আসসালামু আলাইকুম
আরো একটি নতুন বিষয় নিয়ে পুনরায় আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি।
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন সবার জন্য অনেক অনেক দোয়া ও ভালোবাসা রইলো।
জীবনের অনেকগুলো ধাপে রয়েছে এর মধ্যে অন্যতম একটি ধাপ হলো বিবাহ। বিবাহের মাধ্যম এই একাকীত্ব মানুষ গুলো একত্রিত থাকার বৈধতা পায়। তাই সামাজিক মর্যাদা এবং প্রত্যেকটা ধর্মের ধর্মীয় রীতি মেনে প্রত্যেকটা ছেলে এবং মেয়ের মধ্যে বিবাহ বন্ধনের আবদ্ধ হওয়ার পদ্ধতিটা চলে আসছে বহু বছর থেকে। বিবাহ করার জন্য নির্ধারিত সর্বনিম্ন বয়স নির্ধারণ করা থাকলেও একেক জন একে সময়ে গিয়ে বিবাহ করে থাকে তার ব্যক্তিগত অবস্থানের উপর ভিত্তি করে। সামাজিকতার এই বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া এবং ধর্মীয় রীতি মেনে বিবাহের যে নীতিমালা রয়েছে সেটা বাস্তবায়ন করার জন্য চলে এসেছিলাম গ্রামের বাড়িতে। কাছের মানুষদের সঙ্গে দেখা করার ব্যাস কয়েকটি উৎসব রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম একটি হলো বিবাহ। ঈদ এবং কোরবানির ঈদ এই দুই ঈদ ছাড়া সকল কাছের মানুষকে একত্রিত করার একটি অন্যতম সুযোগ বিবাহের অনুষ্ঠান। তাই এই অনুষ্ঠানে কাছের দূরের সকলের সঙ্গে দেখা করার একটা সুযোগ হয়।
আমাদের পরিবারের সবার শেষ সদস্য আমি তাই বেশ আনন্দের সাথে অনেক আত্মীয়স্বজন বিবাহের অনুষ্ঠানে আসার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে। গত এক সপ্তাহ ধরে বাড়িতে বিয়ের একটা আমেজ চলছে কাছে যে আত্মীয় স্বজনরা রয়েছে তারা দিনে অন্তত একবার করে হলেও এসে আমাদের পরিবারের সবার সাথে আড্ডা দিয়ে যাচ্ছে। আত্মীয়স্বজনরা এমনিতেই সব সময় খোঁজখবর রাখে কিন্তু বিয়ের অনুষ্ঠানের উপর ভিত্তি করে যখন তারা আসে একে অপরের সাথে আনন্দ উল্লাস করছে এটা দেখে একটা মানসিক তৃপ্তি পাওয়া যায়। ২৮ তারিখ বিবাহের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে কিন্তু তবুও ২১ তারিখের পর থেকেই আমাদের যত আত্মীয়-স্বজন আমাদের বাড়ির আশেপাশে রয়েছে তারা প্রত্যেকেই প্রতিদিন আমাদের বাসায় এসে আমাদের বুঝাতে চেষ্টা করছে এখানে একটি বিয়ের আয়োজন চলছে। দাদু চাচি ভাইয়ারা সহ সবাই মিলে অনেক আনন্দ একটি সময় কাটছে। আজকে সাদা মেহেদীর সন্ধ্যা অনেকগুলো আত্মীয় আমাদের বাসায় বর্তমানে উপস্থিত হয়ে গিয়েছে।
বিবাহ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে আমাদের চট্টগ্রাম এলাকায় বেশ কিছু রীতি নীতি রয়েছে যেগুলো একটা কুসংস্কারের মতো মনে হলেও এখানে খুবই ঘটা করে এগুলো আয়োজন করা হয়। চেষ্টা করছি এ ধরনের কুসংস্কার গুলো বাদ দিয়ে যতটা নিজেকে ইসলামের এবং ভাবে বিবাহের অনুষ্ঠান টা নিয়ন্ত্রণ করা যায় সেভাবে পরিচালনা করার জন্য। তাই অনেকটা ঘটা করে মেহেদী অনুষ্ঠানের আয়োজন না করে চেষ্টা করেছি কাছের মানুষদের জন্য খাবারের আয়োজন করা এবং মসজিদে যারা মুরুব্বী গত হয়ে গিয়েছে তাদের জন্য খতমে কোরআন দেওয়ার। সব মিলিয়ে সুন্দর একটা দিন অতিক্রম হচ্ছে সবাই দোয়া করবেন।
ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে শেষ পর্যন্ত লেখাটি পড়ার জন্য আরও একটি নতুন লেখা নিয়ে পুনরায় আপনাদের সামনে উপস্থিত হব ইনশাআল্লাহ।
Hi, Greetings, Good to see you Here:)
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit