আজকে সকালে ঘুম থেকে একটু দেরি করে উঠেছি প্রতিদিন যে সময় উঠে তার চেয়ে আরো আধাঘন্টা বেশি ঘুমিয়ে ছিলাম। কারণ আগে থেকে জানা ছিল যেহেতু কাস্টমার এখন থাকবে না তাই একটু দেরি করে গেলে খুব একটা বেশি সমস্যা হবে না। যেমনটা ভেবেছিলাম তেমনটাই হল। দোকান একটু দেরি করে খুলেছি দুপুরের পর্যন্ত মাত্র একজন কাস্টমারের কাছে পণ্য বিক্রি করতে পেরেছি। দুপুরের পরে থেকে একদম মাগরিব পর্যন্ত একটা কাস্টমারও আর দোকানের দিকে আসেনি। মাত্র দুই একজন দোকানের আশপাশ থেকে হেঁটে চলে গেছে পন্যার দিকে একটু হাত দিয়েছে দাম কেউ জিজ্ঞাসা পর্যন্ত করল না। তা বুঝাই যাচ্ছে এরা শুধু একটু মার্কেটে হাঁটাহাঁটি করার জন্য এসেছে কেনাকাটা করার জন্য নয়। আমরাও মানসিকভাবে নিজেদেরকে প্রস্তুত করে রেখেছি কারণ জানি এখন যেহেতু কক্সবাজার এলাকায় সিজন নেই তাই এমনটাই হবে।
আসরের আজান পর্যন্ত কোন রকমে বসে হেঁটে গল্প গুজব করে সময়টা কাটিয়ে দিলাম। দোকানে বসে বসে গল্পের বই পড়ছিলাম হুমায়ূন আহমেদের শুভ্র সিরিজের একটি বই পড়ছিলাম বসে বসে রুপালি দ্বীপ। গল্পটা পড়ে খুব দারুণ লাগলো মনে হয়েছিল এই ক্যারেক্টার এর মধ্যে আমি একজন যদি হতাম তাহলে মন্দ হত না। গল্পের বই যতক্ষণ পড়ছিলাম তখন মনে হচ্ছিল আমিও সেই গল্পের চরিত্রের মধ্যেই একজন। আজকে এক বসাতেই মোটামুটি পুরো গল্পটা পড়ে শেষ করে দিয়েছি যেহেতু অবসর সময় ছিল।
মাগরিবের পরে আমার এক ছোট ভাই আমার সঙ্গে দেখা করতে এলো তার বাসায় দাওয়াত দিয়ে গেল। ছোট ভাই আবার এক বছরের বেশি হয়েছে বিয়ে করেছে তার একটা পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করেছে আজকে এক সপ্তাহ হল। সেই উপলক্ষে কাছের কয়েকজন মানুষকে দাওয়াত দিয়েছে তার মধ্যে আমি একজন। হাতে কোনো ৪-৫ জন কাছের মানুষের মধ্যে আমি একজন হতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি। অতঃপর রাত 9 টার দিকে আমার দোকানের আরো একজনকে দায়িত্বটা বুঝিয়ে দিয়ে আমি আস্তে করে দোকান থেকে বের হয়ে দাওয়াত খাওয়ার উদ্দেশ্যে চলে গেলাম ছোট ভাইয়ের বাসায়। বাসায় গিয়ে আন্টি সহ সবার সাথে কিছুক্ষণ গল্প গুজব করে মোটামুটি সাড়ে এগারোটার দিকে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে বাসায় ফিরে এলাম। আর বাসায় এসে লিখতে বসলাম আজকের দিনের আমার অভিজ্ঞতার কথা।
ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে শেষ পর্যন্ত লেখাটি পড়ার জন্য।
আরও একটি নতুন রাখা নিয়ে পুনরায় আপনাদের মাঝে উপস্থিত হব ইনশাল্লাহ।