Fruit🍏🍊 Photography and Review Competition is open to all Steem Users around the world🌍

in hive-177276 •  3 years ago 

হ্যালো বন্ধুরা,

আপনারা সবাই কেমন আছেন আশা করি সবাই ভাল আছেন।আমার ইউজার আইডি হচ্ছে @july08;

আমি "around-theworld" কমিউনিটিতে ফুড ফটো ও কম্পিটিশন কন্টেস্টয়ে যে ফলটির বিষয়ে কথা বলবো। তার নাম "খেজুর"।

223304426_357701452484128_9051443826594784235_n.jpg
https://w3w.co/fiery.bonus.meals

DeviceXiaomi Note 4x
LocationParbatipur, Bangladesh
Photographer@july08

খেজুরের উপকারিতা

শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধের পাশাপাশি হৃদরোগ কোলেস্টেরল ও হাইপারেশন থেকে মুক্তি দিতে খেজুরের জুড়ি নেই। আর ঋতু পরিবর্তনের ফলে অনেকের এলার্জি বেড়ে যায়। সালফার সিজনাল এলার্জি প্রতিরোধ করে।আর প্রাকৃতিক খাবার এর মধ্যে কোন খাবারের মধ্যে খুব কম খাবারে রয়েছে সালফার। খেজুরে সেই সালফর আছে। অনেকেই মনে করেন মিষ্টি খাবার মানেই তার শরীরের জন্য ভালো নয়। এ ধারনা কিন্তু ঠিক নয়। কারণ খেজুর মিষ্টি জাতীয় ফল হলেও কিন্তু এর মধ্যে কোন ক্ষতিকর উপাদান নেই। এছাড়াও নানা রোগের মহাঔষধ হিসেবে খেজুরের তুলনা হয়না।

খেজুরের নানারকম পুষ্টি গুনাগুন

শরীরে আয়রন বৃদ্ধি করে :

খেজুরে থাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন যা অ্যানিমিয়ার মরণঘাতী রোগ থেকে রক্ষা করে । রক্তে লোহিত কণিকার প্রধান উপাদানের অভাবে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। তাই শিশু ও গর্ভবতী নারীরা এনিমিয়ার সমস্যায় ভোগেন।এজন্য একজন মানুষের প্রতিদিন অন্তত ১০০ গ্রাম খেজুর খাওয়া উচিত।
কারণ এতে থাকে ০.৯ কিলোগ্রাম আয়রন। আয়রন শরীরে লাল রক্তের কণিকা ও হিমোগ্লোবিনের জন্য সহায়ক। নবজাতকের প্রয়োজনীয় পুষ্টির জন্য মায়ের বুকের দুধ বাড়াতে ও খেজুরের কার্যকর ভূমিকা রাখে।

ডায়রিয়া প্রতিরোধ করে :

খেজুরে থাকে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম যা ডাইরিয়া প্রতিরোধ করে। পেটের ভেতরে ব্যাকটেরিয়াগুলোকে বিনাশ করে। অন্ত্রগুলোকে ব্যাকটেরিয়ামুক্ত করে ডায়রিয়া প্রতিরোধ করে।

Mabrum-Mariam-Khejur-Mariam-Dates.jpeg
source

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর :

খেজুর কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দিতে পারে। এজন্য রাতে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন সকালে উঠে ওই পানি খান। দেখবেন আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি পেয়েছে কোষ্ঠকাঠিন্য পালিয়েছে।

শরীরের ওজন কমায় :

যারা অতিরিক্ত মোটা হয়ে যাচ্ছেন তাদের উচিত খালি পেটে খেজুর খাওয়া। এতে আপনার শরীরে কোলেস্টেরল কমে যাবে আর ওজন নিয়ন্ত্রণে আসবে। তবে খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ সুগার। তাই যাদের সুগার কেন্দ্রিক সমস্যা আছে তারা অবশ্যই সতর্ক থাকবেন।

কোলেস্ট্রল নিয়ন্ত্রণ :

খেজুর ক্ষতিকর কোলেস্টেরল এলডিএল নিয়ন্ত্রনে সহায়ক ভূমিকা রাখে। আর ভালো করে রক্ত কণিকা গুলোকে পরিষ্কার ও কোথাও রক্ত প্রবাহ বাধা সৃষ্টি হলো তা দূর করে।

650cc2b5698124a7cba395dfaeeb971b.jpg

source

হার্টকে শক্তিশালী করে :

ফাইবার হার্টকে ভালো রাখে। আর একথা তো সকলেই জানে যে খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। ফলে হার্ট অ্যাটাকে আশঙ্কা অনেক ক্ষেত্রেই কমে যায়। আর রাতে ভেজানো খেজুর সকালে উঠে খেলে হার্টের জন্য ভালো।খেজুরের বিচি গুড়া করেও খেতে পারেন।এতে হার্ট ভালো থাকবে। খেজুরে থাকা ভিটামিন, ক্যালসিয়াম ও শরীরের পেশি ও হাড়ের গঠন মজবুত এবং শক্তিশালী করে।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে :

খেজুর রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। খেজুরে থাকা ম্যাগনেশিয়াম আর পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। এই দুটি খেজুরে প্রচুর পরিমাণে থাকায় এই ফলটি খেলে রক্তচাপ পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আছে তারা প্রতিদিন ৫ থেকে ৬ টি খেজুর খেতে পারেন। এতে আপনার উপকার হবে।

download.jpg
source

স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায় :

খেজুরে প্রচুর পরিমান পটাশিয়াম ও এর মধ্যে থাকা পর্যাপ্ত মিনারেল শরীরের নার্ভাসনেস দূর করতে সহায়তা করে। এ কারণে যারা খেজুর খান তাদের স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে যায়।

আশা করি সবার ভালো লাগবে। আমার প্রিয় ফলের বিষয়ে যতোটুকু ভালো গুনাগুন জানতাম। আমি তো আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।

ধন্যবাদ সবাইকে।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

It’s really amazing fruit

thank you

Great Fruit ❣️

thank you