আজকে যেহেতু শুক্রবার তাই অবশ্যই জুমার নামাজ পড়তে যেতে হবে। সকালে সামান্য একটু ব্যবসা করে নেওয়ার পর দোকানটা বন্ধ করতে হবে। কিন্তু যে পরিমাণ পর্যটক আসবে চিন্তা করেছিলাম সে পরিমাণ পর্যটক আজকে আসেনি। গত সপ্তাহে শুক্রবারে মুখান নামক ঘূর্ণিঝড় কক্সবাজারে আঘাত আনার একটা আতঙ্ক ছিল তাই গত সপ্তাহেও পর্যটক খুব একটা বেশি ছিল না। চিন্তা করেছিলাম এই সপ্তাহের শুক্রবারে হয়তোবা পুষিয়ে নিতে পারব কিন্তু সেরকমটা হয়নি। যেহেতু দোকানে খুব একটা ব্যস্ততা ছিল না তাই দুপুরের আগেই সমুদ্র সৈকতের দিকে একটু হেঁটে এলাম। ঘূর্ণিঝড়ের পরেও যেভাবে পর্যটক আসবে চিন্তা করেছি সেভাবে না আসলেও কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের পর্যটক কিন্তু কম আসে না। অবশেষে আল্লাহর রহমতে ভাগ্য খুলে গেল জুম্মার নামাজ পড়তে যাওয়ার 10-15 মিনিট আগে একটা কাস্টমার এলো এবং তার কাছে মোটামুটি একটা ভালো সেল করতে পারলাম।
অতঃপর দোকান বন্ধ করে নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে চলে গেলাম আলিফ লাম মিম জামে মসজিদে। এই পর্যন্ত মোটামুটি তিনটা জুমার নামাজ এই মসজিদে আদায় করেছি। লাবনী পয়েন্টের এই মসজিদটা খুবই সুন্দর এবং এর পাশে গাছ হওয়ায় খুবই শীতল থাকে মসজিদের আঙ্গিনা। দুতলা বিশিষ্ট এই মসজিদটিতে অনেকজন মুসল্লী একসাথে নামাজ আদায় করতে পারে। অনেকজন মানুষের সাথে একত্রয় নামাজ পড়ার একটা আলাদা অনুভূতি রয়েছে। জুমার দিন অনেকগুলো মানুষ একত্রে এক জায়গায় জড়ো হওয়ার কারণে অনেকগুলো পরিচিত মুখের সঙ্গে দেখা পাওয়া যায়। সপ্তাহে অন্তত একবার জুমা মসজিদে গেলে এই পরিচিত মুখগুলো সঙ্গে দেখা হয়। শুক্রবারে সময় মত জুমা পড়তে যাওয়ার এটা আরও একটি ভালো দিক। কাছের মানুষগুলোর সাথে যখন নিয়মিত থাকা হয় তখন একটা ভালো সম্পর্ক বজায় থাকে।
জুম্মার নামাজ শেষ করে দোকানের উদ্দেশ্যে ফিরে এলাম এবং একত্রে বসে সবাই মিলে দুপুরের খাবার শেষ করলাম। আমার দোকান সহ আমার পাশে আরো একটি ভাইয়ের দোকান আছে সবাই মিলে মোটামুটি আমরা সাতজনে একত্রে প্রতিদিন দুপুরের খাবার একসাথে খাই। একত্রে সবাই মিলে বসে খাওয়াটার মধ্যেও একটা আনন্দ আছে এখানেও একটা ভ্রাতৃত্বের বন্ধন তৈরি হয়। মোটামুটি রাতের বারোটা পর্যন্ত আজকে দোকান খোলা ছিল এবং বারোটার দিকে রাতের খাবার শেষ করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে শেষ পর্যন্ত লেখাটি পড়ার জন্য আরও একটি নতুন লেখা নিয়ে পুনরায় আপনাদের মাঝে উপস্থিত হব ইনশাল্লাহ।