আমরা ইতিহাস পড়ে জানতে পেরেছি ভারত উপমহাদেশে এক সময় জমিদারদের রাজত্ব ছিল।
জমিদারদের শোষণ এবং শাসন সম্পর্কে আমরা ইতিহাস পড়েছি অনেক ।
এই জমিদার গুলো যেমন কৃষকদের উপর জুলুম করত এবং ঠিক তেমনি এই জমিদারদের কিন্তু অনেক বিলাসবহুল জীবন ছিল ।
বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে জমিদারদের বসবাস ছিল চট্টগ্রাম ও কিন্তু এর বাইরে নয় ।
বেশ কিছু জমিদার যুদ্ধের সময় দেশ ত্যাগ করে ভারতে চলে যায় এবং কিছু জমিদার পৃথিবীর অন্যান্য দেশে চলে যায়।
কিন্তু কিছু জমিদার যাদের বাংলাদেশের প্রতি ভালোবাসা ছিল তারা যুদ্ধের সময় দেশে থেকে গিয়েছিল ।
একটি জমিদার বাড়ি সম্পর্কে সন্ধান পেয়েছিলাম আমাদের এলাকার একজন কাছের মানুষের মাধ্যমে। যেহেতু দর্শনীয় স্থান নয় কিন্তু আমার পুরাতন স্থাপনা দেখতে খুবই ভালো লাগে।
তাই আমরা দুই ভাই বাইক নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম স্থানটি দেখার জন্য।
এ পর্যন্ত জানা তথ্য মতে যখন যুদ্ধ শুরু হয় তখন এই পরিবারের প্রত্যেকেই বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে চলে যায় ।
তাদের বাড়িঘর যেরকম অবস্থায় ছিল সেরকম অবস্থায় রেখে।
কিন্তু যুদ্ধের সময় ছেড়ে চলে গেলেও যে স্থাপনা কিংবা বাড়িতে ছিল সেটা কিন্তু শত বছর পুরনো।
অর্থাৎ বংশ পরম্পরায় এই জমিদাররা এখানে বসবাস করে আসছে।
বর্তমান সময়ে জমিদার পরিবারের কেউ বাংলাদেশে অবস্থান করে না কিংবা বংশপরম্পরায় কেউ এই বাড়ির আশেপাশে নেই।
দূর সম্পর্কের কিছু আত্মীয়রা এটা দেখাশোনা করছে বর্তমানে। তাদের নামে দু একটা প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছে যেন জমিদারদের নাম স্মরণীয় হয়ে থাকে ।জমিদার বাড়িটির লোকেশন হচ্ছে আনোয়ারা ও পটিয়ার মধ্যবর্তী স্থানে সরদারহাট নামে একটি বাজার রয়েছে ।
সেই বাজারটি অতিক্রম করে একটু সামনে গেলেই দুটো রাস্তা পরে।
দুই দিকে মূলত এখানে দুই জমিদার ভাইয়ের দুটি বাড়ি রয়েছে ।
তুই ভাইয়ের মধ্যে একজনের নাম জানতে পারা যায়নি কারণ তার নাম সম্পর্কে সেখানে কোন ভোট আমরা দেখতে পাইনি ।
দ্বিতীয় ভাইয়ের স্থানে যখন গিয়েছিলাম তখন তার নাম দেখতে পেয়েছি ,
যোগেশচন্দ্র রায় নামে একটি ফাউন্ডেশন তৈরি করা হয়েছে ।গত কালকে গিয়েছিলাম এই জমিদার বাড়ি ভ্রমণের উদ্দেশ্যে ।
যদিও বা প্রথমটি একদম ধ্বংসাবশেষ আকারে পড়ে রয়েছে দ্বিতীয়টি এখনো পর্যন্ত মোটামুটি থাকার উপযোগী এবং সেখানে দুজন বসবাস করছে দেখাশোনা করার জন্য ।
জমিদার বাড়ির আশেপাশে রয়েছে বিশাল বিশাল পুকুর এবং জমিদার বাড়িটাও কিন্তু অনেক বড় বিশাল জায়গা দখল করে মাঝখানে একটি বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছিল ।
স্থানীয় একজনের সাথে আলাপ করে জানতে পেরেছিলাম এ জমিদার বাড়িটি যখন পরিপূর্ণ ছিল তখন প্রায় 144 টি রুম ছিল ।
এর চারপাশে কিন্তু বর্তমানে একটি দ্বিতীয় তলা ভবন পরিপূর্ণভাবে দেখতে পাওয়া যায় ।
কিন্তু সেটিও বন্ধ রয়েছে কারণ এটি নড়বড় হয়ে গিয়েছে যে কোন মুহূর্তে ভেঙ্গে পড়তে পারে।
অর্থাৎ দুই তলা ভবন থাকলেও সেটা এখন আর বসবাসের উপযোগী নয়। তাই বর্তমান সময়ে সেটা তারা বদ্ধ এবং সেখানে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না। শুনতে পেয়েছি সেই জমিদারের নাম অনুসরণ করে এখানে একটি কলেজ নির্মাণ করা হবে । এলাকার মানুষরা যাতে সুশিক্ষা অর্জন করতে পারে সেটার জন্য এটা অবশ্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এটা দেখে ভালো লাগছে যে জমিদারদের বংশধররা এখানে বসবাস না করলেও তারা এখানকার মানুষের জন্য সকল জমি মন্দিরের নামে দান করে দিয়ে গেছে ।
এখানে বেশ কিছু মন্দির নির্মাণের কাজ চলছে।
সেই সাথে কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরি করার কাজ চলছে ।
এই এলাকার মানুষের জন্য যেটা খুবই প্রয়োজন বলে মনে করছি ।
আসলে এভাবে যাদের অর্থ সম্পদ রয়েছে তারা যদি সমাজ ও জাতির জন্য এরকম কোন কিছু করে যায় তবে তাদের নাম সব সময় ইতিহাসে লেখা থাকবে ।
আমাদের অবস্থান থেকে ইনশাল্লাহ আমরাও কাজ করা যাব জাতীয় সমাজের উদ্দেশ্যে।
ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে শেষ পর্যন্ত লেখাটি পড়ার জন্য ।
আরো একটি নতুন লেখা নিয়ে আপনার আপনাদের সামনে উপস্থিত হব ।
ইনশাল্লাহ
Thank you for sharing posts, improve the quality of your posts and stay original.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit