আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন আপনারা? আশা করি ভালো আছেন। আজ আমি আপনাদের সাথে আমার আরো একটি দারুণ কাটানো দিনের ডায়েরি গেম নিয়ে হাজির হলাম। সাধারণত আমার দৈনিন্দন রুটিনে ব্যতিক্রম কিছু ঘটেনা। যখনই ঘটে তখনই তা আমি ডাইরি গেম আকারে আপনাদের সামনে প্রকাশ করে থাকি। যেমনটা ছোটবেলায় ডাইরি মেন্টেইন করতাম।
বেশ কয়েকদিন ধরে আমার স্ত্রী আমার শ্বশুর বাড়িতে ছিল। আগের দিনে আমাকে বলল, "আমাকে নিয়ে যান। দুদিন পর বিশ্ব ইজতেমা শুরু হবে। তখন আরো দেরী হয়ে যাবে।" এজন্য আমি চিন্তা করলাম বিকালের দিকে রওনা দিব। এতে করে আমি দুপুরের আগ পর্যন্ত ফার্মেসিতে আমার কাজগুলো শেষ করতে পারবো। যেই ভাবা সেই কাজ। দুপুরের মধ্যেই আমি আমার কাজগুলো শেষ করে বিকাল বেলায় শ্বশুরবাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। জানিয়ে রাখা ভালো, আমার বাড়ি সাভার উপজেলার আশুলিয়া থানার দক্ষিণ গাজীরচট নামক স্থানে। আমার শ্বশুরবাড়ি গাজীপুর জেলার পুবাইল থানার কুদাব নামক স্থানে। থানা পুবাইল হলেও জায়গাটি টঙ্গী স্টেশন রোড থেকে কাছেই। এজন্য আমি আশুলিয়া বেড়িবাঁধ হয়ে, কামারপাড়া থেকে টঙ্গী স্টেশন রোড যাওয়ার বাইপাস সড়ক ব্যবহার করে থাকি যাতায়াত সুবিধার জন্য।
যেহেতু আমার স্ত্রী বলেছিল বিশ্ব ইজতেমা শুরু হবে রবিবার থেকে, তাই আমি ভাবলাম এখন হয়তো প্রস্তুতি চলছে। আমি যে বাসে করে যাচ্ছিলাম, সেই বাসে ইজতেমাগামী অনে যাত্রী ছিল। আমি ভেবেছিলাম, অনেকেই আগে যায়। তারাও তাদের মতই। কামারপাড়া যখন নামলাম তখন দেখলাম কামারপাড়া মোড়েই এবার দোকান বসেছে। অবশ্য বরাবরের মতোই এখানে দোকান বসে। সেখানে অনেক বাহারি রকমের জিনিসপত্র পাওয়া যায়। বিশেষ করে শীতের কাপড় এবং কম্বল। কামারপাড়া ব্রিজের উপর থেকে ইজতেমা মাঠের বেশ সুন্দর একটা ভিউ পাওয়া যায়। আমি তা ক্যামেরা বন্দি করি।
সেখান থেকে রিক্সায় করে বাইপাস পার হয়ে টঙ্গী স্টেশন রোডের মাথায় যেতে হয়। আমি যখন রিক্সা দিয়ে পার হচ্ছিলাম, তখন একজন ভারতীয় বক্তাকে হিন্দি ভাষায় বক্তব্য দিতে শুনলাম। আমি নিশ্চিত হলাম রবিবার থেকে নয়, বরং ইজতেমা আজ থেকেই শুরু হয়েছে। অর্থাৎ, আমি ভুল তথ্য পেয়েছিলাম। যাইহোক, আমি অর্ধেক পথেই রিক্সা থেকে নেমে গেলাম। বেশ কিছুটা সময় ইজতেমা মাঠে কাটালাম।
বাংলাদেশের মুসলমানরা ইজতেমা যথেষ্ট সম্মান করে। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম জমায়েত হয় বিশ্ব ইজতেমায়। টঙ্গীতে বিশাল একটা স্থান বরাদ্দ রয়েছে এজন্য৷ ইজতেমায় আগত ব্যক্তিদের সুবিধার্থে ইজতেমা মাঠের চারদিকে অসংখ্য বাথরুম এবং টয়লেট স্থাপন করা হয়েছে। টয়লেটগুলো আবার ৪তলা করে। কোটি মানুষের কাছাকাছি মানুষ এখানে আসে। তিনদিন থাকে৷ তাদের প্রয়োজন হর জন্যই এত আয়োজন। এ-থেকেই বুঝা যায় কতটা গুরুত্বের চোখে আমরা ইজতেমাকে দেখি। বেশ দারুণ একটি দিন কাটলো আমার ইজতেমা মাঠে।
আপনি অনেক সুন্দর ভাবে আপনার পোস্টটি করেছেন এবং গুছিয়ে লিখেছেন।
বিশ্ব ইজতেমার মাঝে আপনার ছুটি কাটিয়েছেন। এখন আপনি আপনার শ্বশুর বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। আপনার জন্য দোয়া করি আপনি যেন শ্বশুর বাড়ি এবং স্বাভাবিক এবং ভালোভাবে পৌঁছে যেতে পারেন। যাই হোক আপনার জন্য শুভকামনা
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit