আসসালামু আলাইকুম
আরো একটি নতুন বিষয় নিয়ে পুনরায় আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি।
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন সবার জন্য অনেক অনেক দোয়া ও ভালোবাসা রইলো।
গতকাল ছিল ইসলাম ধর্মের মানুষের জন্য একটি পবিত্র রাত হবে বরাত। প্রত্যেকটা আদর্শবান মুসলিম এই দিন এবং রাত থাকে একটা ফজিলত পণ্য দিন হিসাবে উদযাপন করে। সন্ধ্যার পর থেকে একদম ফজরের ওয়াক্ত পর্যন্ত অনেক মুসলিম ইবাদত বন্দেগীর মাধ্যমে কাটিয়া দেয়।তাই এই দিনটাতে আমরা সবাই চেষ্টা করেছি ব্যবসা-বাণিজ্য অন্যান্য দিনের মতো লম্বা সময় পর্যন্ত ধরে না রেখে তাড়াতাড়ি বন্ধ করে দেওয়ার। তাই অন্যান্য দিন রাত বারোটা পর্যন্ত দোকানে অপেক্ষা করলেও গতকালকে ৯ঃ৩০ মিনিটে চলে গিয়েছিলাম। যেহেতু ছিল তাই পর্যটকের সংখ্যা ও কম ছিল।রাতের বেলা আমাদের লাবনী পয়েন্টের পাশেই যে মসজিদটা ছিল সেই মসজিদে অনেকক্ষণ পর্যন্ত রকমের দোয়া পাঠ করা হয়। প্রায় দশটা পর্যন্ত মসজিদে অপেক্ষা করলাম। এরপর সেখান থেকে বাসার উদ্দেশ্যে চলে গেলাম।
আজকে সকাল বেলা দোকানে আসতে একটু দেরি করলাম কারন কত কালকে বেশিরভাগ মানুষ রাতের সময় জেগে থাকার কারণে দোকানে লোক আসার সম্ভাবনা কম। কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের মোড় থেকে যখন আপনি পয়েন্টের দিকে হেঁটে নামছিলাম তখন অন্যান্য দিনের তুলনায় রাস্তাটা একদম ফাঁকাই মনে হল। প্রতিদিন যখন এ রাস্তা তা দিয়ে যাতায়াত করি তখন অনেক পর্যটক রাস্তার মধ্যে হাটাহাটি করতে দেখা যায়। কিন্তু আজকে রাস্তার দুই পাশেই একদম ফাঁকা হচ্ছিল তেমন কোন পর্যটকের কোন আনাগোনা দেখা গেল না। মূলত শবে বরাত কে কেন্দ্র করে কক্সবাজার ভ্রমণের উদ্দেশ্যে তেমন কোন পর্যটকের আগমন হয়নি।এছাড়াও দোকান খোলার জন্য দোকানদার এবং দোকানের যে স্টাটা রয়েছে তারাও আজকে দেরি করে আসার কারনে বিয়েতে মানুষের সংখ্যা ছিল খুবই কম। আমি যখন দোকানে ঢুকি তখন বেলা বেজেছে প্রায় এগারোটা ত্রিশ মিনিটের মত। ততক্ষণে দোকানে ভাগিনা ছিল সে দোকান খুলে বসে আছে এর মধ্যে কোন কাস্টমার দেখা যাচ্ছিল না।
সকালে দোকান খোলার পর থেকে যোহরের ওয়াক্ত পর্যন্ত অল্প সল্প বেচাকেনা হল। ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের সাতটা তে বেচাকেনার পরিমাণ অনেকটা কমে যায় কারণ এই সময়টাতে পর্যটকের সংখ্যা অনেক কমে যায়। দুপুর পার হওয়ার পর থেকে মোটেই পর্যটকসহ স্থানীয় অনেক মানুষকে সমুদ্র সৈকত এলাকায় আনাগোনা করতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু তবুও সেটা অন্যান্য দিনের তোল নাই খুবই কম পরিমাণে। স্থানীয় মানুষরা সমুদ্র সৈকত এলাকার আশেপাশেই ভ্রমণ করতে আসলেও খুব একটা কেনাকাটা করে না। কারন স্থানীয় মানুষদের বেশিরভাগ করা এ সদর এলাকায় যে শপিংমল গুলো রয়েছে সেখান থেকেই কেনাকাটা করতে পছন্দ করে। বিকালে যখন মসজিদে নামাজ পড়তে গেলাম তখন মসজিদের বাহির থেকে অপেক্ষা করে দেখে যাচ্ছিলাম সূর্যটা ডুবে যাচ্ছে।
বিকেল বেলা সমুদ্রের দিকে তাকিয়ে এই দৃশ্যটা দেখতে খুবই ভালো লাগছিল।
ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে শেষ পর্যন্ত লেখাটি পড়ার জন্য আরও একটি নতুন লেখা নিয়ে পুনরায় আপনাদের সামনে উপস্থিত হব ইনশাআল্লাহ।