আসসালামুআলাইকুম সবাইকে
আশা করি আপনারা সবাই এই করোনা মহামারীর মধ্যেও ভালো এবং সুস্থ আছেন।আমি @haideremtiaz বাংলাদেশ থেকে আজকের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছি।আজকের প্রতিযোগিতার বিষয় শারীরিক ব্যায়ামের ৫টি উপকারিতা।
আমরা প্রতিদিনই কোনো না কোনা শারীরিক পরিশ্রম করে থাকি।যার ফলে শরীর ও মন দুটোই ভালো থাকে।শরীরও মন ভালো থাকলে যেকোনে কাজেই মনোযোগ আসে।তো চলুন জেনে নেওয়া যাক শারীরিক ব্যায়ামের কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা সম্পর্কে।
দেহের শক্তি ও ভারসাম্য বৃদ্ধি করে
Image source
শারীরিক ব্যায়ামের উপকারিতাগুলোর মধ্যে প্রথম হচ্ছে এটি দেহের শক্তি ও ভারসাম্য বাড়াতে যথেষ্ট সাহায্য করে।ব্যায়াম বা শরীরচর্চা স্বাস্থ্যবান এবং স্বাস্থ্যহীন উভয় শ্রেণীর মানুষের জন্য এনার্জি বুস্টার বা শক্তি বৃদ্ধিকারী।একটি সমীক্ষায় দেখে গেছে,
ক্রমাগত ক্লান্তি বা অবসাদে ভুগছেন এমন ৩৬ জন স্বাস্থ্যবান মানুষ নিয়মিত ছয় সপ্তাহ ব্যায়াম করায় তাদের ক্লান্তির অনুভূতি কমে যায়।তাহলে কেনই বা শারীরিক ব্যায়াম করবেন না।আমাদের শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখতে নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম করা জরুরি।
ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে
Image source
আমরা জানি নিয়মিত হাটাঁচলা করলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়।যারা ডায়াবেটিসের সমস্যায় ভুগছেন তাদের উচিত খাবার নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি নিয়মিত সকাল ও বিকালে হাটাঁর জন্য বের হওয়া।প্রতিদিন সকালে ও বিকালে ৩০ মিনিট করে নিয়মিত যেকোনো ধরনের ব্যায়াম করলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।যাদের ডায়াবেটিস নাই তাদেরও উচিত অন্ততপক্ষে প্রতিদিন ২০ মিনিট যেকেনো ধরনের ব্যায়াম করা।তাহলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি হ্রাস পাবে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
Image source
ওজন নিয়ন্ত্রণ করার অন্যতম ও কার্যকরী উপায় হচ্ছে নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম করা।অনেকেই ওজন কমানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের উপায় অবলম্বন করে থাকে।সব উপায়গুলোর মধ্য দুইটি উপায় খুব কার্যকরী।তা হলোঃ(১)খাবার নিয়ন্ত্রণে রাখা,(২) নিয়মিত ব্যায়াম করা।যদি সকালে ৩০ মিনিট এবং বিকালে ৩০ মিনিট ব্যায়াম করা হয় প্রতিদিন তাহলে ওজন হ্রাস পাবে এবং শরীর ভালো থাকবে।শরীরিক ব্যায়াম করলে শরীর স্বাস্থ্য উন্নত হয়।
হাড়ের গঠনকে শক্তশালী করে গড়ে তোলে
Image source
ব্যায়ামের উপকারিতাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কার্যকরী এবং তাড়াতাড়ি যে ফলটা পাওয়া যায় সেটা হচ্ছে হাড় গঠন।অর্থাৎ হাড়ের গঠন বৃদ্ধি করতে ও আরও শক্তিশালী করতে এটা যথেষ্ট অবদান রাখে।নিয়মিত শারীরিক ব্যায়ামের ফলে হাড়ের গঠন অনেক ভালো থাকে,পেশী সুস্থ থাকে এবং আরও শক্তিশালী গড়ে তোলে।বিশেষ করে পায়ের হাড়কে মজবুত রাখতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
Image source
উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে শারীরিক ব্যায়ামের রয়েছে বিরাট ভূমিকা।
নিয়মিত হাটাঁর ফলে হৃদযন্ত্রের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়,ফলে স্বল্প চেষ্টায় শরীরে বেশি পরিমাণে রক্ত সরবারহ করতে পারে এবং ধমনীর উপরেও চাপ কম পড়ে।উচ্চ রক্তচাপ আশঙ্কা থাকে কম।
উচ্চ রক্তাচাপ নিয়ন্ত্রণে হাটাঁচলা অনেকটা উচ্চ রক্তচাপরোধী
ওষুধের মতো কাজ করে।যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আছে,তাদের অবশ্যই ব্যায়াম করা উচিত।
আশা করি উপরোক্ত নিয়মগুলো যথাযথভাবে পালন করলে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকা সম্ভব।ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।