Achievement 1: My First Introduction Post

in hive-172186 •  9 days ago  (edited)

IMG_20240924_134339.jpg

আসসালামু আলাইকুম।
আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আল্লাহর রহমতে আমিও ভালো আছি। আমি এই প্ল্যাটফর্মে সম্পূর্ণ নতুন এবং আপনাদের সাথে কাজ করতে আগ্রহী এবং সকলেই আশা করি ভুল হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

পরিচয়ঃ আমি জোনায়েদ আহমদ।
বাসা নেত্রকোনা সদর নেত্রকোনা, মগড়া নদীর পাশে হওয়ায় ছোট থেকে নদী দেখলেই মনে আনন্দ জাগে।
আমার বাবা একজন উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং মা গৃহিণী। আমরা পাঁচ ভাইবোন সবার মধ্যে আমিই ছোট। সবার বড় ভাই একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে জব করেন আর বাকি দুইভাই সেনাবাহিনিতে জব করেন, আপুর বিয়ে হয়ে গিয়েছে আর আমি এখনো পড়াশোনা করছি।

শিক্ষা জীবনঃ আমার বাবা একজন শিক্ষক আগেই বলেছি, আমি উনার স্কুলসংলগ্ন প্রাথমিক স্কুল কুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করি।
পরে বাবার স্কুলে ভর্তি হই যার নাম কুনিয়া ফজরেন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয়। এই স্কুল থেকে এসএসসি শেষ করি বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এবং পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নিই কলেজে মানবিক বিভাগে পড়বো।
আমার কলেজ ছিল নেত্রকোনা সরকারি কলেজ যা নেত্রকোনা জেলার মধ্যে সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ।
ইন্টারমিডিয়েট শেষ করে আমি ভেবেছিলাম নেত্রকোনা সরকারি কলেজে অনার্স করবো, আবেদনও করেছি, তখন আমার মেজু ভাইয়া আমায় ময়মনসিংহ ফোকাস এডমিশন কোচিং সেন্টারে ভর্তি করিয়ে দিলেন, আমি মন থেকে চাইনি এডমিশন দিতে কিন্তু আমার একটা সিট হয়তো ছিলো পাবলিকে তাই আল্লাহ ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।
আমি ভর্তি পরীক্ষা দিলাম এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (৯৩), শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (২৩৭) এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (২২৬) অবস্থান করি।
আমার বড় ভাইয়া তখন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে পড়তেন, সবার কথায় ভাইয়ার কাছেই রয়ে গেলাম, ভর্তি হলাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে।
সম্প্রতি আমার অনার্স শেষ হয়েছে এবং মাস্টার্স পরীক্ষা আসবে আসবে করছে।

শখঃ আমার বাগান করতে ভালো লাগে, কিন্তু ফুল গাছও যে কিনে বাগান করা যায় জানতাম না। কি বোকা ছিলাম আমি! একদিন এক টাঙ্গাইলের ফ্রেন্ড আমায় তার ফটো কনটেস্ট প্রতিযোগিতায় লাইক কমেন্ট করতে বলল। সেই প্রতিযোগিতা ছিল মূলত ফুলের ছবি প্রতিযোগিতা, আমি তাকে বললাম লাইক কমেন্ট করবো আমাকে গাছ দিতে হবে, তার অনেক ফুল গাছ ছিলো, বললো বীজ কোরিয়ার করবে, কোরিয়ারের টাকা দিলেই হবে, আমিও রাজি হলাম।

IMG_20210811_102949.jpg

সে আমার জন্য অপরাজিতা,সিঙ্গাপুরি ডেইজি,গাঁদা সহ বেশ কয়েক জাতের ফুলের বীজ পাঠালো, তার কিছু এখনো আছে, আর কিছু বাড়িতে না থাকায় অযত্নে মারা গিয়েছে।

IMG_20210823_092452.jpg

আমার সাঁতার কাটতেও ভালো লাগে তবে বেশিক্ষণ পারি না।

ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি।

IMG_20191102_214513.jpg

এই ছবিটি আমার ফোনে তোলা ২০১৯ সালের আমাদের বিলের ছবি।দেখে মনে হয় কুয়াশা শীতকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে।

IMG_20201216_163536.jpg
এই ছবিটিও আমার ফোনে তোলা ২০২০ সালের আমাদের গ্রামের সরিষা ক্ষেতের।

20190505_175633.jpg
এই ছবিটি নেওয়া টি-বাধ রাজশাহী , ২০১৯ সালে যখন প্রথম বর্ষে ভর্তি হই তখন ঘুরতে গিয়েছিলাম বন্ধুদের সাথে।

আমার মাথায় মাঝে মাঝে অদ্ভুত চিন্তাভাবনা ঘুরে, এই যেমন দুপুরের কড়া রোদে হাটতে মন চায়। সূর্য ধরতে মন চায়।

IMG_20210409_163532.jpg

IMG_20210906_181228.jpg

সূর্যাস্তের ছবি তুলতে বেশি পছন্দ করি ।
ঘুরাঘুরি করতে পছন্দ করি। এ পর্যন্ত পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত,ভাটীয়ারি লেক চট্টগ্রাম,সীতাকুণ্ড পাহার, সহস্র ধারা,চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট,বায়জিদ বোস্তামির মাজার,সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্ট,সৈয়দপুর চিনি মসজিদ,মহাস্থানগড় বগুরা,পাবনা রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র,পাকশী ব্রিজ,শিলাইদহ রবীন্দ কুঠিবাড়ী,মোশাররফ হোসেন এর সংগ্রহশালা,ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়,রাজশাহী বাঘা মসজিদ,সারদা পুলিশ একাডেমি রাজশাহী,ময়মনসিংহ ক্যান্টনমেন্ট,বোটানিক্যাল গার্ডেন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, জয়নুল আবেদিন সংগ্রহশালা ময়মনসিংহ সহ আরও অনেক জায়গায় ঘুরেছ । আপনাদের সাথেও সে সব ভ্রমন শেয়ার করার ইচ্ছা আছে।

DSC_4660(1).JPG
সহস্র ধারায় যাওার সিড়িতে।

সম্প্রতি আমি রান্না শিখেছি হলের হিটারে,রান্না করতে ভালো লাগে কিন্তু যখন প্রায় রান্না হয়ে আসে তখন ক্ষুধা থাকে সবচেয়ে বেশি,রান্না শেষ হলে যখন খেতে বসি তখন আবার ক্ষুধা কোথায় জেনো চলে যায়।

ভবিষ্যত নিয়ে ভাবনাঃ

সম্প্রতি অনার্স শেষ করার পরে দুটানায় ছিলাম সরকারি চাকরি নাকি প্রাইভেট জব, সবারই প্রথমে সরকারি চাকরি করতে মন চায়, আমারও তাই আছে এখন, প্রাইভেটে পরেই ট্রায় করবো। এখন পর্যন্ত কোথাও পরীক্ষা দেওয়ার অভিজ্ঞতা হয়নি তবে অদূর ভবিষ্যতে চাকরির জন্য পড়াশোনা চালিয়ে যাবো।

আমি স্টিমিট সম্পর্কে যেভাবে জেনেছিঃ

আমার বন্ধু @shahriar33 এই প্লাটফর্মে দীর্ঘদিন ধরে আছে,সম্প্রতি তার থেকে ক্যারিয়ার রিলেটেড পরামর্শ করার সময় এই প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কে আমায় জানায় এবং আমায় একাউন্ট খোলে দেয়। আমার এই প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কে কোনো ধারণা ছিলো না, আমি আপনাদের সাথে কাজ করতে চাই এবং আমার মতামত, অভিজ্ঞতা, লিখনি,গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাই। স্টিমিট কমিউনিটির সদস্যদের থেকে অনেকে কিছু শেখার সুযোগ পাবো বলেও আশা রাখি।

ধন্যবাদ সবাইকে
আপনাদের সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...

Welcome to Steem World!

The photos of flowers are very gorgeous!

Thanke you so much.