আসসালামু আলাইকুম
আরো একটি নতুন বিষয় নিয়ে পুনরায় আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি।
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন সবার জন্য অনেক অনেক দোয়া ও ভালোবাসা রইলো।
ভাষা শহীদদের স্মরণে প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস উদযাপন করা হয়। ফেব্রুয়ারি মাসটা আমাদের জন্য একটি স্মরণীয় মাস কারণ এই মাসেই ভাষা আন্দোলন হয়েছিল ১৯৫২ সালে। মাতৃভাষা বাংলা জন্য যে ভাইয়েরা তাদের জীবন উৎসর্গ করেছিল তাদের স্মরণের প্রতি বছর আমরা শহীদ দিবস পালন করি। এই শহীদ দিবসের স্মরণে প্রতিবছর ফেব্রুয়ারীর প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত বইমেলার আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশের প্রতিটা জেলাতেই এই বইমেলা আয়োজন করা হয় একসাথে। কিছু কিছু জায়গায় বইমেলা একদম মাসের শুরু থেকে চালু করা হয়। আবার কিছু জায়গায় একটু দেরিতে শুরু হয়। কক্সবাজারে ও প্রতি বছর বইমেলার আয়োজন করা হয়। এই বছরেও তার ব্যতিক্রম ছিল না। কক্সবাজার প্রতিবছর পাবলিক লাইব্রেরির ময়দানে বইমেলার আয়োজন করা হয়। কিন্তু গত দুই বছর ধরে পাবলিক লাইব্রেরী ছাড়াও সমুদ্র সৈকত এলাকায় এক সপ্তাহব্যাপী বইমেলার আয়োজন করা হচ্ছে। যেহেতু আমার কাজ সমুদ্র সৈকত এলাকাতে তাই এই বইমেলাতে ভ্রমণ করাটা আমার জন্য সুবিধা বেশি। যদিও এই বইমেলাতে বেশি পরিমাণ স্টল আনা হয়নি তবুও এখানে মানুষের আগমন হয়েছে অনেক।
সমুদ্র সৈকত এলাকায় যে বইমেলাটা বসে ওটা মাসব্যাপী হয় না। ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু করে এই বই মেলাটা একুশে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আয়োজন করা হয়েছে কক্সবাজার জেলার একটা স্টেশন নামে লাইব্রেরীর স্পন্সরের মাধ্যমে। চট্টগ্রাম জাললা এবং কক্সবাজার জেলার কয়েকটি বুক স্টল মিলে এই মেলাটি পরিচালনা করেছিল। কক্সবাজার এবং চট্টগ্রামের মোট ১০টির মতো স্টল দিয়েছে। মেলায় বিশেষ করে দেশ বরণ্য যে বিখ্যাত লেখকরা ছিল তাদের বইয়ের কালেকশনই বেশি দেখা গেছে। ঢাকার বই মেলাতে যেমন প্রতি বছর নতুন নতুন অনেক লেখকের বই ভাইয়ের হয় এবং তারা প্রত্যেকেই একটি করে স্টল দেয়। কক্সবাজারের বইমেলায় কিন্তু এমনটা দেখা যায় না। এদিকে যে বইমেলাটা হয় সেটা সাধারণত পুরাতন যে বিখ্যাত উপন্যাস ছোট গল্প কিংবা কবিতার বইগুলোকে একত্রিত করে পালন করা হয়।
১৪ ফেব্রুয়ারিতে বইমেলা উদ্বোধন করার ফলে রাতের দিকে এখানে প্রচুর পরিমাণে দর্শনার্থী বেড়ে গিয়েছিল। যেহেতু এই দিন সরস্বতী পূজার ভিসর্জন ছিল সেই সাথে ছিল ভালোবাসা দিবস। এই দিনে আরও উদযাপন করা হয়েছে বসন্ত উৎসব। সবমিলে প্রচুর পরিমাণে পর্যটকের আগমন হয়েছিল কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এলাকায়। আমি যেহেতু সন্ধ্যার পরে মেলায় ঘুরার সুযোগ ছিল না তাই যে মুহূর্তে মেলা উদ্বোধন করবে সেই সময় মেলার চারপাশ একটু পর্যবেক্ষণ করে এলাম। ভাষা আন্দোলন এবং ভাষার প্রতি সম্মান রেখে প্রতি বছর যে মারা উদযাপন করা হয় আমরা অনেকেই বিভিন্ন রকমের নিত্য নতুন বই সংগ্রহ করতে পারি।
ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে শেষ পর্যন্ত লেখাটি পড়ার জন্য আরও একটি নতুন লেখা নিয়ে পুনরায় আপনাদের সামনে উপস্থিত হব ইনশাআল্লাহ।