আসসালামু আলাইকুম
আরো একটি নতুন বিষয় নিয়ে পুনরায় আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি।
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন সবার জন্য অনেক অনেক দোয়া ও ভালোবাসা রইলো।
চট্টগ্রাম বারো আউলিয়ার দেশ বলা হয় কারণ এখানে প্রচুর পরিমাণে পীর আউলিয়ার আবির্ভাব হয়েছিল এবং ইসলাম ধর্ম প্রচার করার জন্য অনেকটা ভূমিকা পালন করেছে। চট্টগ্রামের প্রতিটা থানায় বলতে গেলে একটি করে মাজার রয়েছে এবং এর মাথার গুলোর মধ্যে কিছু কিছু মাজার এমন যেগুলো পুরো বাংলাদেশে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। এর মধ্যে অন্যতম একটি হলো মহসিন আউলিয়ার মাজার যেটা আমাদের গ্রামের পাশেই অবস্থিত। অনেকদিন পর আজকের পর মোহছেন আউলিয়ার মাজারে ভ্রমণ করার একটা সুযোগ হয়েছিল।
মোহছেন আউলিয়া সম্পর্কে কিছু অবশ্যই বলে রাখা দরকার। চট্টগ্রাম শহর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরুত্বে অবস্থিত হযরত শাহ্ মোহছেন আউলিয়া (রাঃ) এর মাজার শরীফ। আনোয়ারা উপজেলার দেয়াং পাহাড় ঘেড়া বটতলী ইউনিয়নের রুস্তমহাট এলাকায় হযরত শাহ্ মোহছেন আউলিয়া (রাঃ) মাজার অবস্থিত। আল্লাহ্ তায়ালার মনোনীত দ্বীন ইসলামের প্রচার প্রসারে আল্লাহ্ পাক তার প্রিয় রাসুল (সা.)’র নির্দেশে অক্লান্ত পরিশ্রম করে ইসলামের বিজয়কেতন উড়িয়েছেন এবং এদেশে মজলুম মানবগোষ্ঠীকে ইসলামের শান্তির ছায়াতলে স্থান দিয়েছেন।আরব সুদূর থেকে সমুদ্রপথে ইসলাম প্রচারে চট্টগ্রামে আগমন করেন হযরত শাহ্ মোহছেন আউলিয়া (রহ.)। আধ্যাত্মিক শক্তিতে জনপ্রিয় হয়ে এখানে তার মাজার প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় নিজেদের ধন্য মনে করে আনোয়ারাবাসী
মোহছেন আউলিয়ার (রহ.) এমন অলৌকিক ক্ষমতার কথা চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে দলে দলে বিভিন্ন ধর্ম-গোত্রের লোকেরা তার সংস্পর্শে এসে ইসলাম ধর্মের ছায়াতলে সমবেত হয়েছিলো।
মহছেন আউলিয়া কে কেন্দ্র করে এখানে বিখ্যাত এই মাজারটি তৈরি করা হয়েছে। বটতলীর এই স্থানটা একসময় মানুষজন তেমনটা ছিল না। শুধুমাত্র এই মাঝারটিকে কেন্দ্র করে এখানে বিশাল একটি বাজার এবং এর চারপাশে ঘনবসতি তৈরি হয়েছে। প্রতি বছর প্রচুর পরিমাণ ধর্মপ্রাণ মানুষ এখানে পরিদর্শন করার জন্য আসে। বিভিন্নজন ব্যক্তি বিভিন্ন রকমের নিয়তে এখানে আসে তাদের একটাই ধারণা যে এই মাজারের উসিলায় তাদের ইচ্ছা গুলো বাস্তবায়ন হবে। এছারা প্রতিবছর এই মাজারের একটা বাৎসরিক ওরস উদযাপন করা হয় যেখানে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রচুর পরিমাণে লোকের আগমন হয়। বেবি পির আউলিয়ার রাসুল সাঃ এর কাছে যে ইসলামের আগমন হয়েছিল সেটা সমগ্র বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিয়েছিল। প্রত্যেকটা পীর এবং আউলিয়া যারা আমাদের দেশে আগমন করেছে তাদের প্রত্যেকের প্রতি আমাদের সম্মান এবং শ্রদ্ধা বজায় রাখা উচিত। এবং অবশ্যই যখন সুযোগ পাবো তখন আমাদের এই ধর্মীয় স্থানগুলোতে ভ্রমণ করে আসা উচিত।
ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে শেষ পর্যন্ত লেখাটি পড়ার জন্য আরও একটি নতুন লেখা নিয়ে পুনরায় আপনাদের সামনে উপস্থিত হব ইনশাআল্লাহ।
Hi, Greetings, Good to see you Here:)
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit