আসসালামু আলাইকুম।
আশা করি সবাই ভাল আছেন।
আরও একটি নতুন বিষয় নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি।
সবার জন্য অনেক অনেক দোয়া এবং ভালোবাসা রইলো। আজকে সমগ্র বাংলাদেশ উদযাপিত হয়ে গেল পবিত্র ঈদুল আযহা। মুসলিম ধর্মালম্বীদের জন্য এটি একটি বড় দিন। ইব্রাহিম আসলাম এবং তার পুত্রের কোরবানির ইতিহাস স্মরণে এই ঈদ উদযাপন করা হয়। মুসলিম বিশ্ব অনেক আয়োজন এর সাথে এই ঈদ উদযাপন করা হয়। বাড়িতে সবার সাথে কোরবানির ঈদ পালন করার জন্য কক্সবাজার থেকে চলে এসেছি আরও দুই দিন আগে। ঈদের দিন একদম সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠা হয় সুন্দরভাবে গোসল করে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন জামা কাপড় পড়ে সুগন্ধি লাগিয়ে সবাই মিলে চলে যাই ঈদগা ময়দানে নামাজ আদায় করার জন্য। গ্রামের বাড়িতে আসলে একটা আলাদা আনন্দ কাজ করে কারণ এখানে সবাই একসাথে পাওয়া যায়। সকাল সকাল উঠে সবাই মিলে একত্রে চলে গেলাম ঈদগাহ ময়দানে নামাজ আদায় করার জন্য। গত কালকে রাত থেকে মাইকিং করা হয়েছে ৭:৩০ মিনিটে ঈদের নামাজ শুরু হবে। সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নিয়ে ঘুম থেকে উঠে গেলাম এবং নামাজ শুরু হওয়ার আধা ঘন্টা আগে ঈদগাহ ময়দানে পৌঁছে গেলাম।
বছরের অন্যান্য দিনের নামাজের চেয়ে ঈদের নামাজে একটা আলাদা সৌন্দর্য দেখা যায়। সবাই নতুন নতুন জামা কাপড় পড়ে আসে এবং নতুন নতুন চেহারা দেখা যায় অনেক মুখের সাথে এই দিন দেখা হয় যেই মুখের সাথে অনেকদিন পর্যন্ত দেখা হচ্ছে না। ঈদের নামাজ আদায় করতে গেলে সবাইকে একত্রে পাওয়া যায় এটা আরো একটি ভালো লাগার দিক।সাট্টা ৩০ মিনিটে আমাদের গ্রামের বাড়ির যেটা ময়দান রয়েছে সেখানে নামাজ শুরু হলো এবং আমরা নামাজ আদায় করলাম সবাই মিলে। নামাজ শেষ করে হুজুর খুতবা দিল সবাই মনোযোগ সহকারে খুতবা শুনলাম। এরপর সমগ্র জাতির এবং দেশের কল্যাণে স্বার্থে এবং সকলের কুরবানী যেন মহান আল্লাহর দরবারে কবুল হয় সেটার জন্য হুজুর মোনাজাত করল। মোনাজাত শেষ করে আমরা সবাই ধারাবাহিকভাবে যার যার গন্তব্যের দিকে রওনা দিলাম। নামাজ শেষ করার পর সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সেটা হচ্ছে পশু কোরবানি দেওয়া। নামাজ শেষ করে বাসায় এসে হালকা খাবার খাওয়ার পর প্রস্তুতি নিয়ে নিলাম কোরবানির পশু জবাই করার উদ্দেশ্যে। আমাদের প্রায় সবাই যৌথ পরিবারের বসবাস করে। আমরা যে এলাকায় আছি আমাদের বাড়িটা অনেক বড় এখানে মোটামুটি বারোটা পরিবার একসাথে থাকে। এইবার কোরবানি দেওয়ার জন্য দুইটা মহিষ এবং একটি গরু নেয়া হয়েছে। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে সবাই মিলে চলে গেলাম পশু কোরবানি দেওয়ার জন্য।
প্রথম গরু কোরবানি দেওয়া হল। মহিষ একটু রাগী প্রকৃতির প্রাণি এটাকে যদি শান্তভাবে আটকানো না যায় তাহলে কিন্তু খুবই ভয়ঙ্কর একটা ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। তাই সবাই মিলে প্রথমে গরু জবাই করার পর একত্রে মহিষের পেছনে দাঁড়িয়ে গেল।কোরবানির সময় কোরবানির পশুকে ভালোভাবে না বাদ দিলে গরুর পা ছোটা ছুটি করার মাধ্যমে অনেকে আহত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাই খুবই মজবুত করে পা বাঁধতে হয়। আর মহিষ চিরি টু গরুর চেয়ে শক্তিশালী প্রাণী তাই মহিষের ক্ষেত্রে একটু ব্যতিক্রম করতে হয়। ১০-১২ জন মিলে একটা মহিষকে ভালোভাবে বাধার পর সেটাকে ধরে রাখল হুজুর আল্লাহর নামে মহিষটি কোরবানি দিয়ে দিল। পশু কোরবানি দেওয়ার মাধ্যমে আমাদের ভিতরে যে পশু রয়েছে সেই পশু টাকে কোরবানি দিতে হয়। পশু কোরবানি হয়ে যাওয়ার পর দশ থেকে ১৫ মিনিট আমরা অপেক্ষা করলাম এরপর শুরু হল পশুর চামড়া এবং মাংস আলাদা করার পালা। চাচাতো ভাই চাচা সবাই মিলে একসাথে বসে পড়লাম মাংস কাটাকাটি করার জন্য। কোরবানি ঈদের এটাই সব চাইতে মজা। সবাই মিলে একসাথে বসে মাংস কাটা কাটাকাটি করা অনেক রকমের মজার কথা বলা এর মাধ্যমেই দিনটা সুন্দরভাবে কেটে যায়।
এরপর কোরবানি ঈদের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো আপনার কোরবানীকৃত মাংসকে যথাযথ পরিমাণ ভাগ করে যার যার অংশ তার তার কাছে পৌঁছে দেওয়া। আত্মীয়স্বজনের হক প্রতিবেশীর হক এবং দরিদ্রের হক এই বিষয়গুলো নির্ধারণ করতে হবে অবশ্যই কোরবানির ক্ষেত্রে। কুরবানীর এই তিনটা ভাগ পরিপূর্ণভাবে দেওয়ার মাধ্যমে প্রকৃত কোরবানি সফল হয়। ইনশাল্লাহ সামর্থ্য অনুযায়ী প্রতি বছর কোরবানি দেওয়ার চেষ্টা করি। যদিও বা প্রতি বছর এই কোরবানি আমার বাবা দিয়ে থাকেন আমরা পাশে থেকে সহযোগিতা করি। কোরবানি অর্থত্যাগ শুধুমাত্র পশু জবাই করার মাধ্যমে কোরবানি নয় আমাদের খারাপ মন মানসিকতা ত্যাগ করার মাধ্যমেই আমরা কোরবানি দিতে পারি।
ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে শেষ পর্যন্ত লেখাটি পড়ার জন্য আরও একটি নতুন লেখা নিয়ে পুনরায় আপনাদের মাঝে উপস্থিত হব ইনশাল্লাহ।
Determination of Club Status refers to the https://steemworld.org/transfer-search Web-based Application.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসসালামু আলাইকুম ভাই কেমন আছেন? ভাই আপনি ঠিক বলছেন গ্রামের বাড়িতে ঈদ করা মজাই আলাদা আর কোরবানির মাংস তিন ভাগে ভাগ করে সবার মাঝে বিলিয়ে দেয়ার নামে ঈদ ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ ভাই
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit