নমস্কার বন্ধুরা,
এটা আমার বিগত চার বছরে প্রথম নিজের মাতৃভাষায় কোনো প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ নিজের কমিউনিটির বাইরে।
লেখার শুরুতেই সকল ভারতীয়দের জানাই ৭৮ তম স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা।🇮🇳 |
---|
জানিনা, কেনো মনে হলো, প্রতিযোগিতায় উল্লেখিত এই নিয়মের হাত ধরে আজকে নিজের মাতৃভাষায় নিজের কথাগুলো তুলে ধরি।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবার মাধ্যম
শুধু তাই নয়, যেসকল প্রশ্ন গুলো করা হয়েছে এই প্রতিযোগিতায় তার বাইরে গিয়ে কিছুটা নিজের মতো করে প্রতিগীতার বিষয়বস্তুর উত্তর দেবার প্রয়াস করি।
আমি @sampabiswas, @piya3 এবং @tanay123 দের আহ্বান জানাতে চাই অংশগ্রহণের জন্য।
নিজের লেখার শুরুতেই উল্লেখিত চারটে লাইন আমার মনের অভিব্যক্তির সূত্রপাত প্রতিযোগিতার মুল বিষয় নিয়ে।
নিয়মের উর্ধ্বে নই আমি!
শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখা,
সবচাইতে বেশি দামী।
আধুনিক প্রযুক্তি উন্নতির শিখরে পৌঁছে দিয়েছে মানুষের জীবনযাত্রা কিন্তু পাশাপশি কেড়ে নিয়েছে অনেককিছু।
যার মধ্যে অন্যতম হলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনের শৃঙ্খলায় ভরা সেই শৈশবের অভ্যাসগুলো।
যখন প্রযুক্তির হাত ধরে মোবাইল ঘরে ঘরে আজকের মত পৌঁছায়নি, তখন আমাদের সকাল শুরু হতো সূর্যি মামার হাত ধরে!
একটা দৈনন্দিন রুটিন ছিল সকলের জীবনে, যেখানে ভরে উঠে আগে যোগাসন, তারপর প্রাতরাশ এবং এরপর পড়তে বসা।
সঠিক সময়ে স্নান সেরে মধ্যাহ্নভোজ এবং বিকেল হলেই মাটির সাথে দেখা খেলার কারণে।
বিশেষ করে গরমের ছুটিতে এই দিনলিপি ছিল ঘরে ঘরে।
আমি উন্নতির বিপক্ষে নই, তবে প্রতিটি আবিষ্কার ব্যবহারের অভ্যেস তৈরি করেছি আমরা, সেটাকে শৃঙ্খলায় বেঁধে না রেখে, যথেচ্ছ ভাবে তার প্রবেশ ঘটেছে আমাদের জীবনে।
এটা কখনোই প্রযুক্তির দোষ নয়, এটা আমাদের বিফলতা বলে আমি মনে করি।
আজকে উন্নত প্রযুক্তিকে আমরা উন্নতির পাথেয় যতটা না করতে পেরেছি, তার চাইতেও তার দাসত্ব মেনে নিয়েছি আমরা অনেকেই।
(আমার ফোন থেকে নেওয়া স্ক্রীনশট) |
---|
এখন আমি দেখি, ছোট্ট একটা শিশু যার আনন্দের মাধ্যম মোবাইলের ভিডিও! তার সাথে ব্যয় করার মতো সময় না মায়ের কাছে আছে, আর না বাবার কাছে!
শৈশব থেকে ওই শিশুটির স্বাস্থ্যের অবক্ষয় আমরা নিজের হাতে তুলে দিচ্ছি, এটা প্রায় সকলেই ভুলতে বসেছি।
ফলস্বরূপ এখন আমাদের শরীরে বাসা বেঁধেছে বিভিন্ন রোগ, যেটা হয়তো আমাদের মা, বাবাদের আমলে কোনোদিন নাম পর্যন্ত শোনা যেতো না।
এই পর্যায়ের পর আসবো এই সোশ্যাল মিডিয়া কে কাজে লাগিয়ে অনেকেই উপার্জন করছেন, সেটা একটা ভালো দিক, কারণ উপার্জনের মাধ্যম করে দিয়েছে এই সকল মিডিয়াগুলো।
তবে, এখানেও অনেকেই এমন কিছু ভিডিও তৈরি করেন, যেগুলো শালীনতা বহির্ভূত, শৃঙ্খলা নেই এক্ বিন্দু তাতে!
এরপর অনেকেই আছেন, যাদের ঘরের শিশু দেখা যায় পায়ে দাঁড়াতে শেখার আগেই মোবাইল পরিচালনা শিখে যায়, তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্ত ভিডিও কতটা গ্রহণযোগ্য, সেটা ভাবনার বিষয়।
এরপর কিছু মানুষ আছেন, যারা এই সোশ্যাল মিডিয়াকে কাজে লাগিয়ে কিছু বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেন ভুয়ো তথ্য ছড়িয়ে, সেটা দেশ তথা দশের জন্য ক্ষতিকারক।
(আমার ফেসবুক পেজের স্ক্রীনশট) |
---|
আমি উন্নত প্রযুক্তি তথা বিজ্ঞানের আশীর্বাদে বিশ্বাসী মানুষ, তবে কোনো আবিষ্কারকে কিভাবে প্রয়োগ করবো দৈনন্দিন জীবনে সেটা কিন্তু অন্য কারোর উপরে নির্ভর করে না, এটা সম্পূর্ণ নিজের রুচিবোধের উপরে নির্ভর করে।
আর ঠিক সেই কারণে এখন অনেক সোশ্যাল নেটওয়ার্কস আছে যারা অনেক অপ্রত্যাশিত ভিডিও ব্যান করে দেয়।
এরপর দেখুন, শুভেচ্ছাবার্তা ফোনে ফোনে, নিমন্ত্রণ ফোনে ফোনে, আগত দিনগুলোতে ভিডিও কলেই বোধহয় পরিচয় পেতে হবে এবং চিনতে হবে পরের প্রজন্মের আত্মীয় স্বজনদের!
আন্তরিকতা হারিয়ে গেছে, নেই সেই একসাথে বসে আড্ডা, নেই সেই ধুলো উড়িয়ে বিকেলের খেলা আর নেই একসাথে বসে রাতের খাবার টেবিলে বসে ভাব বিনিময়ের আদান প্রদান!
(আমার ইনস্টাগ্রাম পেজের থেকে নেওয়া স্ক্রীনশট) |
---|
বিজ্ঞান অনেককিছু দিয়েছে, কিন্তু আমরাই বিফল তাদের সঠিকভাবে পরিচালনা করতে।
কারণ, আমরাও তো আসক্ত হয়ে পড়েছি কিছু জিনিষ ছাড়া আমরা নিজেদের দিনযাপনের কথা ভাবতেই পারি না।
আচ্ছা! আরো একটি বিষয় হলো, এখন কারোর বাড়িতে যাবার আগে আগাম ফোন করে জানিয়ে যেতে হয়, সেটাই ভদ্রতা!
আগে, নিজেদের আত্মীয়র বাড়িতে যখন তখন চলে গেলেও তারা কিছু মনে করতেন না, বরঞ্চ খুশি হতেন।
ভালো দিকের মধ্যে কেউ অসুস্থ হলে সাথে সাথে খবর পৌঁছে দেওয়া যায়, কারোর বাড়ি ফিরতে দেরি হলে খবর নেওয়া সহজ।
তবে, সব ভালোর আড়ালে কিছু খারাপ লুকিয়ে থাকে, মানে ওই অ্যালোপ্যাথি ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার মতন!
তেমনি আজকের এই সোশ্যাল মিডিয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কেড়ে নিয়েছে রাতের ঘুম, কেড়ে নিয়েছে শৃঙ্খলা তথা দৈনন্দিন বেশ কিছু ভালো অভ্যাস।
এই ছিল প্রতিগোগিতার বিষয় সম্পর্কে নিজের মনোভাব।
ভালো লাগল লাইক শেয়ার করতে ভুলবেন না, সোশ্যাল মিডিয়ার বার্তা! হিহি!
Hola mi querida amiga @sduttaskitchen, un placer saludarte
Totalmente de acuerdo contigo amiga, yo pienso que las redes sociales son una excelente herramienta para todos, si le damos el uso adecuado y tomando las precauciones debidas pueden ser una gran bendición, lo que pasa es que nosotros no sabemos poner límites y a veces se le da un mal uso, incluso un uso exagerado, llegando muchas veces a depender de ellas.
Yo pienso que que en los hogares cuando no habían este aumento tan exagerado del uso de las redes sociales las familias eran más unidas, conversaba más, ahora podemos observar familias completas cada uno con un teléfono móvil y sin intercambiar una sola palabra porque todos están sumergidos en todas esas redes que los tienen hipnotizados, todo tiene que tener un límite.
Ahora como tu también lo dices, hasta las invitaciones son digitales, familias que aunque no viven tan lejos se comunican por video llamada creando una barrera que les impide interactuar como debe ser personalmente.
Te deseo mucho éxito. Un abrazo 🤗
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
THE QUEST TEAM has supported your comment. We support quality posts, good comments anywhere, and any tags
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Gracias por el apoyo amiga. Un abrazo 🤗
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যালো ম্যাডাম! আপনার কবিতা শান্ত চিত্তাকর্ষক এবং পরিপক্কতা আপনি এখানে যা শেয়ার করেছেন তার মাধ্যমে দেখা যায়। আমি এই বিষয়ে ভাগ আপনার পয়েন্ট পছন্দ. আপনার পোস্ট পড়তে ভাল. একটি সুখী দিন
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
मुझे हिंदी समझ आती हैं! और मैं हिंदी पड़ना लिखना जानती हूं! धोयाबाद आपको ट्रांसलेट करके मुझे उत्तर देने के लिए! अच्छा लगा पुराने मित्र को देखकर!
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
😄 आपको भी धन्यवाद कि आपको याद हूं मैं। और आप एक दो पोस्ट हिंदी में भी लिखते रहिए, अब बस बंगाली में ही लिख रही हैं। आपकी पोस्ट काफी अच्छी रहती हैं। 🙏
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
पड़ने वाले बहौत कम है चाहे हिंदी हों या बंगाली भारतीय भाषा कदर नहीं है यहां पर!😄👍
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
हां सही कहा आपने।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Greetings, you have been supported by @hindwhale account for your post. To know more about our community, you can visit our introduction post here. To contact us directly, please visit our discord channel.
Telegram ----- Discord
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Upvoted. Thank You for sending some of your rewards to @null. It will make Steem stronger.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ম্যাম,
প্রথমেই আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আমাকে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার আমন্ত্রণের জন্য।
আধুনিক প্রযুক্তি অবশ্যই আমাদের জন্য আশীর্বাদ তবে সেটার খারাপ দিক ও অনেক। আপনার লেখার পরিপ্রেক্ষিতে ও আমার নিজস্ব অভিমত হিসেবে আমি এটাই বলবো যে এটার সঠিক ব্যবহার করার থেকে নেতিবাচক ব্যবহারের সংখ্যাই মনে হয় বেশি।
এখানে আমিও আপনার মতোই বলবো এটার সঠিক এবং ভুল ব্যবহার সম্পূর্ণ নিজের ওপরেই নির্ভর করে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Saludos amiga @sduttaskitchen
Estoy completamente de acuerdo con usted, las redes sociales así como nos han traído progreso y muchos beneficios nos han quitado cierta cosas que son realmente importantes como una niñez sana y en compañía de nuestros afectos, ahora a los niños les acompañan computadoras y teléfonos moviles y esos es realmente triste.
Las redes sociales son muy importantes y hay que saber darles el ido adecuado.
Gran entrada, éxitos.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ম্যাম, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আমাকে প্রতিযোগিতায় আমন্ত্রণ জানানোর জন্য। প্রযুক্তি আমাদের নিকট আশীর্বাদস্বরূপ তবে সেটা আমাদের অজান্তেই অভিশাপের রূপ নিয়েছে। আমার সব থেকে অপছন্দের কাজ হলো বাচ্চাদের হাতে মোবাইল ধরিয়ে কার্টুন দেখানো। বাচ্চাদের একটু খুশির জন্য তার অনেক বড় ক্ষতি করে ফেলছি আমরা। আর সেই সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সময় দিতে গিয়ে আমরা আমাদের আশেপাশের বন্ধু বান্ধবের সাথে সময় কাটাতে পারি না। উন্নতির বিপক্ষে আমিও নই তবে এটা সত্য যে প্রযুক্তির উন্নতি আমাদের অনেক ক্ষেত্রে অবনতির কারন হয়ে দাড়াচ্ছে, এই দোষ প্রযুক্তির নয়, দোষ আমাদেরই। ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ ম্যাম, তথ্যবহুল একটি আলোচনা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ।
আধুনিক প্রযুক্তি যেমন করে আমাদের জীবনকে সহজ করে তুলেছে তেমনি জীবনকে পিষিয়েও তুলেছে৷
আধুনিক প্রযুক্তির একটি উপাদান স্মার্ট ফোনের কথাই বলি, আমরা বেশিরভাগ মানুষের সঙ্গের সাথি এই স্মার্ট ফোন। দিনভর আমরা এতেই বিভোর। এখন বিকেল হলে বন্ধুদের আর খেলার মাঠে পাওয়া যায় না৷ মাঠ আছে ঠিকঠাক, বন্ধুরা নাই। প্রযুক্তির গ্রাসে আমরা সবাই অবচেতন ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
I would like to make you very detailed here. Because, going beyond the topic, I consider it very valuable to highlight many valuable things that are important to society and affect all people in the world at this time. Also, I will work to add the message you gave to my life. thank you
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit