জিপিএ-৫ ই কি আমাদের উদ্দেশ্য।
ছবির উৎস
বর্তমান সময়ে আমাদের সমাজের সকল ছাত্র-ছাত্রী এবং পরিবারগুলোর একটাই উদ্দেশ্য সেটা হলো জিপিএ-৫. লেখাপড়া করা মানেই যেনো জিপিএ-৫ পাওয়া লাগবে৷ জিপিএ-৫ না পেলে যেনো জীবনে কিছুই পাওয়া হলো না এমনটা মনে করা হয়। পরিবারগুলো সন্তানের প্রতি চাপ প্রয়োগ করে। সবাই পড়া বুঝে পড়ুক আর না পড়ুক মুখোস্ত করতেই হবে কারণ, একটাই লক্ষ্য জিপিএ -৫. শিক্ষার্থীরা কতগুলো জ্ঞান অর্জন করল সেদিকে নজর দেওয়া হয় না৷ তার দ্বারা কি দেশের উন্নয়ব সম্ভব কিনা সেটা দেখা হয় না। দেখা হয়, সে জিপিএ-৫ পেল কিনা। রেজাল্ট বেরনোর পরই সবাই জানতে চায়, তোমার সন্তান কি জিপিএ-৫ পেয়েছে নাকি।
কেনো ভাই, এ প্লাস না পেলে কি সে ছাত্র না,, না তার জ্ঞান কম। না তার দ্বারা কোনো জব করার দক্ষতা নাই৷ আমাদের মানসিকতাকে বদলাতে হবে। অনেক সময় বিভিন্ন সমস্যার কারণে, একজন ভালো ছাত্রেরও রেজাল্ট খারাপ হয় বা সে ফেলও করতে পারে। কিন্তু আমাদের সমাজ কোনো কিছু বিচার না করেই, সেটা নিয়ে বাজে মন্তব্য করা শুরু করে। আজকে এইচএসসি-২০২৩ পরিক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। অনেকে তাদের স্বপ্ন পূরণ করেছে, কেউ বা তাদের প্রত্যাশার চেয়ে কম রেজাল্ট হয়েছে। অনেকে আবার ফেলও করেছে। আমার প্রছন্দের একজন মানুষও পরিক্ষা দিয়েছিল, কিন্তু দুঃখের বিষয় সে একটা বিষয়ে ফেল করেছে।
যাদের রেজাল্ট খারাপ হয়েছে, এর মানে এটা হয় যে তারা খারাপ ছাত্র বা তাদের জীবন শেষ। তাদের দ্বারা আর পড়াশুনা হবে না। এমনটা ভাবা উচিত নয়। আমাদেরকে এ প্লাসের দিকে না ছুটে জ্ঞান অর্জনের দিকে ছুটতে হবে। যাতে আমরা নিজের দক্ষতা দেখিয়ে চাকরি পেতে পারি৷ কোনো মানুষের সুপারিস বা ঘুষ দিয়ে নয়। আসুন আমরা আমাদের পরিবারের সন্তানগুলোকে এ প্লাসের দিকে ধাবিত না করে জ্ঞান অর্জন করার দিকে ধাবিত করি। তারা যাতে শিখতে পারে সেদিকে ধাবিত করি।
সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আবারও দেখা হবে আমার নতুন পোষ্ট নিয়ে।
ধন্যবাদ।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit