আসসালামু আলাইকুম প্রিয় স্টিমিট পরিবার, কেমন আছেন সবাই?
আজ আমি আপনাদের সাথে ড্রাগন ফল নিয়ে আলোচনা করবো।
ড্রাগন ফলের জন্ম মূলতঃ সেন্ট্রাল এবং দক্ষিণ আমেরিকায়।পরবর্তীতে এটি এশিয়ার বিভিন্ন দেশে বিশেষ করে ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড এবং ফিলিপাইনে চাষ শুরু হয়ে থাকে। বর্তমানে ড্রাগন বাংলাদেশেও বহুগুণে চাষ শুরু হয়েছে।
ড্রাগন শুধু দর্শনধারী এবং সুস্বাদুই নয় বরং গুণ বিচারেও অনন্য।ক্যালরি কম থাকায় ডায়াবেটিস ও হার্টের রোগীরা অনায়াসে এ ফল খেতে পারেন।
আজকের পৃথিবীতে এটি একটি বহুল প্রচলিত এবং পছন্দনীয় ফল।ফলটি রংয়ের মাধ্যমেও মানুষের নজর কেড়েছে।
ড্রাগন ফল খেলে যেমন উপকার রয়েছে তেমনি মাত্রাতিরিক্ত খেলে রয়েছে নানাবিধ অপকারিতা। নিম্নে ড্রাগনের গাছ রোপন পদ্ধতি ও জমি নির্বাচন এবং শারীরিক উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আলোকপাত করা হলো।
জমি নির্বাচন ও তৈরি:-
সহজেই পানি জমে না এবং উঁচু ও মাঝারি উঁচু উর্বর জমি ড্রাগনের গাছ রোপনের জন্য উপযুক্ত।
এধরনের জমিতে ড্রাগনের গাছ রোপন করতে অবশ্যই ২ থেকে ৩ টি চাষ দিয়ে ভালোভাবে মই দিয়ে সমান করে উপযুক্ত করে নিতে হবে।
রোপন পদ্ধতি ও রোপনের সময়:-
ড্রাগনের গাছ রোপনের জন্য উপযুক্ত সময় হলো এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে অক্টোবরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত। ড্রাগন ফলের কাটিং থেকে শিকড় তৈরি হলে রোপন করতে হবে। সাধারণত রোপনের মাত্র ১ বছর থেকে ১.৫ বছর বয়সের মধ্যেই ফল সংগ্রহ করা যায়।বছরে মোট ৪ থেকে ৫ বার ফল সংগ্রহ করা যায়।
ড্রাগন ফলের পুষ্টি উপাদানসমূহ:-
ড্রাগন ফলটি প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, মিনারেল এবং উচ্চ ফাইবার যুক্ত। নিম্নে ড্রাগন ফলের পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হলো।
প্রতিটি ড্রাগন ফলের রয়েছে:-
ফাইবার,ফ্যাট, ক্যারোটিন, পানি, ফসফরাস,এসকোরবিক এসিড, রিবোফ্লেভিন, ক্যালসিয়াম,আয়রন, কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, চর্বি, আঁশ, এবং ক্যালরি।
ড্রাগন ফল খাওয়ার ফলে যেসব উপকারিতা লাভ করা যায় তা নিম্নে উল্লেখ করা হলো:-
১.হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়।
২.রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
৩.বয়সের ছাপ দূর করতে সাহায্য করে।
৪.কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
৫.সঠিকভাবে রক্ত চলাচলে সাহায্য করে।
৬.চুল পড়া বন্ধ করে।
৭.শরীরে রক্তের পরিমাণ বৃদ্ধি করে।
৮.দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করে।
৯.এবং হৃদপিন্ড সুস্থ রাখে।
ড্রাগন ফল মাত্রাতিরিক্ত খেলে যেসব ক্ষতি হতে পারে তা নিম্নে তুলে ধরা হলো:-
১.এলার্জি বৃদ্ধি পেতে পারে।
২.এটি অল্প মাত্রায় খেলে যেমন হজম শক্তি বৃদ্ধি করে তেমনি মাত্রাতিরিক্ত খেলে হজম শক্তি কমাতে থাকে।
৩.ড্রাগন ফলে পটাশিয়ামের পরিমাণ বেশি হওয়ায় কিডনি রোগীদের কিডনি রোগ বৃদ্ধি পেতে পারে।
" সকলকে ধন্যবাদ "