আসসালামু আলাইকুম।
আশা করছি, সবাই ভালো আছেন। আজকে আপনাদের সাথে আমি কিছু মজার স্মৃতিময় মুহূর্ত শেয়ার করতে যাচ্ছি।
আজ সকালে যখন টেবিলে একটা বই খুঁজছিলাম, হঠাৎ চোখে পড়লো এই বইগুলো। যখন আমি কলেজে পড়তাম, ২য় বর্ষে আমাদের প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ একটি সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল। সে সময় বেশ বিপদে পড়েছিলাম। আমি কলেজের কালচারাল লিডার ছিলাম, বাধ্যতামূলকভাবে যেকোনো একটি বিষয়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতেই হবে।
উপায় না পেয়ে তাৎক্ষণিক অভিনয়ে অংশগ্রহণ করেছিলাম। আনুমানিক ৫-৭ জনের মতো ছিলাম। সেদিন অনেক ভয়ই লাগছিল। স্টেজে অভিনয় করার আগে সবাইকে একটা চিরকুট তুলতে হবে, সেটাতে যা লেখা আছে, সেটাই অভিনয় করতে হবে।
সেদিনের পরিস্থিতি ভেবে এখন আমার হাসি পায়। আমি যে চিরকুটটি তুলেছিলাম, সেটাতে লেখা ছিল 'মুক্তিসংগ্রামে মায়ের প্রেরণা,' আর সময় বেঁধে দিয়েছিল ২ মিনিটের মধ্যে। আমি বিশ্বাসই করতে পারিনি যে আমি তাৎক্ষণিক অভিনয় প্রতিযোগিতায় ৩য় স্থান অধিকার করতে পারবো। আসলেই, অপ্রত্যাশিতভাবে আমরা অনেক ভালো কিছুই পেয়ে যাই। যদি ম্যাম আমাকে জোর না করতেন, হয়তো আমি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণই করতাম না।
আরেকটা মজার ব্যাপার হলো, বিবিএ ১ম বর্ষে আমরা কয়েকজন মিলে প্রফেসরের রুমে গিয়েছিলাম ক্লাসের কিছু সমস্যা নিয়ে। স্যার আমাদের পরামর্শ দেয়ার পর হঠাৎ বলে উঠলেন, "আমি কয়েকটি প্রশ্ন করবো, প্রথমে উত্তর দিতে পারলে এখানে যেই বই পছন্দ হয়, তা নিতে পারবে।" আমার সাধারণ জ্ঞান ও অন্যান্য বিষয়ের জ্ঞান কম থাকায় ভেবেছিলাম, আজকে নিরব দর্শক হয়ে দাঁড়িয়ে থাকবো।
৩-৪ নম্বর প্রশ্নে স্যার বললেন, "মাটির কান্না" কার লেখা কাব্যগ্রন্থ? এটা শোনার সঙ্গে সঙ্গেই আমি বললাম, "এটা পল্লীকবি জসীমউদ্দিনের লেখা।" তারপর নিজের ইচ্ছামত জীবনানন্দ দাশের স্রেষ্ঠ গল্পসমগ্র বইটি নিয়ে নিলাম।
আমার সবসময় বই পড়তে ভালো লাগে না, কিন্তু অবসর সময়ে বই পড়ি। এই বইগুলোর ওপর ধুলো জমে গিয়েছিল, তাই আজ এগুলো পরিষ্কার করে রাখলাম।
আর "স্টিম ফর বাংলাদেশ" এই কমিউনিটিতে আমার এই স্মৃতিময় মুহূর্তগুলো শেয়ার করে খুব ভালো লাগলো।
স্টুডেন্ট লাইফে সকলেরই হয়তো এমন ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়। আপনার মতো আমারও এমন একটা ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়েছিলো যখন আমি নবম শ্রেনীতে পড়তাম।সেসময় আমাদের স্কুলে একটি বিজ্ঞান মেলার আয়োজন করা হয়েছিলো এবং সে উপলক্ষে উপজেলা "নিউক্লিয়ার ক্লাব" নামক একটি সংগঠন আমাদের স্কুলে এসেছিলো।
তারা একটি উপস্থিত বক্তৃতার আয়োজন করা হয় যেখানে আমাদের স্কুলের কয়েকজন টপার স্টুডেন্টদেরকে বাধ্যতামূলকভাবে অংশ নিতে হয়েছিলো।আর মোটামুটি ভালো স্টুডেন্ট হওয়ার সুবাদে আমাকেও সেই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হয়েছিলো।
প্রতিযোগিতার নিয়ম হিসাবে আমাদের সকলকে একটি চিরকুট তুলতে হয়েছিলো আর চিরকুটে যে বিষয় উল্লেখ থাকবে সেটার ওপরেই আমাদের উপস্থিত বক্তব্য দিতে হয়েছিলো।
আমার তোলা চিরকুটে " ইন্টারনেট" লেখা ছিলো।তাই, আমি প্রায় ৪-৫ মিনিটের একটি ছোট বক্তৃতা দিয়েছিলাম। আর সুভাগ্যক্রমে আমি প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান অধিকার করেছিলাম ও "নিউক্লিয়াস ক্লাব" এর পক্ষ থেকে "ছোটদের বিজ্ঞান" নামক একটি বই পুরষ্কার পেয়েছিলাম।
যাইহোক এতো সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্টটি পড়ার জন্য।স্কুল, কলেজ লাইভে আমাদের সবার অনেক স্মৃতি আছে। হয়তো সে সময় এগুলো বিরক্ত লাগতো,অনেক সময় মনে হতো শিক্ষকরা বাধ্যতা মূলক ভাবে বিভন্ন কিছুতে অংশগ্রহণ করাতো। আর এখন সেই দিনগুলোই আমাদের হৃদয়ে ভালোবাসার এক বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সত্যিই এই ঘটানাগুলো অসস্তিকর মনে হলেও আমার সাথে ঘটনাগুলোর বারংবার পুনরাবৃত্তি হতো বিধায় বিষয়গুলো আমার সয়ে গিয়েছিলো।😅
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
তাহলে তো অনেক ভালো ভাইয়া! 😊
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
🥰
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit