠে করার একটা সুযোগ পায়। শহরের মতো এখানে বিল্ডিং তৈরি করার কোন প্রতিযোগিতা নেই নেই কোন আবাসিক প্রকল্প কিংবা শপিং মল তৈরি করার প্রতিযোগিতা। তাই গ্রামের বাড়িতে যখন আসি এখানে বিশাল বিশাল জমি দেখতে পাওয়া যায় যেখানে প্রচুর পরিমাণে ছোট ছেলে থেকে শুরু করে কিশোর এবং সেই ছেলেরা পর্যন্ত খেলাধুলায় মত্ত থাকে।
বিশেষ করে যখন শুক্রবার হয় তখন এখানে আমরা দেখতে পায় প্রচুর পরিমাণে গ্রামের ছেলেরা বিভিন্ন স্থান থেকে এসে খেলাধুলা করে। সমুদ্র সৈকতাকে বেছে নাই মূলত ফুটবল খেলার জন্য। আর যারা ক্রিকেট খেলতে পছন্দ করে তারা সমুদ্রের তীরের পাশে যে মাঠগুলো রয়েছে সেগুলোকে ব্যবহার করে। এইখানে অংশগ্রহণ করে সাধারণত কিশোর শ্রেণীর ছেলেরা যদি ওভার তারা বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত রেখেছে নিজেদেরকে। কেউ বিভিন্ন গার্মেন্টস সেক্টরে ওয়ার্কার পোস্টের রয়েছে আবার কেউ বা মাস্টার্স ডিগ্রী পাস করে ভালো একটা অবস্থানে চাকরি করছে। শুধুমাত্র সবাই একত্রিত হয়ে শুক্রবারে খেলার সুযোগ তাদের হয়ে ওঠে। তাই সকাল থেকে এই পরিকল্পনা চলে এবং বিকাল তিনটার পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই খেলাধুলার ধারাবাহিকতা তারা বজায় রাখে। এক গ্রামের সাথে অন্য গ্রামের ছেলেরা একপাড়ার সাথে অন্য পাড়ার ছেলেরা কিংবা একই পাড়ার সিনিয়র এবং জুনিয়ররা মিলে খেলাধুলার যে আয়োজনটা প্রতি শুক্রবারে করা হয় সেটা দেখে একটা আলাদা মানসিক প্রশান্তি পাওয়া যায়। খেলাধুলার মাঝে অনেক রকমের ছোটখাটো ঝগড়া হয় আবার খেলা শেষ করে একে অপরকে তারা জড়িয়ে ধরে। এই দৃশ্যগুলো গ্রামের বাড়িতে দেখার মত যেটার কারণে নিজেদের মধ্যে ভাতৃত্বের বন্ধনটাও মজবুত হয়।
দীর্ঘদিন ধরে গ্রামের বাড়িতে যখন এসেছি তখন প্রতি শুক্রবারে মাঠের মধ্যে খেলতে যাওয়া ছেলে এবং কিশোরদের দেখতে পায়। খেলাধুলায় আমি তেমন পারদর্শী না আমি সাধারণত বেশিরভাগ সময়ে দর্শক হিসেবেই উপস্থিত থাকি। এবং আমার পাড়ার অন্য ছোট ভাইয়েরা এবং চাচাতো ভাইয়েরা খেলাধুলা করে আমি তাদের খেলা উপভোগ করি। খেলাধুলা করলে শরীর এবং মন মানসিকতা দুইটাই ভালো থাকে। তাই মন মানসিকতা এবং এবং শারীরিক সুস্থতার জন্য অবশ্যই খেলাধুলা করা প্রয়োজন।
ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে শেষ পর্যন্ত লেখাটি পড়ার জন্য আরও একটি নতুন লেখা নিয়ে পুনরায় আপনাদের সামনে উপস্থিত হব ইনশাআল্লাহ।