ক্রেতা মার্কেট ঘুরে দেখতে থাকবে । ঘুরতে ঘুরতে এক শপিং মলে ঢুকবে । ব্যবসায়ীকরা ক্রেতা কে দেখেই ডাকতে থাকবে
, এই ভাই এদিকে আয়েন. ভাই আসেন আসেন , কি লাগবে ভাই , একদম আনকমন মাল আইছে ভাই । ( এখানে ৪ জন ব্যবসায়ীক থাকবে )
(ক্রেতাকে নিয়ে টানাটানি শুরু করে দিবে )
অতঃপর এক দোকানে বসবে ।
ক্রেতা জিজ্ঞেস করবে
ভাই শার্টটার দাম কত?
নেন ভাই। অনেক ভালো কাপড়।
দাম কেমন পড়বে?
একদম আনকমন মাল। কোথাও খুঁজে পাবেন না।
দামটা বলেন আগে।
এই নেন বোতাম ছাড়িয়ে দিলাম। গায়ে দিয়ে দেখেন।
দাম বলেন। তারপর পড়বো।
পড়েন। দেখেন, একদম ফিটিংস হবে।
সবই ঠিক আছে। দামটা বলেন না?
ভাই, দামাদামি করবো না। একটা দাম বলে দেবো যদি ভালো লাগে নিবেন না হয় রেখে যাবেন।
জী বলুন।
শুধু শার্টই নিবেন না আরও কিছু? এই ভাইরে প্যান্ট দেখা তো।
না ভাই, আপনি শুধু এই শার্টটার দামই বলেন।
শার্ট কী একটাই? না আরেকটা দিবো?
না, এটার দাম বলেন।
একদাম পড়বে ১৮০০ টাকা।
বলেন কী? এই শার্ট ১৮০০?
কেন ভাই? অসম্ভব কি হলো? বেশী বলছি?
না ভাই লাগবে না।
আরে ভাই শুনেন। কত দিবেন?
না ভাই, আমার এতোটাকা বাজেট নাই।
ওই মিয়া ফাজলামো করেন?
বাজেট নাই তো মার্কেটে আইছেন কিল্লেগা। আমরা কী মস্করার দোকান খুইলা বইছি?
ঠিক আছে থাকেন।
থাকেন কী? শার্টের দাম বলেন।
এতো টাকার শার্ট কেনা সম্ভব না।
সম্ভব না, তাহলে এতো সময় নষ্ট করলেন কেন?
আমি তো প্রথমেই বলেছি দাম কত? আপনিই তো প্যাচাইলেন।
আমার তো কাস্টমারের অভাব। আপনার লগে প্যাচাপেচি করুম।
স্যরি ভাই। আমার লাগবে না। আমি যাচ্ছি।
কিয়ের যাচ্ছি? দাম বলতে অইবো।
আসলে আমি একটু কমের মধ্যে নিতে চাচ্ছি।
কত কম? বলেন শুনি।
এই মনে করেন ৩০০-৩৫০ এর মধ্যে।
এই দামে কিনতে হলে রাস্তায় ভ্যান আছে না? ওই ভ্যান থেকে নিবেন। মার্কেটে ঢুকবেন না।
ঠিকাছে।
ওই মিয়া কই যান? এদিকে আয়েন। একটু বাড়ায়েবুড়ায়ে বলেন। শার্টটা নিয়ে যান।
বললাম তো আমার বাজেট কম।
আচ্ছা, ১৫০০ না একদম ১০০০ দেন। ওই প্যাকেট করে দে।
না ভাই, পারবো না।
পারবেন কত? হেইডা বলেন।
৩৫০ হলে নিবো।
এই শার্ট ৫০০ টাকায় কোনোদিন কিনতে দেখছেন?
দেখি নাই। রেখে দেন।
অতঃপর ব্যবসায়ীক রা খুব দুর্ব্যবহার করা শুরু করবে ।
ক্রেতা কেঁদে কেঁদে বলবে ভাই আমার কাছে ৩৫০ টাকা ছাড়া আর কোন টাকাই নাই
অন্য একজন পথিক এসে বলবে
কি হইছে ভাই এখানে এত গেঞ্জাম কিসের ?
ক্রেতা বলবে- ভাই আমি মার্কেটে এসেছিলাম শার্ট কিনতে
শার্টের দাম জিগাইলাম ওরা বললো শার্টের দাম নাকি ১৮০০
আমার কাছে মাত্র ৩৫০ টাকা আছে
কিন্তু ওরা আমাকে কিছুতেই ছারছেনা ।
পথিক- ভাই শুনেন , আল্লাহ তায়ালা ব্যাবসাকে হালাল করে দিয়েছেন,, তাই বলে আপনারা গরীবের পেটে লাথি দিয়ে আপনাদের পেট চালাবেন ?
একটি বার কি ভেবে দেখেছেন ১০০ টাকা উপার্জন করতে গরীবের কতো টা ঘাম ঝড়াতে হয় ?
একবারো কি ভেবে দেখেছেন আপনারা রোজ যে টাকাগুলা ইনকাম করছেন সেগুলা হালাল টাকা কিনা ?
ভাবেন নাই ।
যদি ভাবতেন তাহলে কোনদিন গরিবের সাথে এমনটা করতেননা ।
একদিন আপনাকে মরতে হবে । প্রতি টা কাজের হিসাব আল্লার কাছে দিতে হবে । গরিবকে মেরে খেয়েই কি আপনারা বড়লোক হয়ে যাবেন ?
আল্লাহ সব দেখছেন । আপনাদের এই আরাম আয়েশ ক্ষণস্থায়ী,,, চিরস্থায়ী নয় ।
সময় আছে
আপনারা তাওবা করেন । এবং হালাল উপায়ে ব্যবসা করার চেষ্টা করেন । দেখবেন আল্লাহ আপনার ব্যবসার বরকত দান করবে ।
( এই কথাগুলা শুনে ব্যবসায়ীক রা ক্রেতার কাছে ক্ষমা চাইবে) যদি পারে তাহলে পায়ে এসে পরবে । ( এটা জাষ্ট অভিনয় ) এজন্য ছোট হয়ে যাবেনা ।
অতঃপর ওরা বিণামূল্যে ক্রেতাকে শার্ট টা দিতে বাধ্য
ক্রেতা বলবে আমি গরীব হতে পারি তাই বলে ভিখারী নই । আপনি ৩৫০ টাকা রেখে দেন ।
ভাই এমন ভুল আমাদের আর হবেনা,, আমরা সচেতন হয়ে গেছি এবং অন্যদেরকেও সচেতন করে দেব ।
ভাই আমাদেরকে যদি ক্ষমা করে থাকেন তবে অবশ্যই আসবেন ।
ঠিক আছে আমি অবশ্যই আসব ।
ভালো থাকেন
ওকে