আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন আপনারা? আশা করি ভালো আছেন। আমার দৈনন্দন রুটিনে খুব বেশি ব্যতিক্রম ঘটনা ঘটেনা। কিন্তু যখনই ঘটে তখনই তা আমি আপনাদের সঙ্গে ডাইরি গেম আকারে প্রকাশ করে থাকি। যেমনটা আমি ছোটবেলায় আমার ডাইরি মেনটেইন করতাম।
![IMG_20250131_162430_663.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmcsxpcQWpWt4hSYdD1tFBSdh6WuHveuskv7i6hyPPvKbN/IMG_20250131_162430_663.jpg)
গতকালের ডাইরি গেমে আমি উল্লেখ করেছিলাম, আমি ভুল তথ্য পেয়ে ইজতেমার মাঝে আমার শ্বশুরবাড়ি রওনা দিয়েছিলাম। গিয়ে দেখি ইজতেমা চলছে। আমি ইজতেমা মাঠে কিছুটা সময় ব্যয় করেছিলাম। যাইহোক, এদিন ছিল আমার ফিরে আসার পালা। দিনটি ছিল শুক্রবার এবং আমাদের সাপ্তাহিক ছুটির দিন। আমাদের আবার ফিরে আসার কথা ছিল। যেহেতু বিশ্ব ইজতেমা চলছে, তাই নিশ্চিত ছিলাম, জুম্মার নামাজের পর রাস্তায় জ্যাম থাকবে। তখন ফেরা অনেক কষ্টকর হবে। এজন্য আমি চেয়েছিলাম সকাল সকাল চলে আসার জন্য। কিন্তু আমার শাশুড়ি খুব মন খারাপ করে এটা শুনে। তাই সিদ্ধান্ত বদলে নামাজের পরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেই।
![IMG_20250131_162208_684.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmUA5Gb43rdMAqV9WdZNWaCwgDXRZB25kcYVTm1bmU2F1G/IMG_20250131_162208_684.jpg)
যখন আমরা স্টেশন রোডের দিকে আসছিলাম, তখন দেখলাম যারা ইজতেমা মাঠে জুম্মার নামাজ পড়ার জন্য এসেছিলেন, তারা ফিরে যাচ্ছে। মাঠের পাশে এসে বুঝতে পারলাম, যা ভেবেছিলাম তাই। রাস্তা বন্ধ; অর্থাৎ বাইপাস দিয়ে যাওয়া যাবেনা। এখন আমাকে দুটি রাস্তার একটি বেছে নিতে হবে। আব্দুল্লাহপুর দিয়ে ঘুরে যাওয়া অথবা নৌকা দিয়ে খেয়া পার হয়ে কামারপাড়া যাওয়া। আব্দুল্লাহপুরের রাস্তায় প্রচুর জ্যাম ছিল। স্বাভাবিক বিষয়। কারণ টঙ্গী স্টেশন রোড থেকে আব্দুল্লাহপুর, সুইচ গেট, কামারপাড়া, আবার টঙ্গী স্টেশন রোড; এই সবটুকু জায়গাই ইজতেমা মাঠকে ঘিরে রেখেছে। তাই পুরো রাস্তাতেই জ্যাম থাকবে। তাই আমি দ্বিতীয় উপায়টি বেছে নেই। কিন্তু এখানে সমস্যা হল, এজন্য আমাদেরকে অনেকদূর পথ হেঁটে যেতে হবে। উপায় না থাকায় সেটাই করলাম।
![IMG_20250131_162559_429.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmUBsTFUyo9nha7AUJQH5SBCNtbXh5pFF1KgmmApjB2CjE/IMG_20250131_162559_429.jpg)
মেইলগেট নামক একটি রাস্তার মাথায় এসে রিক্সা নিলাম। রিক্সা আমাদেরকে খেয়াপাড়ের রাস্তায় নামিয়ে দেয়। সেখান থেকে আমরা নৌকায় করে খেয়া পার হলাম। এটাই ছিল আমার ছেলের প্রথম নৌকা ভ্রমণ। তাই মাঝি পাঁচ টাকার একটি কয়েন দিয়ে বলল, এটি আপনার ছেলের গায়ে মুছে নদীতে ফেলে দিন। আমি সেটাই করলাম। আমার স্ত্রী খুব ভীত হয়ে যায়। পরে জানলাম, এই প্রথমবার সেও নৌকায় উঠেছে। মিনিট খানেকের মধ্যেই খেয়া পার হয়ে গেলাম এবং কামারপাড়া এসে নামলাম। নদীতে প্রচুর মাছ আছে দেখলাম। কিন্তু পানির রঙ এমন যে জেনেশুনে কেউ এই পানির মাছ খেতে চাইবেনা। যাইহোক, কামারপাড়া নেমে সেখান থেকে সিএনজি নিয়ে বাসায় এসে পৌছালাম।
![IMG_20250131_162235_143.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmeBm1giMEpWBJZ2K72z8Lrd87u4GNo2b4pTRhJNW9WW48/IMG_20250131_162235_143.jpg)
যারা সর্বাবস্থায়তেই জীবনকে উপভোগ করতে পারে, তাদের জীবনে হতাশা এসে গ্রাস করতে পারে না। তারা মানসিকভাবে সবসময় সুখী থাকে। আমিও এমনটা করার চেষ্টা করি। যার জন্য আমি খুব কমই হতাশ হই। আমরা নৌকা ভ্রমণটি খুব উপভোগ করি। এই ছিল সেদিনের ডাইরি গেম। সবাই আমার ছেলের জন্য দোয়া করবেন।
![IMG_20250131_162606_600.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmYshLzdrMtYcGG3XsEKv3KyxixZnaeqYUYSTiXN1pzEaK/IMG_20250131_162606_600.jpg)
Hi, Greetings, Good to see you Here:)
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit