আসসালামু আলাইকুম
আশা করি সবাই ভাল আছেন।আরো একটি নতুন লেখা নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি।সবার জন্য অনেক অনেক দোয়া ও শুভকামনা রইল।
রমজান মাস রহমতের মাস দেখতে দেখতে আজ প্রায় 15 টি রমজান অতিক্রম হয়ে যাচ্ছে।রমজান মাস কি খুব দ্রুত সময়ে চলে যায় বলে মনে হয়।রমজান মাসের আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ ও রহমত পৃথিবীতে নাযিল হয়।তাই এই মাসে আপনি আপনার ঈমানকে মজবুত করার আরও একটি সুযোগ পান।
একজন মুমিন ব্যক্তি নিজেকে মুক্তাকি হিসেবে প্রমাণ করার জন্য রমজান মাস হচ্ছে উপযুক্ত সময়।মহান আল্লাহ প্রত্যেক মুমিন ব্যক্তিকে রমজান মাসে রোজা রাখার ব্যাপারে নির্দেশনা দিয়েছেন।আর এই রোজা রাখার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি মুমিন দেখে নিজেকে মুত্তাকীতে রূপান্তরিত করতে পারেন।অর্থাৎ আপনি আল্লাহর কাছে আরও একটি সম্মানের আসনে চলে গেলেন যে আসনের নাম হচ্ছে মুত্তাকী।একজন মুমিন ব্যক্তি আল্লাহকে না দেখে বিশ্বাস করে এটা প্রমাণ দেওয়ার একমাত্র উপায় হল রমজান মাস।রমজান মাস ছাড়া সাধারণত সরাসরি বিশ্বাস স্থাপন করেছি এই বিষয়টা প্রমাণ দেওয়াএকটু কঠিন হয়ে যায়।
কিন্তু রমজান মাসে রোজা রাখার মাধ্যমে আপনি আল্লাহকে এটা সশরীরে প্রমাণ দিতে পারবেন।কারণ রমজান মাসে সেহরির সময় থেকে ইফতার না করা পর্যন্ত আমরা পরিপূর্ণভাবে পানাহার থেকে বিরত থাকি।এই পানাহার থেকে বিরত থাকাটা আমরা আল্লাহকে প্রমাণ দিতে চেষ্টা করি যে আমরা না দেখে আল্লাহকে বিশ্বাস করি।কারণ আমরা চাইলে যেকোনো সময় যে কোন জায়গায় বসে লোকজনের সামনের থেকে সরে গিয়ে গোপনে যেকোনো কিছু আমরা আহার করতে পারি।আমরা গোসল করার সময় পানি খেয়ে নিতে পারি।বা দরজা বন্ধ করে যে কোন রকমের খাবার আমরা খেয়ে নিতে পারে মানুষ কিন্তু এখানে আমাদের দেখছে না।কিন্তু শুধুমাত্র আল্লাহর ভয়ে আমরা এই খাবার খাচ্ছি না।
কারণ আমরা বিশ্বাস করি পৃথিবীর অন্য কোন মানুষকে খুব বা না দেখুক মহান আল্লাহ আমাদেরকে ঠিকই দেখছে।তুমি সব সময় সব জায়গায় উপস্থিত।রাতের অন্ধকারে বন্ধ দরজার ভেতরে এবং পানির গভীরে যেখানে আমরা অবস্থান করি না কেন তিনি আমাদেরকে দেখতে পান।এই বিশ্বাসটা আমরা স্থাপন করেছি বলেই রমজান মাসে আমরা কিছু না খেয়ে ইফতারের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে।রমজান মাসে রোজা রাখাটা যেমন কষ্টের বিষয় ঠিক তেমনি মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারছি এটা একটা আনন্দের বিষয়।রোজা রাখার মাধ্যমে মহান আল্লাহর নিকটতম বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত হওয়া যায়।তাই যখনই রমজান মাসের সুযোগ পায় চেষ্টা করে প্রত্যেকটা রোজা পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করার।
আল্লাহর রহমতে আমি যখন থেকে মোটামুটি বুঝতে শিখেছি তখন থেকেই প্রত্যেকটা রোজা পালন করার চেষ্টা করেছি।এবং হয়তো ষষ্ঠ শ্রেণীর পর থেকে এখন পর্যন্ত একটা রোজাও না রেখে থাকি নাই।রোজা রাখার মাধ্যমে এক আলাদা মানসিক প্রশান্তি কাজ করে।ইনশাআল্লাহ যতদিন আল্লাহ হায়াত দিবেন ততদিন পর্যন্ত প্রত্যেকটা রোজা পালন করার চেষ্টা করব।
ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে শেষ পর্যন্ত লেখাটি পরার জন্য।
আরেকটি নতুন লেখা নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হব ইনশাআল্লাহ