কেউ ঘুমায় কেউ পড়ে!
এডমিশনে না আসলে হয়ত, ছাত্র জীবনের প্রকৃত সুখ, দুঃখ, স্ট্রাগল বা পরিশ্রম সম্পর্কে জানতে বা বুঝতে পরতাম না। একজন ছাত্র জীবনের সবচেয়ে কঠোর পরিশ্রম করে এডমিশনের সময়টা৷ এটা আমি নিজে মনে করি। তবে যারা পড়াশুনা ঠিক মতো করে না তাদের বিষয়টা আলাদা। যারা পড়াশুনা করে, তাদের ক্ষেত্রে বাস্তবতা সত্য। নিজের স্বপ্নের জায়গাটাতে যাওয়ার জন্য সবাই যেন জীবন যুদ্ধে নেমে যায়৷ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে পড়াশুনা করতে থাকে। নিজের সিলেবাসকে গুছিয়ে নিতে থাকে৷ যাতে খুআ সহজেই এডমিশন পরিক্ষায় ভালো করা যায়। যেন ছাত্র স্কুল জীবনে ২ ঘন্টাও পড়তে বসত না৷ এডমিশনে এসে দেখা যাবে সে দিনে ৮/৯ ঘন্টা পড়াশুনা করতেছে।
আমাদের আবাসিকের কথা যদি বলি৷ এখানে প্রায় ১০০+ জন আমরা থাকি৷ সবাই মোটামুটি ভালো ছাত্র৷ সবাই খুব পড়াশুনা করে। এক এক জনের পড়াশুনা করার ধরণ এক এক সময়। কেউ এশার পর ঘুমায়ে মধ্য রাতে উঠে পড়াশুনা শুরু করে। আবার কেউ রাত ২/৩ টা পর্যন্ত পড়াশুনা করে সকালের দিকে ঘুমায়৷ এবং বেশির ভাগই ১১/১২ টার দিকে ঘুমিয়ে সকালে উঠে সারা দিন পড়াশুনা করে। যে যেভাবে নিজের সিলেবাসটা শেষ করতে পারে আর কি। সেই চেষ্টটায় থাকে। কেউ থেমে নাই। সবাই জীবন যুদ্ধে নেমেছে৷ একটা সিট অর্জনের জন্য কতশত ত্যাগ শিকার করতে হয় কত কষ্টকে মেনে নিতে হয়। ঘন্টার পর ঘন্টা চেয়ারে বসে থাকতে হয়।
আমার পড়ার পদ্ধতিটা একটু ভিন্ন আমি সচারাচর৷ সকালে ফজরের নামাজ পরে এসে চেয়ারে বসে পড়াশুনা করতে পারি না। ঘুম পায়৷ আর ঘুম না পারলে পড়তে মন বসে না৷ এজন্য আমি ফজরের নামাজের পর ঘুমায়৷ যেহেতু ভোরের সময়টা কাজে লাগাতে পারি না। এজন্য আমি রাত জেগে পড়াশুনা করে। প্রায় রাত ২ টা পর্যন্ত পড়ানশুনা করি৷ এরপর বাকি কাজগুলো সেরে ঘুমাতে চলে যায়৷ আসলে সময়টা যাতে নষ্ট না হয় সেজন্যই এই পদ্ধতি বেছে নেওয়া।
সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ধন্যবাদ।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit