হ্যালো আমার প্রিয় বন্ধুরা, আশা করি সবাই ভাল আছেন?আলহামদুলিল্লাহ!আপনাদের দোয়া ও ভালবাসায় আমিও ভালো আছি।
![]() |
---|
আমার প্রিয় বন্ধুরা, আজকে আমি আপনাদের সাথে আমার একটি দিনের কার্যক্রম শেয়ার করতে চাই। আমি ২রা এপ্রিল , সারাদিন কি কার্যক্রম করেছি সেই সম্পর্কে লিখতে আগ্রহ প্রকাশ করছি।
![]() | ![]() |
---|
এবারের ঈদটা আমি কাটিয়েছি আমার শৈশবের চিরচেনা স্থানে। সেখানে ঈদের আগেই আমি গিয়েছিলাম। কিন্তু সেই স্থান থেকে আমাকে ফিরে আসার সময় সেই স্থান সম্পর্কে অনেক স্মৃতি নিয়ে আসতে হয়েছে। এই কয়দিন যে আমি থেকেছি, তার প্রীতি মোবাইলে গেঁথে নিয়ে আসতে হয়েছে। তবে সেখানে আমার পূর্বে বসবাস করার অভিজ্ঞতা থাকার কারণে এখনো অনেক কিছু রয়েছে যেগুলো আমাদেরই। আমি সেখান থেকে স্বাভাবিকভাবে ব্যবহার করার জন্য কিছু জিনিস নিয়ে আসতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলাম।
শুনেছি বিচি কলা নাকি বানিয়ে খাওয়ার জন্য অনেক মজা। আর আমার বড় ভাই আমাকে মোবাইল করে বলেছিল “আমার জন্য কিছু বিচি কলা নিয়ে আসিস।” তাই আমি কিছু বিচি কলা পেড়ে নিলাম। এগুলোকে আমি বাড়িতে নিয়ে আসবো সেইজন্য। এদের মধ্যে একটি জমজ কলা ছিল, আমি চিন্তা করলাম এই কলাটাকে আমার সাথে করে আমি নিয়ে যাব। আমি পলিথিনের মধ্যে সেই কলাটাকে তুলে নিলাম। বাড়িতে আসার জন্য রওনা হতে গেলেই আমাকে বলা হলো সেখান থেকে আমার চাচী এবং চাচাতো ভাই আসবে। তাই আমি আসলাম না তাদের সাথেই আসবো বিকেলে।
![]() | ![]() |
---|
আগে থেকে সেখানে থাকার সুবাদে, আমি মোটামুটি সবাইকে চিনি। আমি আমার পাশের বাসায় একজনের বাচ্চার কাছে বসে ছিলাম। সেখানে বাচ্চা মূলত একা ছিল না, সবাই ছিল। তাদের বিনোদন দেখছিলাম আমি। এই বাচ্চাটিকে আঙ্গুর, কমলা খেতে দেওয়া হচ্ছিল। এবং একটা জিনিস লক্ষ্য করতে ছিলাম বাচ্চাটি সেই কমলা হাতে নিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করছিল। যখন কমলা মুখে দেবে, ঠিক তার আগে এটিকে মাটিতে মিশিয়ে নিয়ে মাটি সহ খাওয়া শুরু করে দিল। একটা কমলাই খেলো তারপরে আর কোন কিছুই খেলো না।
আমরা সেই কমলা খেয়ে ফেললাম। অবশ্য এটা চুরি করে নয় বরং তার মা বলল "এই কমলা আর সে খাবে না, তোমরা খেয়ে নাও"। এবং আমরা খেয়ে নিলাম কিন্তু সেই সময় আমি বাচ্চাদের একটা ছবি তুললাম। আমি জানতাম আমাদের বাড়ির কেউ এই বাচ্চাকে দেখেনি কারণ আমরা সাত বছর আগেই চলে এসেছি। আমি বাড়িতে এনে এই বাচ্চার ছবি দেখানোর জন্যই ছবি তুলেছি। পূর্ববর্তী ডায়েরি গেম গুলোতে আমি অনেক কিছু উল্লেখ করেছি।
![]() | ![]() |
---|
দুপুর ২ টা বাজে আমরা বাড়ি থেকে রওনা দিলাম। নদীর ঘাটে আসতে আমাদের প্রায় এক ঘন্টার মত সময় লাগবে আমরা জানতাম। তাই আমরা ফসলের জমির মধ্য দিয়ে এলোপাতাড়ি রওনা দিলাম। অবশ্য এটা চড়ের মধ্যে বিশেষ কোনো কিছু নয়। আরে এখানে সবাই চাষি তাই কেউ কোন কিছুতে মাইন্ড করে না খুব সহজে। রওনা দিয়ে চলার সময় পিছন থেকে আমি তাদের ছবি তুললাম। একই সাথে আমি নিজেও ছবি উঠলাম।
সেই সময় আমি যে ছবি উঠেছি, সেই ছবিটাকে আমি ইতিমধ্যে কভার ফটোতে ব্যবহার করেছি। একপাশে ধানের প্রজেক্ট করা হয়েছে, অন্য পাশে গম চাষ করা হয়েছিল যেগুলো তুলে ফেলা হয়েছে। কিন্তু এখনো সৌন্দর্য অপরূপ! ফসলের জমি যা কখনোই অসুন্দর নয়।
![]() | ![]() |
---|
নদীর ঘাটে যাওয়ার পর দেখলাম সেখানে একটি নৌকা ভিড়ছে। মূলত এই নৌকা আসার পরে আমাদের নৌকা ছাড়বে এই কারণে। নৌকাটি ঘাটে ভিড়ানোর পর, আমাদের নৌকা বের করার কার্যক্রম শুরু হল। তবে নদীর ঘাটের এটাই সৌন্দর্য নৌকা ভর্তি মানুষ যারা নদীর পাড় পর্যন্ত যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে। অবশ্য পানি কম থাকার কারণে নদীর পাড়ে যাওয়ার আগে নৌকাটা থেমে গেল। তাই সবাইকে পানির মধ্যেই নামতে হলো।
![]() | ![]() | ![]() |
---|
আমাদের নৌকাটা ছেড়ে দেওয়া হল। আমাদের গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দিল সেই সময় আমি নৌকার মধ্যে দাঁড়িয়ে ছবি উঠলাম। শুধু নিজের ছবি ওঠেনি বরং এই নৌকা যারা চালাচ্ছে সেই মহান মাঝিদের ছবি তুললাম। যদিও এদেরকে মাঝি বলে না আমাদের এদিকে এখানে তাদেরকে নাইয়া বলা হয়। কিন্তু শুদ্ধ ভাষাতে সম্ভবত এটাকে মাঝি বলা হবে আমি সঠিক বলতে পারছি না। তারা কিভাবে দক্ষতার সাথে নৌকা পরিচালনা করছে এবং গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছুটে চলেছে তা দেখাচ্ছি।
![]() | ![]() |
---|
নদীর পাড় এবং নদীর মধ্যে পানি নৌকা চলন্ত অবস্থায় কেমন দেখাচ্ছে তা দেখানোর জন্য আমি ছবি তুলেছি। আমি নদীর পাড়ের ছবি তুলেছি কারণ এই মুহূর্তে চৈত্র মাস তাই নদীতে পানি খুবই কম। এটা হচ্ছে যমুনা নদী সম্ভবত এই মুহূর্তে এই নদীর উৎপত্তিস্থলের আশেপাশে তথা ভারতের যমুনা নদীতে পানি পর্যাপ্ত রয়েছে। আমাদের এখানেও রয়েছে তবে অপর্যাপ্ত। এখানে আমি একটা ভিডিও ধারণ করেছি নৌকা চলন্ত অবস্থায় সেই ভিডিওটাও আমি দিয়ে দিয়েছি।
![]() |
---|
বাড়িতে আসার পর সন্ধ্যায় আমি আমার ওয়ালেট চেক করতেছিলাম। আসলে আমি সেখান থেকে ঘুরে আসার পর আমার ম্যানিব্যাগে কত টাকা রয়েছে সেটা দেখা জরুরী। কয় টাকা খরচ হলো সেটাও হিসাব রাখা জরুরী। অবশ্যই ছাত্র অবস্থায় হিসাব করা গুরুত্বপূর্ণ কারণ আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হওয়া উচিত নয়।

আজকের মত এ পর্যন্তই তবে আগামী দিনগুলোতে নতুন লেখা নিয়ে হাজির হব ইনশাআল্লাহ। সবাই নিজেদের স্বাস্থের যত্ন নেবেন এবং নিজের স্বজনদের খুশি রাখার চেষ্টা করবেন।
Device | Name |
---|---|
Android | Redmi 10C |
Camera | LMC 8.4 Camera 📸 |
Location | Bangladesh 🇧🇩 🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩 |
Short by | @sheikhtuhin |
We are grateful for sharing your valuable posts in the Steem4Entrepreneurs community. We are always interested in seeing posts related to your economic business activities. Stay connected with our community by posting regularly. The review details for your post are below.
Support the development of the Steem4Entrepreneurs community by delegating your sp.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Thank you very much dear @max-pro .
I would like to express my gratitude to you for selecting my post for curation.I will try to continue writing quality flowers, God willing.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit