আসসালামু আলাইকুম
আরো একটি নতুন বিষয় নিয়ে পুনরায় আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি।
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন সবার জন্য অনেক অনেক দোয়া ও ভালোবাসা রইলো।
রমজান মাস প্রতি বছর ১০ দিন করে এগিয়ে আসে। কত বছর এমন দিনে আমরা রমজান মাসে রোজা পালন করেছি। অথচ এই বছর ঈদ অতিক্রম হয়ে গিয়েছে প্রায় তিন দিন হয়ে গেল। আজকে ঈদের চতুর্থ দিন সেই সাথে আজকে বাঙালি জাতির জন্য অনেক বড় একটা উৎসবের দিন। বাঙ্গালি সংস্কৃতির অন্যতম একটি অংশ হল পহেলা বৈশাখ। বাংলা মাসের প্রথম তারিখে আমরা পহেলা বৈশাখ কিংবা নববর্ষ হিসেবে উদযাপন করে থাকি। প্রতিবছর এপ্রিল মাসের ১৪ তারিখ এই দিনটি উদযাপন করা হয়। বাংলা মাস যেহেতু ৩০ দিনে প্রত্যেকটা মাস নির্ধারণ করা থাকে তাই পহেলা বৈশাখ প্রতিবছর এপ্রিল মাসের ১৪ তারিখেই হায়।গত তিন বছর ধরে রমজান মাসের মধ্যে পহেলা বৈশাখ পড়ার কারণে পহেলা বৈশাখের যে আনুষ্ঠানিক কথাগুলো থাকে সেগুলোতে অংশগ্রহণ করার সুযোগ হয়ে ওঠেনি। কিন্তু এই বছর রমজান মাসে পহেলা বৈশাখ পড়েনি তাই শহরের বিভিন্ন জায়গায় বৈশাখী মেলা বসেছে এবং বৈশাখ কে কেন্দ্র করে যে ধরনের আয়োজনগুলো করা হয় তা বিভিন্ন জায়গায় করা হয়েছে।
কিন্তু তবুও গ্রামের বাড়িতে থাকার কারণে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে প্রতিবার আমি যেসব জায়গায় ভ্রমণ করতে যেতাম কিংবা পহেলা বৈশাখের যে অনুষ্ঠানগুলোতে অংশগ্রহণ করতাম সেগুলোতে অংশগ্রহণ করার সুযোগ হয়ে ওঠেনি। পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান বলতে সাধারণত আমরা প্রতিবছর বন্ধুরা মিলে আমাদের কলেজে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে যে অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হতো সেখানেই আমরা অংশগ্রহণ করতাম। এছাড়া অন্য কোন জায়গায় আমরা যেতাম না। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এলাকায় বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রকমের খুব সুন্দর সুন্দর কিছু জিনিস তৈরি করা হতো বিকালের সময়ে আমরা কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ভ্রমণ করার জন্য যেতাম। কিন্তু গত চার বছর ধরে পহেলা বৈশাখে কোন জায়গায় ভ্রমণ করতে যাওয়া হয়নি এবং সেই সাথে কোন রকমের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা হয়নি।
চট্টগ্রাম মেয়ে লালদিঘির ময়দানে বিশাল আকারে জব্বর মিয়ার বলে খেলা আয়োজন করা হয়। এই বছরেও হয়তোবা চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই আয়োজনটি করা হবে। যেহেতু অনেক বছর পর্যন্ত কোন বৈশাখী মেলাতে যাইনি তাই এইবারে এই মেলাটা হাতে অংশগ্রহণ করার একটা ইচ্ছা রয়েছে। কারণ এই মেলাগুলোতে আমাদের বাঙালি জাতির ঐতিহ্যবাহী অনেক রকমের মাটির জিনিস যেমন বিক্রি করার জন্য কুমাররা আসে। সেই সাথে বাঙ্গালীদের ঐতিহ্য শুকনো মিষ্টি জাতীয় খাবারের দোকান এই মেলাতে বসে। এই মনের মেলাতে এমন সব জিনিস পাওয়া যায় যেটা সারা বছর আমরা যদি সংরক্ষণ করতে চাই তাহলে বিভিন্ন জায়গা থেকে অনেক কষ্ট করে সংগ্রহ করতে হবে। তাই বৈশাখী মেলাতে অংশগ্রহণ করলে বাঙালি জাতির ঐতিহ্যবাহী অনেক কিছুই পাওয়া সম্ভব হয়। আমাদের দেশের ঐতিহ্যবাহী জিনিসগুলো খুবই প্রয়োজন যেগুলোর মাধ্যমে আমাদের সংস্কৃতি ফুটে ওঠে। এখানে অবশ্য আমাদের অংশগ্রহণ করা উচিত।
ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে শেষ পর্যন্ত লেখাটি পড়ার জন্য আরও একটি নতুন লেখা নিয়ে পুনরায় আপনাদের সামনে উপস্থিত হব ইনশাআল্লাহ।
Hi, Greetings, Good to see you Here:)
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit