আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন ।সবার দিন সুন্দর কাটুক সে কামনা করছি ।স্বাগতম জানাচ্ছি আরও একটি নতুন ব্লগ পড়ার জন্য।
গ্রুপে ছাত্র জীবনের স্মৃতিময় দিন নিয়ে একটা কনটেস্ট চলছে তাই আমিও অংশগ্রহণ করার জন্য চলে আসলাম ।প্রথমবার যে কনটেস্ট হয়েছিল সেখানেও আমি অংশগ্রহণ করেছিলাম কিন্তু হয়তোবা পরিপূর্ণভাবে রুলসটা ফলো করি নেই বলে তালিকাভুক্ত হতে পারেনি। তবে চেষ্টা করছি এবার অন্য আরেকটি স্মৃতিময় ঘটনা আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ।
আসলে প্রত্যেকটা মানুষের ছাত্র জীবনটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় যখন যথেষ্ট পরিমাণ ফ্রি সময় থাকে এবং প্রচুর মানুষের সাথে পরিচয় হওয়ার একটা সুযোগ থাকে । ছাত্র জীবনে সময়টাতে আসলে নিজেকে অসহায় মনে হলেও পরবর্তীতে বুঝা যায় ছাত্র জীবনটাই ছিল জীবনের সবচাইতে আনন্দদায়ক এবং টেনশন মুক্ত একটি জীবন। ছাত্র জীবনে আপনি যে কয়েকটি ভালো বন্ধু তৈরি করতে পারবেন তারা সারা জীবন আপনার পাশে থেকে যাবে নিঃস্বার্থভাবে ।এই সময় পড়ালেখা ছাড়া আপনাকে অন্য কোন কিছু চিন্তা করতে হয় না কিন্তু আমরা আসলে তখন বুঝতে পারি না যে ছাত্র জীবন পার হওয়ার পর পৃথিবীর ঝামেলার সাথে আমাদের জড়িয়ে যেতে হবে ।ছাত্র জীবনে কাটানো বেশ কিছু মুহূর্ত রয়েছে।
আমি আসলে মোটামুটি লেভেলের একটা ছাত্র ছিলাম ।খুব ভালো ছাত্র ছিলাম না আবার খুব দুর্বল ছাত্রও ছিলাম না। তবে গণিতের ব্যাপারে আমি একটু দুর্বল ছিলাম। যার কারণে প্রায় সময় বলতে গেলে খুবই কম নাম্বার পেতাম গণিতে মাঝে মধ্যে গণিতে ফেল ও করেছি আমি ।
আচ্ছা এখন ঘটনায় চলে যাই।
যেদিন আমাদের রেজাল্ট দিবে সেদিন আমি রিলাক্সে বাসায় বসে আব্বু আম কিনে নিয়ে এসেছিল আমি বসে বসে আম খাচ্ছিলাম। অপরদিকে রেজাল্ট প্রকাশিত হয়ে গেছে কিন্তু আমার কোন খবর নেই। আমাদের পাশের বাসার আন্টি তিনি আমাকে ডেকে জিজ্ঞাসা করলেন বাবা তোমার রেজাল্ট কেমন হয়েছে। আমি আন্টিকে বললাম আন্টি এখনো পর্যন্ত রেজাল্ট দেয় নাই ।রেজাল্ট দিতে তো আরো দেরি আছে। আন্টি বলল কি বল বাবা রেজাল্ট তো দিয়ে দিছে আরো ঘন্টাখানেক আগে ।আমার মেয়ের বান্ধবীর ছোট বোন পরীক্ষা দিয়েছে সে তার রেজাল্ট আমাকে জানালো আর তুমি বলছ এখনও রেজাল্ট দেয়নি তাড়াতাড়ি গিয়ে রেজাল্টের খবর নাও ।এ কথাটা শোনার পর আমি তাড়াতাড়ি আমটা টেবিলের উপর রেখে দৌড় দিলাম রেজাল্ট জানার জন্য। আমি যখন রেজাল্ট জানার জন্য যাচ্ছিলাম তখন বেশিরভাগ ছাত্র এর রেজাল্ট নিয়ে বাসায় চলে যাচ্ছে ।এর মধ্যে আমি খবর পেয়ে গেলাম আমার এক খালাতো ভাই সে নাকি ফেল করেছে ।এটা শোনার পর আমার তো ভয় শুরু হয়ে গেল কারণ আমার খালাতো ভাই বলেছিল গণিতে ফেল করবে। অপরদিকে আমিও গণিতে দুর্বল তার রেজাল্ট শোনার পর আমার মধ্যে একটা টেনশন কাজ শুরু করে দিল। ভয়ে ভয়ে স্কুলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলাম। এর মধ্যে আমার বাবা আমাকে কল করলো বলল তোমার রেজাল্টের কি অবস্থা। বাবা একটু রাগী টাইপের মানুষ আমি যে রেজাল্ট দেখার জন্য এত দেরি করে যাচ্ছি সেটা তাকে বললে তিনি রেগে যাবে ।সেটা বুঝতে পারছিলাম আগে থেকেই ।কিন্তু বাবাকে বললাম যে আমি এখনো রেজাল্ট দেখিনি যাচ্ছি রেজাল্ট দেখার জন্য। বাবা বলল আমাদের কলোনির এক আংকেল আছে তাকে আমার রোল নাম্বারটা দিয়ে রাখার জন্য যাতে তিনি আমার রেজাল্টটা চেক করে বলতে পারে। কিন্তু আমি সেটা করিনি এটার কারণে বাবা আমার উপর অনেক রাগারাগি করল। অবশেষে স্কুলে যাওয়ার পথে আমার এক বন্ধুর সাথে দেখা হলো সে হাতে মিষ্টি নিয়ে বাসার দিকে যাচ্ছে। তাকে জিজ্ঞাসা করলাম কি খবর সে বলল সে পাস করেছে ।পয়েন্ট কোন ম্যাটার করে না পাস করেছে সেটাই বেশি ।তার খুশি দেখে আমার মধ্যে একটা কনফিডেন্স চলে আসলো সে আমার চেয়ে দুর্বল স্টুডেন্ট যেহেতু সে পাশ করেছে তার মানে আমিও হয়তোবা পার করে যাব ।অবশেষে আমি স্কুলের কম্পাউন্ড এর ভিতর ঢুকলাম আমি যখন স্কুলে গেলাম তখন আমি ছাড়া স্কুলের আশেপাশে আর কোন ছাত্র নাই ।সবাই যার যার রেজাল্ট চেক করে বাসায় চলে গেছে অবশেষে নোটিশ বোর্ডে আমি আস্তে আস্তে করে চেক করতে লাগলাম আমার রোল নাম্বারটা এবং আমার রোল নাম্বারটা পেয়ে গেলাম পাস করা ছাত্রদের তালিকায়। আমি কোন রকমে পাস করে গেলাম কোন রকম বলা যাবে না বলতে গেলে সেকেন্ড ক্লাস আমি ৩.০৬ পেয়েছিলাম। তখনকার সময়ের জন্য এটা অনেক বিশাল পয়েন্ট ।আর সাথে সাথে আমার বাবাকে কল করলাম এবং আমার বাবাকে বললাম যে বাবা আমি পাশ করেছি । বাবা মনে হয় আমার কথাটাতে ভরসা পায়নি ।তিনি আমাকে সাথে সাথে বলল ভালো করে চেক করে দেখেছিস আরো একবার চেক করে দেখ ।এ কথাটা শুনে আমি হতবাক হয়ে গেলাম। এবং পুনরায় চেক করলাম এবং আমার রোল নাম্বার এর পাশে আমার আঙ্গুল টা রেখে বাবাকে কল করে বললাম হ্যাঁ বাবা আমি পাস করেছি ।এটা কনফার্ম এখন আমার বাবা বলল আলহামদুলিল্লাহ এবার বাসায় চলে আয় ।
অনেক খুশি নিয়ে বাসায় চলে এলাম কারণ আমি ভয় করেছিলাম হয়তোবা গণিতে গোল্লা মেরে দিব। কিন্তু আল্লাহর ইচ্ছায় আমি পাস করে গিয়েছি ।এই ঘটনাটা তখনকার সময়ে অনেক একটা সিরিয়াস বিষয়ে ছিল। কিন্তু এখন সেই ঘটনাটা যখন আমার মনে পড়ে আমার খুবই হাসি পাই। বিশেষ করে সেই মুহূর্তটার কথা যখন মনে পড়ে যখন আমার বাবা বলেছিল ভালো করে চেক করে দেখেছিস। আমি বললাম জী বাবা চেক করেই বলছি আপনাকে ।তো এভাবে আমার স্কুল জীবনের সমাপ্তি ঘটে এবং কলেজ জীবনে পদার্পণ করি এবং একটি নতুন অধ্যায় শুরু হয়। জীবন থেকে এরকম স্মৃতিময় আরো ঘটনা আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব আপাতত এই বিষয়টা আমার মাথায় এসেছে এবং এটাকে আমি একটি খুশির এবং হাসির ঘটনা বলে মনে করি। আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। আপনাদেরও এরকম কোন হাসির গল্প বা ঘটনা আমাদের সাথে শেয়ার করুন আমরা শুনে সন্তুষ্ট হবে।
ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে ব্লগটি পরার জন্য এবং আপনাদের সাপোর্টের জন্য ।
পুনরায় একটি ব্লগ নিয়ে আবার আপনাদের সামনে উপস্থিত হব ।
ইনশাল্লাহ
Thank you for sharing posts, improve the quality of your posts and stay original.
Determination of Club Status refers to the https://steemworld.org/transfer-search Web-based Application
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Thanks for join..✌️
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
খুব সুন্দর হয়েছে
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ ভাই
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Your post is very well presented. The memories of your student life have been beautifully presented. Good luck to you. Thank you for sharing your beautiful moments with us.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Thank you brother
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit